গত বুধবারই শহরের বাজি ব্যবসায়ীদের ডেকে সতর্ক করেছিল কলকাতা পুলিশ। প্রতীকী চিত্র।
গত বুধবারই শহরের বাজি ব্যবসায়ীদের ডেকে সতর্ক করেছিল কলকাতা পুলিশ। ধরপাকড়ে বেআইনি বাজি মজুত রাখার প্রমাণ পাওয়া গেলে কড়া পদক্ষেপেরও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছিল। তার পরেই গত দু’দিনে শহর থেকে প্রায় ১৬০০ কেজি নিষিদ্ধ বাজি উদ্ধার হয়েছে বলে খবর। কিন্তু এ বার আর বাজি জমিয়ে রাখার পথে হাঁটছে না লালবাজার। এখন উদ্ধার হওয়া ১৬০০ এবং আগের জমে থাকা ৪০০ মিলিয়ে মোট দু’হাজার কেজি নিষিদ্ধ বাজি শুক্রবারই নিষ্ক্রিয় করার কাজ শুরু করেছে তারা।
পুলিশ সূত্রের খবর, রিজ়ার্ভ ফোর্সের (আরএফ) ডিসি-র নেতৃত্বে লরিতে করে উদ্ধার হওয়া ওই বাজি নিয়ে যাওয়া হয়েছে হলদিয়ায়। সেখানে ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড’ কর্তৃপক্ষ সেই বাজি নিষ্ক্রিয় করার কাজ শুরু করেছেন। পুলিশ সূত্রের খবর, বাজি নিষ্ক্রিয় করার সময়ে জল বা আগুনের ব্যবহার পরিবেশ আইন-বিরুদ্ধ। কারণ, বাজি আগুনে পোড়ালে বায়ু দূষিত হবে, আর জল দিয়ে নিষ্ক্রিয় করার চেষ্টা হলে সেই বিষাক্ত জলই ভূগর্ভে যাবে। তার বদলে সেখানে জমিতে কয়েকটি বিশাল প্লাস্টিকের জলাধার রাখা থাকে। ওই ফাঁকা জলাধারের মধ্যে প্রথমে লোহার পাটাতন পাতা হয়। ওই পাটাতনের উপরে ঢালা হয় ইট, সুরকি, বালির মিশ্রণ। তার উপরে রাখা হয় বাজিগুলি। এর পরে বাজির উপরে আর এক দফায় ওই মিশ্রণ ঢেলে জলাধারের মুখ আটকে মাটির গভীরে বসিয়ে দেওয়া হয়। মাটির নীচে পোঁতা এই মিশ্রণ কয়েক বছর পরে বোল্ডারের আকার ধারণ করে।
কলকাতা পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘রাজ্যের নানা জায়গা থেকে এই ধরনের বাজি লরিতে করে এখানে নিয়ে আসার কথা আগামী দু’দিনের মধ্যে। প্রশাসনের শীর্ষ স্তর থেকে বাজি না জমিয়ে রাখার কড়া নির্দেশ রয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy