লালবাজারের এক কর্তার ব্যাখ্যা, বন্দুক তাক করার সময়ে সাধারণত বাঁ চোখ বন্ধ থাকে। ফলে, পুরো বাঁ দিক থাকে দৃশ্যপথের বাইরে। সে দিক থেকে হঠাৎ আক্রমণ এলে ঠেকানো মুশকিল। নয়া ব্যবস্থায় একে ৪৭-এ লাগানো থাকবে রিফ্লেক্স সাইট নামে একটি সরঞ্জাম, যা নিজেই নির্দিষ্ট লক্ষ্যে একটা আলোর বিন্দু ফেলবে। দিনে তো বটেই, রাতে ঘুটঘুটে অন্ধকারেও সমস্যা থাকবে না। সে ক্ষেত্রে এলইডি ফ্ল্যাশ লাইট দেখিয়ে দেবে লক্ষ্যকে। তার পরে বিন্দুটি পড়ামাত্র ট্রিগার টিপলে ৭.৬২ মিলিমিটার বুলেট নির্ভুল নিশানায় ফুঁড়ে দেবে লক্ষ্যবস্তুকে। এর ফলে এক চোখ বন্ধ করে রাইফেল কাঁধে তুলে তাক করার ঝক্কি থাকবে না। পাশাপাশি, কোমরের কাছাকাছি রাইফেল ধরেই নিখুঁত নিশানায় গুলি চালানো যাবে।
কলকাতা পুলিশের কম্যান্ডো বাহিনীর হাতে এখন শ’তিনেক একে-৪৭। প্রাথমিক ভাবে ১০টির মারণ ক্ষমতা বা়ড়ানো হবে। নবান্ন সূত্রের খবর, এ জন্য রাজ্য স্বরাষ্ট্র দফতর প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা মঞ্জুর করেছে। কলকাতা পুলিশ অবশ্য ২০টি কালাশনিকভ রাইফেলকে নতুন ভাবে সাজাতে চেয়েছিল। ঠিক হয়েছে, ধাপে ধাপে বাকি সব কালাশনিকভের ক্ষমতা বাড়ানো হবে।
এই ১০টি রাইফেলে দু’পেয়ে স্ট্যান্ড বা বাইপডও লাগানো হবে। যাতে মাটিতে শুয়ে গুলি চালানোর সময়ে হাত না কাঁপে। কারণ, তখন বন্দুক বসানো থাকবে বাইপডের উপরে।
জঙ্গিরা শহরে কোনও বদ্ধ জায়গার দখল নিয়েছে বলে খবর এলে সেখানে ঢোকার জন্য সর্বদা তৈরি কলকাতা পুলিশের ২০টি ‘হাউস ইন্টারভেনশন টিম’ (হিট)। প্রতিটি দলে চার জন কম্যান্ডো। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিটি ‘হিট’-এর অন্তত দু’জন সদস্যের হাতে বেশি মারণক্ষমতা সম্পন্ন একে ৪৭ থাকা দরকার। সে কারণে এখন পাঁচটি ‘হিট’-এর হাতে নতুন ভাবে সজ্জিত কালাশনিকভ দেওয়া হবে।