Advertisement
E-Paper

কলকাতার কড়চা

অবনীর ছবি-ভাবনায় সঙ্গত করেছেন পরিচালক-প্রযোজক অনুরাগ কাশ্যপও, বলেছিলেন, সুখী-সুখী নয়, একটা সৎ ছবি বানাও। বিদেশের কিছু তথ্যচিত্র প্রযোজনা সংস্থাও সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে, আর এই সব কিছুরই ফল অবনীর তথ্যচিত্র ‘রঘু রাই: অ্যান আনফ্রেমড পোর্ট্রেট’।

শেষ আপডেট: ২৬ নভেম্বর ২০১৮ ০০:৪৬

বাবাকে নিয়ে মেয়ের ছবি

পড়াশোনা করতে মুম্বইয়ে এসে দিল্লির বাড়ি আর স্বজনকে ছাড়তে হয়েছিল। মনখারাপের সঙ্গী ছিল ক্যামেরার স্টিল ছবি আর ভিডিয়ো। সেগুলোই যে পরে একটা আস্ত ছবি-শুরুর প্রণোদনা হয়ে উঠবে, তা জানতেন না অবনী রাই নিজেও। ঘরের মানুষ কাছে থাকে বলেই বোধ হয় তাকে চেনা হয়ে ওঠে না, চিনতে হলে যেতে হয় দূরে। অবনীর বাবা রঘু রাই বিশিষ্ট আলোকচিত্রী ও চিত্রসাংবাদিক, মুম্বই-প্রবাসে নিজের ক্যামেরায় তোলা ভিডিয়োগুলোয় খ্যাতকীর্তি বাবাকে দেখতে দেখতে মেয়ের মনে হয়েছিল, একটা ছবি বানানোই যায় এই মানুষটাকে নিয়ে। যা শুধু বাবাকে নিয়ে মেয়ের ছবি হবে না, বন্দিত আলোকচিত্রীর ছবি তোলার দর্শন নিয়েও নয়, যে ছবি তুলে ধরবে ব্যক্তিগত আবার আন্তর্জাতিক, পারিবারিক অথচ শৈল্পিক রঘু রাইকে। বাবার সঙ্গে কাশ্মীর গিয়েছেন অবনী, দেখেছেন তাঁর ক্যামেরায় কী করে ধরা পড়ছে উপদ্রুত সময়ের বয়ান, যেমন এক কালে এই ক্যামেরাই ধরেছিল বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ বা স্বদেশে জরুরি অবস্থা, ভোপাল গ্যাস দুর্ঘটনার মতো ‘ইতিহাস’কে। অবনীর ছবি-ভাবনায় সঙ্গত করেছেন পরিচালক-প্রযোজক অনুরাগ কাশ্যপও, বলেছিলেন, সুখী-সুখী নয়, একটা সৎ ছবি বানাও। বিদেশের কিছু তথ্যচিত্র প্রযোজনা সংস্থাও সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে, আর এই সব কিছুরই ফল অবনীর তথ্যচিত্র ‘রঘু রাই: অ্যান আনফ্রেমড পোর্ট্রেট’। এখানে মেয়ে ‘পরিচালনা’ করছেন বাবাকে, তিনি ছবির কোনও শটে ফ্রেম বা কম্পোজ়িশন নিয়ে দ্বিমত পোষণ করলেও পরিচালক পাত্তা দেননি, এডিটিংয়ের সময়েও রঘুকে দেখতে দেননি ছবির হয়ে-ওঠা। হালকা চালে শুরু হওয়া ভিডিয়ো রেকর্ডিংয়ের পরিমাণ পৌঁছেছিল ৭০০ ঘণ্টারও বেশি ফুটেজে, তা থেকেই বেরিয়ে এসেছে ৫৫ মিনিটের ছবি। গত বছর নভেম্বরে আমস্টারডামে আন্তর্জাতিক তথ্যচিত্র উৎসবে প্রতিযোগিতা বিভাগে দেখানো হয়েছে অবনীর ছবি, এরই মধ্যে দেখেছে ফিনল্যান্ড, পোল্যান্ড, নরওয়ে, তুরস্ক, নিউজ়িল্যান্ড, জার্মানি, সুইডেনও। মুম্বই, দিল্লির পর এ বার দেখার সুযোগ কলকাতার, ম্যাক্সমুলার ভবনে, ২৮ নভেম্বর সন্ধে সাড়ে ছ’টায়। থাকবেন রঘু-অবনী দু’জনেই, তাঁদের সঙ্গে আলোচনায় অঞ্জুম কাটিয়াল। ছবি পোস্টার থেকে।

সাধক সুনীতিকুমার

রবীন্দ্রনাথের আক্ষেপ ছিল, ‘‘বৌদ্ধশাস্ত্রের পরিচয়ের অভাবে ভারতবর্ষের ইতিহাসটাই কানা হইয়া আছে। সমস্ত ভারতবর্ষে পাঁচটা লোকও কি বৌদ্ধশাস্ত্র উদ্ধার করাকে সারাজীবনের ব্রত স্বরূপ গ্রহণ করিতে পারেন না?’’ বিশ্বভারতীর তিব্বতিবিদ্যা বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক সুনীতিকুমার পাঠক সে ডাকে সাড়া দিয়েছিলেন। বিধুশেখর শাস্ত্রী, ক্ষিতিমোহন সেনের কর্মধারার শেষতম প্রতিনিধি সুনীতিকুমার বহু ভাষা শিখেছেন, পায়ে হেঁটে ঘুরেছেন তথ্যানুসন্ধানে। তাঁর লিখিত, অনূদিত ও সম্পাদিত গ্রন্থের সংখ্যা পঁচিশের বেশি। লিখেছেন দু’শোরও বেশি প্রবন্ধ। নানা সম্মানে ভূষিত ৯৪ বছরের এই প্রাণচঞ্চল মানুষটির সঙ্কল্প ভারতের সমাজশাস্ত্র নিয়ে লেখা ও রাহুল সাংকৃত্যায়নের তিব্বতি-সংস্কৃত অভিধানটি সম্পূর্ণ করা। তাঁকে নিয়ে নির্মিত তথ্যচিত্র ‘সাধক’ (পরিচালনায় মধুশ্রী চৌধুরী) প্রদর্শিত হবে ২৮ নভেম্বর বিকেল ৩টেয় এশিয়াটিক সোসাইটির বিদ্যাসাগর হলে, সোসাইটি ও ‘অত্তদীপ’-এর যৌথ উদ্যোগে।

দেবকুমার ৯০

‘‘আজ আমি দীর্ঘ, বৃদ্ধ, চন্দনচর্চিত—/সে সব তোমারি জন্যে, তুমি মহামতি’’। শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের এই স্বীকারোক্তি দেবকুমার বসুর (১৯২৮-২০০৭) প্রতি। শক্তির প্রথম বই হে প্রেম, হে নৈঃশব্দ্য ছাড়াও বিনয় মজুমদারের প্রথম বই নক্ষত্রের আলোয় কিংবা ফিরে এসো, চাকা-রও প্রকাশক তিনি। তাঁর প্রকাশনা ‘গ্রন্থজগৎ’ ছিল একদা কলকাতার অন্যতম প্রধান সংস্কৃতি-চর্চা কেন্দ্র। অফসেট মুদ্রণে প্রথম বাংলা বই ফটকে যেমন প্রকাশ করেছেন, পঞ্চাশের দশকে ‘কবিতামেলা’র অন্যতম উদ্যোক্তাও তিনি। শিশিরকুমার ভাদুড়ীর জীবনের শেষ এক দশক দেবকুমার ছিলেন ছায়াসঙ্গী। তাঁরই উদ্যোগে টেকনিশিয়ান্স স্টুডিয়োতে সত্যজিৎ রায়কে দেওয়া হয় প্রথম সংবর্ধনা। দীর্ঘ দিন সম্পাদনা করেছেন পাক্ষিক পত্রিকা ‘দর্শক’ এবং মাসিক কবিতা পত্রিকা ‘সময়ানুগ’। টেমার লেনে বিশ্বজ্ঞানের দফতরে ‘দেবুদার আড্ডা’ পরিণত হয়েছিল মিথে। ‘অহর্নিশ’ পত্রিকা ‘দেবকুমার বসু ৯০’ উদ্‌যাপন করছে ২৭ নভেম্বর, জীবনানন্দ সভাঘরে, বিকেল সাড়ে পাঁচটায়। বলবেন শমীক বন্দ্যোপাধ্যায় সন্দীপ দত্ত কাঞ্চন সরকার সোমব্রত সরকার। পাঠে সত্যকাম বাগচী ও সোমা মুখোপাধ্যায়।


পাঠক কারা

একাকী গায়কের নহে তো গান। লিখলেই তো শুধু হবে না, পাঠকের চেতনার রঙে সে লেখাকে জেগে উঠতে হবে। আবার অরসিককে যেন রস নিবেদন করতে না হয় সেটাও লেখকের মনোবাঞ্ছা। এ সব নিয়েই সাহিত্যের আড্ডা ‘আমাদের লেখার পাঠক কারা?’ আড্ডায় থাকছেন জয়ন্ত দে, অরিন্দম বসু, সাদিক হোসেন, স্বাতী গুহ। আজ ২৬ নভেম্বর রোটারি সদনে সন্ধে ৬টায় ‘নমিতা চট্টোপাধ্যায় সাহিত্য পুরস্কার ২০১৮’ অনুষ্ঠানে। এ বারে যুগ্ম ভাবে এই পুরস্কার পাচ্ছেন সম্বিৎ চক্রবর্তী ও অনিরুদ্ধ চক্রবর্তী। পৌরোহিত্যে তপন বন্দ্যোপাধ্যায়, বিশেষ অতিথি অমর মিত্র।



শরণার্থী

ভারতের সেনাপ্রধানের মতে ওরা দেশের নিরাপত্তার পক্ষে বড় বিপদ। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বা ইউরোপের রাষ্ট্রসমূহের কাছে ওরা অবাঞ্ছিত পরাশ্রয়ী। পাশাপাশি, ইউরোপের কিছু দেশের মানুষ আবার শরণার্থীদের আশ্রয় দিতে এগিয়েও আসছেন। মায়ানমার থেকে পালিয়ে আশ্রয়প্রার্থী লক্ষ লক্ষ রোহিঙ্গা এখন প্রতিবেশী বাংলাদেশ এবং আমাদের উদ্বেগের কারণ। এঁদের কি জীবনযাপন ও জীবনের নিরাপত্তার কোনও অধিকার প্রাপ্য? থাকলে সেই অধিকার কি রক্ষিত হচ্ছে? এ সব নিয়েই অভিজ্ঞতা ও মতবিনিময় করবেন বিশিষ্ট সমাজবিজ্ঞানীরা। ‘দ্য স্টেট অব দ্য গ্লোবাল প্রোটেকশন সিস্টেম ফর রিফিউজ়িস অ্যান্ড মাইগ্র্যান্টস’ শীর্ষক এই আলোচনা হবে ২৯-৩০ নভেম্বর, আয়োজক ক্যালকাটা রিসার্চ গ্রুপ (সিআরজি)। ২৫ নভেম্বর সূচনা হল, ২৮ পর্যন্ত চলবে সেমিনার ওয়ার্কশপ। আসছেন মেঘনা গুহঠাকুরতা, লরেন্স জুমা ও মেলিসা স্টেন, জীবন ত্যাগরাজ, বুঢ্ঢা সিংহ কেপাচাকি, মুজিব আহমেদ আজ়িজ়ি, ডেভিড নিউম্যান, লুসি নুসিবিয়ে, জেনিফার হাইন্ডম্যান প্রমুখ।


স্বপ্নের উড়ান

মেয়েদের উপর হিংসার বিরুদ্ধে সতত সরব ‘স্বয়ম’। প্রতি বছরই তারা ২৫ নভেম্বর থেকে ১০ ডিসেম্বর এই বিষয়েই জোরদার প্রচার চালায়, নতুন নতুন পরিকল্পনা নিয়ে সক্রিয় হয়। এ বারে স্বয়ম জোর দিচ্ছে ‘যৌন হেনস্তা’ বিষয়ে। তাদের ভাবনায় নিয়মিত প্রচার-অভিযান ছাড়া আছে সাম্প্রতিক ‘মিটু’ আন্দোলন নিয়ে চলচ্চিত্র প্রদর্শন ও আলোচনা, ৩০ নভেম্বর ৪টেয় রোটারি সদনে। কলকাতার বিভিন্ন অঞ্চল মহিলা ও প্রান্তিক মানুষের জন্য কতটা নিরাপদ, কতটা সহজগম্য তা খতিয়ে দেখার জন্য স্বয়ম চালু করছে মোবাইল অ্যাপ ‘মাই সেফটিপিন’। এতে সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি হবে একটি রিপোর্ট, যেখানে উঠে আসবে সমস্যার সার্বিক চেহারা ও সমাধানের দিক্‌নির্দেশ। ১১ ডিসেম্বর হিংসা থেকে রক্ষা পাওয়া মেয়েরা আর্ট কলেজের প্রাক্তনীদের সহযোগিতায় স্বয়ম অফিসের দেওয়ালে আঁকবে একটি মুরাল, ফুটিয়ে তুলবে তাদের স্বপ্নের উড়ান।



ছবি মেলা

দিনকাল বদলেছে। এখন প্রতি মুহূর্তেই যেন অগণিত আলোকচিত্রীর জন্ম হচ্ছে— অবশ্যই সেটা মুঠোফোনের দৌলতে। লাইক, শেয়ার, কমেন্টের মাধ্যমে বিশ্ব জুড়ে তার প্রসারণ ভিন্ন মাত্রায়। এ দিকে আলোকচিত্রীর স্তর আর বিষয় ভেদে তকমাই বা কত রকম। নানান কিসিমের আলোকচিত্র আর আলোকচিত্রীদের নিয়েই এ বার ‘ফোটোগ্রাফি চর্চা’র উদ্যোগে ‘ছবি মেলা’, মোহরকুঞ্জে আজ থেকে ২ ডিসেম্বর। সম্পাদক অরূপ সাধুর (সঙ্গে তাঁরই তোলা একটি ছবি) কথায়, দর্শকদের প্রতি দিন কর্মশিবিরে যোগ দেওয়ার সুযোগ থাকবে।

কবি মার্ক্স

কার্ল মার্ক্সও (১৮১৮-১৮৮৩) কবিতা লিখতেন! তরুণ বেলায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময়। ‘দাস ক্যাপিটাল’-এর লেখক মার্ক্সের আড়ালে লুকিয়ে আছেন যে ভাববাদী, প্রেমিক মার্ক্স, তারই প্রকাশ তাঁর কবিতা। এর ছন্দ, ভাষা, ভাব যথাসম্ভব অক্ষুণ্ণ রেখেই বাংলায় অনুবাদ করেছেন সুদীপ্ত চট্টোপাধ্যায়। সঙ্গে মার্ক্সের তরুণ জীবন, কবিতা-দর্শন নিয়ে আলোচনা। মার্ক্সের দ্বিশতবার্ষিকী উপলক্ষে গ্যোটে ইনস্টিটিউট-ম্যাক্সমুলার ভবন ও ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর ইন্টারকালচারাল স্টাডিজ় অ্যান্ড রিসার্চের যৌথ উদ্যোগে ৩০ নভেম্বর বিকেল সাড়ে ৫টায় ম্যাক্সমুলার ভবনে প্রকাশ পাবে কার্ল মার্ক্সের কবিতা (এবং মুশায়েরা)। সঙ্গে থাকছে লেখক-পাঠক সমাবেশ ‘কথায় কবিতায় এক সন্ধ্যা’।

শিল্পী প্রয়াত

তাঁর বিক্ষত মনের হদিস মিলেছিল গত বছরে। যখন ‘পদ্মশ্রী’ শিরোপা প্রত্যাখ্যান করেছিলেন তিনি। সেতার-সুরবাহারের অন্যতম বিশ্বনন্দিত দূত তথা ৪০০ বছরের পুরনো এটাওয়া বা ইমদাদখানি ঘরানার উত্তরাধিকারী উস্তাদ ইমরাত খান বুঝিয়ে বলেছিলেন, অহঙ্কার এবং ঔচিত্যবোধের ফারাকটা কোথায়! ‘‘সম্মানের প্রতি তাচ্ছিল্য নয়, এই অপারগতার কারণ অন্য। অন্তত কয়েক দশক দেরি হয়ে গিয়েছে। আমার অনুজ শিল্পীরাও আরও বড় স্বীকৃতি পেয়েছেন।’’ সেই অভিমানাহত স্বর এ বার চিরতরে স্তব্ধ হল। গত বৃহস্পতিবার, তাঁর দু’দশকের ঠিকানা আমেরিকার সেন্ট লুইসের হাসপাতালে জীবনাবসান ঘটল ইমরাত খানের। উপযুক্ত সময়ে গুণীকে উপযুক্ত সম্মান জানাতে রাষ্ট্রের ব্যর্থতা স্পষ্ট হল আবারও। কিছু দিন হল নিউমোনিয়ায় ভুগছিলেন ৮৩ বছরের শিল্পী। ইমরাতের ঠাকুরদা ইমদাদ খান, বাবা ইনায়েত খান, দাদা বিলায়েত খানদের পতাকা বহন করে ভারতীয় ধ্রুপদী সঙ্গীতের এই ঘরানার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগ ছিল কলকাতার। পার্ক সার্কাসে পারিবারিক বাসভবনে ইমরাত খানও এসে থাকতেন মাঝেমধ্যে। সেই ১৯৭০ সালে কান চলচ্চিত্র উৎসবে অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন তিনি। বিলায়েত খান ছাড়াও বিসমিল্লা খান, আমেদজান ‘ঠিরাকওয়া’ খান, ভি জি যোগ প্রমুখ শিল্পীর সঙ্গে বাজিয়েছেন ইমরাত খান।

ধর্ম ভাবনা

‘‘হিন্দুদেরও অনেক দোষ আছে, অনেক বৈশিষ্ট্যও আছে; কিন্তু লক্ষ্য করিও, তাহারা সর্বাবস্থায় নিজেদের দেহপীড়নই করে, প্রতিবেশীর অনিষ্ট করে না।’’— স্বামী বিবেকানন্দের এই ‘হিন্দুধর্ম’ রচনাটি-সহ বিশিষ্ট চিন্তকদের ধর্ম বিষয়ক রচনার সঙ্কলন গ্রন্থ ধর্ম-চিন্তন (সম্পাদনা: সুমন ভৌমিক) প্রকাশ পাবে ২৭ নভেম্বর রামকৃষ্ণ মিশন ইনস্টিটিউট অব কালচারের বিবেকানন্দ হলে, বিকেল ৩টেয়। প্রকাশ পাবে প্রয়াত ঐতিহাসিক তপন রায়চৌধুরীর রচনারও গ্রন্থরূপ বাঙলায় ধর্মবোধের রূপান্তরে রাজা রামমোহন রায়। আছে আলোচনাসভা: ‘ধর্ম-চিন্তন: চিন্তাশীল-ধর্ম’। শিকাগো বিশ্বধর্মমহাসভার ১২৫ বছর পূর্তি উদ‌্‌যাপনে এ আয়োজন সূত্রধর-এর।

জন্মদিনে

বাবার ইচ্ছেয় কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ থেকে চিকিৎসাবিদ্যায় স্নাতক হন। রেজ়াল্ট হাতে নিয়ে সরাসরি বাবাকে বলেন, ‘‘আপনার কথা আমি রেখেছি, এ বার আমাকে মুক্তি দিন।’’ এই মুক্তি ছিল ডাক্তারি ছেড়ে অভিনেতা হওয়ার জন্য। শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায় (১৯৩৭-২০০৭) ছোট থেকেই অভিনেতা হতে চেয়েছিলেন।

কলকাতা পুরসভায় অল্প কিছু দিন চাকরি করার পর অভিনয়ই হয় তাঁর সর্ব ক্ষণের নেশা ও পেশা। মৃণাল সেন পরিচালিত ‘আকাশ কুসুম’ (১৯৬৫) চলচ্চিত্রে নায়কের বন্ধুর ভূমিকায় তাঁর প্রথম অভিনয়। পরের চার দশকে তিনি দু’শোরও বেশি বাংলা ও হিন্দি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘চিড়িয়াখানা’, ‘চৌরঙ্গী’, ‘অরণ্যের দিনরাত্রি’, ‘প্রথম কদম ফুল’, ‘ভানু গোয়েন্দা জহর অ্যাসিস্ট্যান্ট’, ‘অমৃতকুম্ভের সন্ধানে’ ইত্যাদি।
তা ছাড়া নাটক, যাত্রা ও দূরদর্শন ধারাবাহিকেও অভিনয় করেছেন শুভেন্দু। বামপন্থী ভাবনার মানুষটি অভিনয় জীবনের শুরুতে গণনাট্য সঙ্ঘে যুক্ত হন। সত্যজিৎ রায়, অজয় কর, অরবিন্দ মুখোপাধ্যায়, তপন সিংহ, সলিল সেন, পার্থপ্রতিম চৌধুরী, পিনাকী মুখোপাধ্যায়, বুদ্ধদেব দাশগুপ্তের মতো অনেক পরিচালকের সঙ্গেই কাজ করেছেন তিনি। উত্তমকুমার ছিলেন
তাঁর অন্তরঙ্গ বন্ধু। ২৯ নভেম্বর বিকেল চারটেয় উত্তরপাড়া জীবনস্মৃতির ডিজিটাল আর্কাইভের উদ্যোগে প্রয়াত অভিনেতার ৮২তম জন্মদিন উপলক্ষে গল্‌ফ গ্রিনে তাঁর স্ত্রী অঞ্জলি চট্টোপাধ্যায়ের বর্তমান বাসভবনে একটি অনুষ্ঠান হবে। স্মৃতিকথনে অঞ্জলি চট্টোপাধ্যায় এবং ‘অভিনয়ের লাবণ্য: শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায়’ শীর্ষকে বলবেন সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়।
অনুষ্ঠান পরিচালনায় অরিন্দম সাহা সরদার।

Kolkatar Karcha Karcha কলকাতার কড়চা Suniti Kumar Pathak Raghu Rai Shubhendu Chattopadhyay
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy