দু’বছর আগে এক্সাইড মোড়ে ট্র্যাফিক আইন অমান্য করার অভিযোগে জরিমানা করা হয়েছিল এক বাইকচালককে। সেই সময়ের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ এবং জরিমানার জন্য ব্যবহার করা মোবাইলের সূত্র ধরে একাধিক ছিনতাইয়ের ঘটনার কিনারা করল পর্ণশ্রী থানার পুলিশ। সেই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে তিন ছিনতাইবাজকে। যাদের কাজ ছিল মোটরবাইকের নম্বর প্লেট খুলে ছিনতাই করা।
পুলিশ সূত্রের খবর, ধৃতদের নাম সাগ্নিক সাহা ওরফে বাবাই, আয়ুষ দত্ত এবং শেখ আমির রহমান। রবিবার রাতে তাদের গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের থেকে পুলিশ তিনটি ছিনতাই করা গলার চেন উদ্ধার করেছে। আটক করা হয়েছে মোটরবাইকটি। ধৃতদের আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের ১৭ জুন পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
পুলিশ জানায়, গত এপ্রিল এবং মে মাসে পর পর দু’টি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে পর্ণশ্রী থানা এলাকায়। দু’টি ঘটনাতেই অভিযুক্তদের বাইকে নম্বর প্লেট ছিল না। তাদের মাথায় ছিল হেলমেট। ফলে, পুলিশ প্রায় ৭৫টি সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেও অভিযুক্তদের শনাক্ত করতে পারেনি। সে ভাবেকোনও তথ্যও মিলছিল না। তাই ছিনতাইয়ের কিনারা করতে পুলিশকর্মীদের নিয়ে একাধিক দল তৈরি করে রাস্তায় নামানো হয়। তাঁরাই এক দিন দেখেন, রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে নম্বর প্লেটহীন একটি মোটরবাইক। তাতে বসে রয়েছে মাথায় হেলমেট পরা দুই আরোহী।সন্দেহ হওয়ায় দুই পুলিশকর্মী তাদের থামতে বললেও তারা পালিয়ে যায়। পুলিশকর্মীরা তাদের থামাতে না পারলেও আরোহীদের এক জনের পিঠের ব্যাগ কেড়ে নিতে পেরেছিলেন। তাতে তল্লাশি চালিয়ে মেলে একটি নম্বর প্লেট। কিন্তু তাতেও ছিনতাইয়ের ঘটনার কিনারা হয়নি।
এর পরে পুলিশ খোঁজ নিয়ে জানতে পারে, ওই নম্বর প্লেটের মোটরবাইকের বিরুদ্ধে ২০২৩ সালে এক্সাইড মোড়ে ট্র্যাফিক আইন অমান্য করার অভিযোগ দায়েরহয়েছিল। পাওয়া যায় সে সময়ের সিসিটিভি ফুটেজ এবং জরিমানার জন্য ব্যবহৃত একটি মোবাইল নম্বর। ফুটেজ এবং ওই ফোনের সূত্র ধরেই পর্ণশ্রী থানার পুলিশ খোঁজ পায় সাগ্নিকের। তাকে জেরা করে বাকি দু’জনের খোঁজ মেলে। পুলিশকর্তারা জানান, পর্ণশ্রীতে দু’টি ছিনতাইয়ে খোয়া যাওয়া চেনউদ্ধার হয়েছে। একই সঙ্গে ধৃতেরা আরও কয়েকটি ছিনতাইয়ের কথা স্বীকার করেছে।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)