লম্বা একটি ঘ়়র। কম্পিউটার স্ক্রিনে বিভিন্ন তথ্য দেখিয়ে বক্তব্য রাখছেন এক জন। ঘর ভর্তি শ্রোতা। বক্তা বলে চলেছেন, আমরা কি বাড়িতে মাকে কখনও অশ্রদ্ধা করি? তা হলে রাস্তায় যে মহিলারা বেরোচ্ছেন, তাঁদের সঙ্গে কেন দুর্ব্যবহার করব বা কটু কথা বলব? ঘর ভর্তি শ্রোতাদের মধ্য থেকে কয়েক জন বক্তাকে সমর্থন করে বলে উঠল, না, আমরা বাইরে কোনও মহিলাকে কখনও অসম্মান করব না।
বক্তা কসবা থানার পুলিশকর্তারা। শ্রোতা একদল স্কুলপড়ুয়া। কসবার কাঁটাপুকুরের এক স্কুলের ওই ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে সোমবার এ ভাবেই শুরু হল পুলিশের কথোপকথন। বিষয়, সাইবার অপরাধ এবং যৌন নিগ্রহ নিয়ে তাদের সতর্ক করা। এ দিন পড়ুয়াদের সঙ্গে প্রায় দু’ঘণ্টা কথা বলেন পুলিশকর্তারা। পুলিশ জানিয়েছে, ওই এলাকার ২৫টি স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে ইভটিজিং, সাইবার অপরাধ বা যৌন নিগ্রহ নিয়ে আলোচনা করা হবে।
পুলিশ সূত্রের খবর, কসবা থানার ওসি দেবাশিস দত্ত সাইবার অপরাধ এবং যৌন নিগ্রহ রুখতে কী কী পদক্ষেপ করা যায়, তা বলেন। পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টশনের মাধ্যমে যৌন নিগ্রহ নিয়ে সতর্ক থাকতে বলেন ছাত্রছাত্রীদের। বলেন, এমন ঘটনা ঘটলে তা লুকিয়ে না রেখে পুলিশ বা পরিবারের সদস্যদের জানাতে। এমনকী পরিবারের কেউ যদি যৌন নিগ্রহে জড়িয়ে পড়েন, তা-ও জানাতে বলেন দেবাশিসবাবু।
সাইবার অপরাধের তালিকায় পুলিশের কাছে সব চেয়ে বেশি অভিযোগ জমা পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি বিকৃত করার। সেই প্রবণতা কমাতে এ দিন ছাত্রছাত্রীদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ক্লাস নাইনের ছাত্রী সোমাইয়া আব্বাস বলে, ‘‘পুলিশকাকুরা সোশ্যাল মিডিয়ায় সব রকম তথ্য শেয়ার করতে বারণ করেছেন। সেই সঙ্গে আমরা যাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় অতিরিক্ত আসক্ত না হয়ে পড়ি, তা-ও বলেছেন।’’ ওই শ্রেণিরই এক ছাত্র হর্ষ রায়ের কথায়, ‘‘আমরা যাতে বাড়ির বাইরেও মহিলাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার না করি, তা নিয়ে পুলিশকাকুরা বলেছেন। আমরা মেনে চলব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy