দক্ষিণ শহরতলির একটি থানার এক মামলা খারিজ করে দিয়েছিলেন কলকাতা হাই কোর্টের জনৈক বিচারপতি। অভিযোগ, আদালতের সেই রায় অগ্রাহ্য করে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে নিম্ন আদালতে চার্জশিট দেন সংশ্লিষ্ট থানার তদন্তকারী অফিসার।
পুলিশ সূত্রের খবর, থানার এ হেন ভূমিকায় ক্ষুব্ধ হন কলকাতার নগরপাল মনোজ বর্মা। এর পরেই কোনও মামলায় যাতে থানার তরফে গাফিলতি না থাকে, তার জন্য প্রতিটি থানায় এক জন করে সাব-ইনস্পেক্টরকে আইনি সমন্বয় রক্ষাকারী অফিসার হিসেবে নিযুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। ওই নির্দেশে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট অফিসার সরকারি কৌঁসুলিদের সঙ্গে সমন্বয় রক্ষা করার পাশাপাশি তদন্তকারী অফিসার নির্দিষ্ট দিনে এবং সময়ে যাতে আদালতে উপস্থিত থাকেন, সে দিকে লক্ষ রাখবেন। পুলিশের অনুপস্থিতিতে যাতে কোনও মামলার শুনানি না হয়, তা-ও নিশ্চিত করবেন তিনি।
লালবাজার জানিয়েছে, বিভিন্ন মামলায় আদালতে হলফনামা দেওয়া থেকে শুরু করে রিপোর্ট দাখিল এবং আদালত কিছুর জবাব চাইলে তা নির্দিষ্ট সময়ে যাতে পেশ করা হয়, তা থানার ওসি-কে নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। নির্দিষ্ট কোনও মামলার বিষয়ে আদালত নির্দেশ দিলে সেটি দ্রুত গোয়েন্দা বিভাগের ‘ল সেল’-এর ওসিকে জানানোর জন্য নির্দেশ দিয়েছেন নগরপাল। কোনও রিপোর্ট বা হলফনামা দিতে গেলে ডিভিশনের লিখিত অনুমোদন নিতে বলা হয়েছে। নগরপালের নির্দেশ যাতে ঠিক মতো কার্যকর করা হয়, তা জন্য উপ-নগরপালদের বলা হয়েছে।
পুলিশের শীর্ষ কর্তারা দেখেছেন, বিভিন্ন ক্ষেত্রে সমন্বয়ের অভাবের কারণে পুলিশকে আদালতে ভর্ৎসিত হতে হয়েছে। পুলিশকর্তারা বলছেন, আদালতের ভর্ৎসনা আটকাতেই ন’দফা নির্দেশ জারি করা হয়েছে। আদালত যদি কোনও সহকারী নগরপাল কিংবা তাঁর ঊর্ধ্বতন পুলিশ অফিসারের কাছ থেকে রিপোর্ট চায় অথবা তাঁদের কোনও নির্দেশ দেয়, তা হলে বিষয়টি গোয়েন্দা বিভাগের ল সেলের ওসি-র নজরে আনতে হবে। প্রশাসনিক বা আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোনও বিষয়ে আদালত কিছু বললে তা-ও লালবাজারের শীর্ষ কর্তাদের নজরে আনার জন্য বলা হয়েছে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)