দুর্ঘটনার পর বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘটনাস্থলে পুলিশবাহিনী। ছবি: সুমন বল্লভ।
স্কুল ছুটি হওয়ার পর বন্ধুকে সাইকেলের পিছনে বসিয়ে বাড়ি ফিরছিল অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীটি। তারাতলা মোড়ের কাছে ক্রেনের চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হল ওই ছাত্রীর। মৃতের নাম সুহানি গুপ্ত।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ বন্ধু অঞ্জলি মাহাতোকে সাইকেলের পিছনে বসিয়ে তারাতলা থেকে জিঞ্জিরা মোড়ের দিকে যাচ্ছিল সুহানি। তাদের ঠিক পিছনেই ছিল একটি ক্রেন। রাস্তার বাঁ দিক ধরেই যাচ্ছিল ছাত্রীরা। ক্রেনটি ওদের পাশ কাটিয়ে যাওয়ার জন্য হর্ন বাজায়। হঠাত্ জোরে আওয়াজ হওয়াতে সাইকেলের পিছনে বসে থাকা ছাত্রীটি ভয়ে সাইকেল থেকে পড়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানান, অঞ্জলি রাস্তার বাঁ দিকে পড়ে যায়। আর সুহানি সাইকেল নিয়ে ডান দিকে পড়ে যায়। সেই সময়ই ক্রেনের পিছনের চাকায় তার দেহের উপরিভাগ পুরো পিষ্ট হয়ে যায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার।
আরও পড়ুন: মস্তিষ্ক জেগে উঠবে ভেবেই সংরক্ষণ?
আরও পড়ুন: জামিন পেলেন শুভব্রত, হবে মনের চিকিৎসা
ঘটনাস্থলের ১০০ মিটারের মধ্যেই থানা রয়েছে।অভিযোগ, ঘটনার অনেক ক্ষণ পরে পুলিশ আসে সেখানে। কেন পুলিশ দেরিতে এল তা নিয়ে নিয়ে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। দেহ আটকে রেখে রাস্তা অবরোধ করেন। তাঁদের আরও অভিযোগ, এই রাস্তায় দীর্ঘ দিন ধরেই কাজ চলছে। যান নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ঠিক মতো নজরদারি চালায় না। আগেও দুর্ঘটনার মুখে পড়তে হয় অনেককে। তার পরেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশবাহিনী যায়। ছুটে যান পদস্থ পুলিশ আধিকারিকরাও। স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। যান নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে নজরদারির আশ্বাস দিলে ওই ছাত্রীর দেহ পুলিশের হাতে তুলে দেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
এই দুর্ঘটনা এবং অবরোধের জেরে তারাতলা রোডে প্রায় ঘণ্টাখানেক যান চলাচল বন্ধ থাকে। ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে অবশ্য ধীরে ধীরে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy