আংশিক ভাবে বন্ধ থাকবে কলকাতা উড়ালপুল, কী ভাবে হবে যান নিয়ন্ত্রণ
পুরো নয়, আংশিক বন্ধ রেখেই স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে শিয়ালদহ উড়ালপুল(বিদ্যাপতি সেতু)-এর। উড়ালপুলের পূর্ব এবং পশ্চিমের দু’টি বাহু সচল রাখা হবে যাতে শিয়ালদহ স্টেশনে পৌঁছতে অসুবিধা না হয় যাত্রীদের। তবে বন্ধ থাকবে উত্তর-দক্ষিণে বিস্তৃত উড়ালপুলের মূল অংশটির ঠিক মাঝের অংশ।
বুধবার কলকাতা পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, রাজ্য পূর্ত দফতর, কেএমডিএ এবং কলকাতা পুলিশের প্রতিনিধিত্বে তৈরি ব্রিজ বিশেষজ্ঞ কমিটি ওই সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য চারদিন সেতু বন্ধ রেখে পরীক্ষার প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন। আগামী ১৫ অগস্ট সন্ধ্যা ৬টা থেকে সেতুর বেলেঘাটা মেন রোডের দিকের বাহু এবং মহাত্মা গাঁধী রোডের দিকে নেমে যাওয়া বাহুর মধ্যবর্তী অংশ বন্ধ থাকবে ১৮ অগস্ট সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত।
বুধবার কলকাতা পুলিশের ডিসি ট্রাফিক সন্তোষ পাণ্ডে জানিয়েছেন, শহরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ওই সেতু আংশিকভাবে বন্ধ রাখার ফলে যাতে শহরে যান চলাচল বিঘ্নিত না হয় তার জন্য বিশেষ কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।কলকাতা ট্রাফিক পুলিশ জানিয়েছে, দক্ষিণ দিক থেকে আসা যে কোনও ছোট গাড়ি সরাসরি সেতু ধরে বেলেঘাটা মেন রোড হয়ে শিয়ালদহ স্টেশনে পৌঁছতে পারবে। উত্তর দিক থেকে আসা ছোট গাড়িকে হয় রাজাবাজার থেকে বাঁদিকে নারকেলডাঙা মেন রোড ধরে গিয়ে ক্যানাল ইস্ট রোড ধরতে হবে। সেখান থেকে ফের বেলেঘাটা মেন রোড ধরে পৌঁছতে হবে শিয়ালদহ স্টেশন। অথবা উড়ালপুলের উপর উঠে ফের মহাত্মা গাঁধী রোডে নেমে ঘুরে আসতে হবে সেতুর দক্ষিণ দিকে। সেখান থেকে ফের বেলেঘাটা মেন রোড ধরতে হবে।
যান চলাচলের সমস্যা এড়াতে পরিকল্পনা নিয়েছে কলকাতা ট্রাফিক পুলিশ। ছবি: নিজস্ব
বাস-মিনিবাসের ক্ষেত্রে অবশ্য উত্তর এবং দক্ষিণ কলকাতার যোগাযোগ মসৃণ রাখতে পুলিশের ভরসা সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ। উত্তরমুখী বাস-মিনিবাস ঘোরানো হবে এসএন ব্যানার্জি রোড দিয়ে। দক্ষিণ কলকাতাগামী বাস হয়মানিকতলা মোড় থেকে ডানদিকে বিবেকানন্দ রোড ধরবে, নয়তো মহাত্মা গাঁধী রোড ধরে পৌঁছবে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ বা ধর্মতলা।
স্টেশনে পৌঁছতে এই বিকল্প পথ ধরুন। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
পণ্যবাহী গাড়ির ক্ষেত্রেও পুলিশ মূলত সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ের উপর ভরসা করতে চায়।আর সেখান থেকেই আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউতে অতিরিক্ত যানের চাপ ট্রাফিকের গতি শ্লথ করে দিতে পারে। একই ভাবে যানজট তৈরি হওয়ার সম্ভবনা মানিকতলা মোড় এবং সংলগ্ন আমহার্স্ট স্ট্রিট এবং বিবেকানন্দ রোডেও। যদিও ট্রাফিক পুলিশের শীর্ষ কর্তাদের দাবি, চারদিনের মধ্যে তিনদিনই ছুটির দিন। তাই বিশেষ সমস্যা হবে না। তবে তারপরেও আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে শুক্রবার, ১৬ অগস্ট নিয়ে। ওই দিন দুর্ভোগের শিকার হতে পারেন অসংখ্য মানুষ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy