Advertisement
E-Paper

আরজি কর-কাণ্ড নিয়ে সমাজমাধ্যমে ‘বিশ্লেষক’দের লালবাজারে তলব, তদন্তে সাহায্য চাইল পুলিশ

ফেসবুক-সহ অন্যান্য সমাজমাধ্যমে আরজি কর তদন্ত নিয়ে যাঁরা বিশ্লেষণ করেছেন তাঁদের কয়েক জনকে লালবাজারে ডেকে পাঠায় পুলিশ। তাঁদের কাছ থেকে সাহায্য চাওয়া হয়।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ অগস্ট ২০২৪ ১৬:৫২
Kolkata Police calls social media influencer at Lalbazar on RG Kar probe

—প্রতীকী ছবি।

আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে এক মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার পর অনেকেই সমাজমাধ্যমে সরব হন। সমাজমাধ্যমে প্রভাবী হিসাবে পরিচিত অনেকেই কী ভাবে ওই নৃশংসতা ঘটে থাকতে পারে তার বিশ্লেষণও করেন। কেউ কেউ ‘সন্দেহভাজন’ হিসাবে অনেকের ছবি প্রকাশ্যে এনেও অভিযোগ তোলেন। এমন ১৫ জনকে মঙ্গলবার লালবাজারে ডেকে পাঠায় পুলিশ। জানা গিয়েছে, প্রত্যেকের সঙ্গে আলাদা আলাদা ভাবে কথা বলেছেন তদন্তকারী দলের পুলিশ কর্তারা। তবে তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ বা প্রচার বন্ধ করার বার্তা দেওয়া হয়নি বলেই লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে। তদন্তকারী দলের এক প্রতিনিধি জানান, যাঁরা অনেক রকম তথ্য ও বিশ্লেষণ সমাজমাধ্যমে তুলে ধরেছেন তাঁদের কাছে কোনও নথি বা প্রমাণ থাকলে তা দিয়ে তদন্তে সহায়তা করতে বলা হয়েছে।

গত শুক্রবার সকালে আরজি করের সেমিনার হলে পাওয়া যায় ওই মহিলা চিকিৎসকের দেহ। প্রাথমিক ভাবে মহিলার সারা শরীরে অনেক ক্ষত দেখে পুলিশ ধর্ষণ ও খুনের কথা বলে। একই সঙ্গে অভিযোগ ওঠে, মৃতার বাড়িতে ‘আত্মহত্যা’র কথা জানিয়ে ফোন করা হয়। এ নিয়ে বিতর্ক শুরু হতেই আরজি করের পড়ুয়ারা আন্দোলনে নামেন। সেই সঙ্গে অনেকেই সমাজমাধ্যমে সরব হন। বেশির ভাগই ছিল ঘটনাকে নিন্দা করে বা প্রতিবাদ জানিয়ে পোস্ট। তবে কয়েক জন গত কয়েক দিন ধরে লাগাতার নানা অভিযোগ ও বিশ্লেষণ তুলে ধরেন। অনেকে চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে কী কী হয়ে থাকতে পারে তার বর্ণনাও দেন। এটা নিয়ে আগেই আপত্তি তোলে পুলিশ।

সমাজমাধ্যমে অনেকেই পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। এ সবের মধ্যেই কলকাতা পুলিশের ফেসবুক পোস্টে লেখা হয়, “আমাদের তদন্ত চলছে আন্তরিক সততা এবং স্বচ্ছতার সঙ্গে। এই নারকীয় ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আমরা এক জনকে গ্রেফতার করেছি তথ্যপ্রমাণ-সহ। আরও কেউ ঘটনায় জড়িত ছিল কি না, সে বিষয়েও তদন্ত চলছে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে।” একই সঙ্গে ‘ফেক নিউজ়’ বা মিথ্যা খবর নিয়েও সচেতন হওয়ার বার্তা দেয় লালবাজার। সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া খবর বা কোনও তথ্য আগে যাচাই করা এবং গুজবে কান না দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কলকাতা পুলিশের বক্তব্য, মিথ্যা তথ্য এবং গুজবের কারণে তদন্তের গতি ব্যাহত হবে।

এ সবের পরেও সমাজমাধ্যমে অভিযুক্ত হিসাবে অনেকের ছবি ছড়িয়ে পড়তে থাকে। সেখানে আরজি করের কয়েক জন ইন্টার্ন বা হাউস স্টাফের ছবিও ছিল। রাজ্যের এক মন্ত্রীর পুত্র এই ঘটনায় যুক্ত বলেও দাবি করেন অনেকে। এর পরেই লালবাজার সূত্রে সোমবার জানা যায়, সমাজমাধ্যমে এই ধরনের পোস্ট করেছেন এমন কয়েক জনকে তলব করে নোটিস পাঠিয়েছে লালবাজার। মঙ্গলবার পুলিশের তলবে ১৫ জন লালবাজারে হাজির হন বলে জানা গিয়েছে। পুলিশের পক্ষে তাঁদের বলা হয়, তাঁরা যে সব দাবি করছেন বা করেছেন তার কোনও প্রমাণ থাকলে তা যেন পুলিশকে দেওয়া হয়। কোনও প্রত্যক্ষদর্শী বা চিকিৎসকের বর্ণনা হয়ে থাকলে সেটাও যেন জানানো হয়। তাতে তদন্তে সুবিধা হতে পারে।

Kolkata Doctor Rape-Murder Case R G Kar Medical College and Hospital Rape and Murder Social Media Influencers Kolkata Police Lalbazar
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy