Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪
Kolkata Police

যানজট-মুক্তিতে এখন ভরসা অবহেলার পথই

লালবাজার সূত্রের খবর, প্রায় ৭০০ মিটার দীর্ঘ খগেন চ্যাটার্জি রোড মূলত ব্যবহার হয় চিৎপুর রেল ইয়ার্ডের পণ্যবাহী গাড়ি চলাচলের জন্য।

চলছে টালা সেতু ভাঙার কাজ।—ফাইল চিত্র।

চলছে টালা সেতু ভাঙার কাজ।—ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৫:৫০
Share: Save:

যান চলাচলের ক্ষেত্রে এত দিন যে রাস্তা ছিল ব্রাত্য, যানজট সামলাতে সেই রাস্তাই এখন ত্রাতা!

টালা সেতু বন্ধ হওয়ার পরে টালা, পাইকপাড়া ও বেলগাছিয়ার যানজট কমাতে কলকাতা পুলিশের ভরসা এখন চিৎপুর-কাশীপুরের খগেন চ্যাটার্জি রোড। যে রাস্তা কোনও কালেই যান চলাচলের ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্ব পায়নি। মূলত বি টি রোড ধরে আসা কলকাতামুখী ছোট গাড়িগুলি ওই রাস্তা দিয়ে পাঠিয়ে সোমবার যানজট সামাল দিয়েছিল পুলিশ। মঙ্গলবারও একই পন্থায় এলাকার যানজট অনেকটা নিয়ন্ত্রণ করা গিয়েছে বলে পুলিশের আধিকারিকেরা দাবি করেছেন।

লালবাজার সূত্রের খবর, প্রায় ৭০০ মিটার দীর্ঘ খগেন চ্যাটার্জি রোড মূলত ব্যবহার হয় চিৎপুর রেল ইয়ার্ডের পণ্যবাহী গাড়ি চলাচলের জন্য। তবে ওই রাস্তায় দু’টি অটো রুট এবং দু’টি বাস রুটও রয়েছে। অটো এবং বাস চললেও এত দিন ট্র্যাফিক পুলিশের কাছে ওই রাস্তাটি ছিল গুরুত্বহীন। কিন্তু টালা সেতু দিয়ে সব ধরনের গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরে পুলিশ ওই রাস্তা দিয়েই দ্বিমুখী যান চলাচলের সিদ্ধান্ত নেয়। ট্র্যাফিক পুলিশের এক কর্তা জানান, কলকাতামুখী গাড়ি মূলত পাইকপাড়া, টালা, বেলগাছিয়া দিয়ে চালানো হচ্ছিল। আর তাতেই ওই সব জায়গায় তৈরি হচ্ছিল যানজট। সেই কারণে পুলিশ ঠিক করে, খগেন চ্যাটার্জি রোডকে বিকল্প পথ হিসেবে ব্যবহার করা হবে। সেই মতো সোমবার সকালে কয়েক দফায় চিড়িয়ামোড় থেকে ছোট গাড়িগুলি খগেন চ্যাটার্জি রোড দিয়ে কাশীপুর রোডে পাঠানো হয়। তাতে দেখা যায়, পাইকপাড়া, টালা, বেলগাছিয়ায় গাড়ির চাপ অনেকটাই কমে গিয়েছে। সূত্রের দাবি, এই সাফল্যে উৎসাহিত হয়ে মঙ্গলবার সকাল থেকেই ওই রাস্তাকে একমুখী করে দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে কাশীপুর রোডেও এক দিকেই গাড়ি চলেছে এ দিন। দুপুরের পরে অবশ্য ওই রাস্তায় উভয় দিকেই গাড়ি চলেছে। কারণ হিসেবে লালবাজার বলছে, বিকেলের দিকে শহরের বাইরে যাওয়ার গাড়ির সংখ্যা বেশি থাকায় ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাতে বাগবাজার এলাকায় গাড়ির চাপ কমেছে বলে দাবি পুলিশের।

পুলিশের একাংশের বক্তব্য, নজরদারির অভাবে ওই রাস্তায় যেখানে সেখানে বেআইনি ভাবে গাড়ি রাখা হত। সেগুলি সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এমনকি, পুরসভা ওই রাস্তার খানাখন্দ ভরাট করে দিয়েছে বলেও খবর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE