Advertisement
E-Paper

কলকাতার কড়চা

নানা ভাবে ঠাকুর পরিবারের এই তিন সদস্য যে ভারত শিল্পকে ব্রিটিশ শিক্ষা ব্যবস্থার ধরাবাঁধা গত থেকে মুক্তি দিয়েছিলেন তারই অনেকটা সূত্র নির্দেশ ধরা রইল প্রদর্শনীতে। এটি চলবে ২৫ তারিখ পর্যন্ত।

শেষ আপডেট: ০৬ নভেম্বর ২০১৭ ০০:০০

ত্রয়ীর আধুনিকতা

শুধু মাত্র অবনীন্দ্রনাথ, গগনেন্দ্রনাথ ও রবীন্দ্রনাথের আঁকা ছবিই নয়, এ বার তাঁদের শিল্প চর্চার সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন ধরনের নিদর্শনও থাকছে একটি প্রদর্শনীতে। ১০ নভেম্বর আকার প্রকার আর্ট গ্যালারিতে শুরু হচ্ছে ‘দ্য টেগোর ট্রায়াড, মডার্নিজম অ্যান্ড ভিস্যুয়াল কালচার’ শীর্ষক প্রদর্শনী। কিউরেটর দেবদত্ত গুপ্ত। এখানে দেখা যাবে অবনীন্দ্রনাথের অপ্রকাশিত পুঁথি চিত্র ‘অগ্নি উপাসক’-এর পাঁচটি পাতার আর্কাইভাল প্রিন্ট, ১৯৩২-এ আর্ট কলেজের প্রদর্শনীতে থাকা রবীন্দ্রনাথ কৃত কয়েকটি মূল চিত্র ও ছাপাই ছবি, ঠাকুরবাড়ি সূত্রে প্রাপ্ত মূল্যবান সব দুর্লভ আলোকচিত্র, গগনেন্দ্রনাথের কার্টুন চিত্রমালার তিনটি মূল গ্রন্থ বিরূপ বজ্র, নব হুল্লোড়, অদ্ভুত লোকসহ আরও নানা ছবি। দেবদত্ত এই প্রদর্শনীর মাধ্যমে দেখাতে চেয়েছেন প্রথম দিকে আর্ট কলেজের চর্চা ছিল সার্ভে অব ইন্ডিয়া নির্ভর। সেই নির্ভরতা থেকে এই তিন শিল্পী ভারতীয় চিত্রকলাকে মুক্তির রাস্তা দেখিয়েছিলেন। সেই সূত্রেই সার্ভের উদাহরণ হিসেবে ‘অ্যান্টিকুইটিজ অব ওড়িশা’ পর্বের মূল ছবিগুলি এখানে নির্বাচন করা হয়েছে। আর তার ঠিক পাশেই রাখা হয়েছে রবীন্দ্রনাথের নির্দেশে ও অনুপ্রেরণায় সুরেন্দ্রনাথ করের করা শান্তিনিকেতনের একাধিক ঘরবাড়ির মূল নকশা। সেগুলি এক দিকে যেমন ভারতীয় উপাদানে ঋদ্ধ অন্য দিকে নকশাগুলি প্রমাণ করে রবীন্দ্রনাথ স্বয়ং ঔপনিবেশিক স্থাপত্যের দাপটকে নীরবে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন। নানা ভাবে ঠাকুর পরিবারের এই তিন সদস্য যে ভারত শিল্পকে ব্রিটিশ শিক্ষা ব্যবস্থার ধরাবাঁধা গত থেকে মুক্তি দিয়েছিলেন তারই অনেকটা সূত্র নির্দেশ ধরা রইল প্রদর্শনীতে। এটি চলবে ২৫ তারিখ পর্যন্ত। সঙ্গে গগনেন্দ্রনাথের ছোটবেলার আলোকচিত্র, প্রদর্শনী থেকে।

সম্ভাবনা

সেরামিক শিল্প নিয়ে এখানে ভাবনা তেমন ভাবে এখনও ডানা মেলেনি! সাধারণের আগ্রহও কম বিষয়টি নিয়ে, অথচ সম্ভাবনা রয়েছে প্রচুর। শিল্পী পার্থ দাশগুপ্ত বিদেশে গিয়ে এই শিল্পের নানা খুঁটিনাটি কাজ শিখেছেন। অসীম পালেরও শিক্ষা সেরামিক্সে। দুই শিল্পীর সাম্প্রতিক সেরামিক ভাস্কর্য এবং চিত্রকলা নিয়ে ‘ব্রাশ অ্যান্ড ক্লে’ শীর্ষকে একটি প্রদর্শনী আয়োজিত হয়েছে উইভার্স স্টুডিয়োতে। ৪ নভেম্বর এই প্রদর্শনীর উদ্বোধন করলেন রামানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রদর্শনী চলবে ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত, ৩-৮ টা। গত বছর পার্থবাবু শিল্পী জয়শ্রী বর্মণের সঙ্গে নির্মাণ করেছিলেন বেহালার একটি দুর্গামণ্ডপ। সেই নির্মাণপর্ব নিয়ে তৈরি হয়েছে কুড়ি মিনিটের একটি তথ্যচিত্র, দুর্গা ইন মেকিং শীর্ষকে। এটি দেখানো হল ৫ নভেম্বর। সঙ্গে পার্থ দাশগুপ্তর ‘বুদ্ধ’।

বিনোদিনী সভা

ব্যতিক্রমী নাট্যদল হিসেবে পরিচিত ‘অর্ঘ্য’-র উদ্যোগে শহরে ফের ‘বিনোদিনী সভা’। গত চার বছর ধরে এই সভায় মিলিত হচ্ছেন দেশবিদেশের মহিলা পরিচালক, অভিনেতা, শিল্পী, লেখক, শিক্ষাবিদেরা। নিজস্ব ভাষায় তাঁদের জীবনের কথা বলছেন তাঁরা, অভিনয় করছেন, গান গাইছেন, কলা প্রদর্শন করছেন। এ বছরের বিনোদিনী সভা অনুষ্ঠিত হবে ৯-১২ নভেম্বর। বি জয়শ্রী ৯ নভেম্বর জ্ঞান মঞ্চে পরিবেশন করবেন নাটকের গান। ১০ নভেম্বর একই মঞ্চে গান গাইবেন দেশের দুই খ্যাতনামা শিল্পী, তীজন বাই (সঙ্গের ছবি) ও পার্বতী বাউল। তীজনের সঙ্গে থাকবেন তাঁর শিষ্য সীমা ঘোষ। সভার অঙ্গ হিসেবেই ১১ নভেম্বর দুপুর ৩টেয় অ্যাকাডেমি মঞ্চে থাকছে ‘ঊরুভঙ্গম’। ১২-য় জ্ঞান মঞ্চে অভিনীত হবে সোহাগ সেন পরিচালিত ‘সোনাটা’ নাটকটি। প্রতি দিন সকালে আইসিসিআর-এ থাকছে আলোচনাসভা।

অতন্দ্র

রবীন্দ্রনাথের গানের বিশুদ্ধতা রক্ষায় তিনি ছিলেন এক অতন্দ্র প্রহরী। ছোট্ট বয়সেই মায়ের কাছে রবীন্দ্রনাথের গানে হাতেখড়ি। এর পর শান্তিনিকেতনে রসায়নশাস্ত্রে স্নাতক পর্যায়ে অধ্যয়নের সময় সুবিনয় রায় আসেন শৈলজারঞ্জন মজুমদারের সান্নিধ্যে। পরবর্তীতে অনাদিকুমার দস্তিদারের কাছেও শিক্ষা পান। এর পর শাস্ত্রীয় সংগীতচর্চায় ব্রতী হন রমেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় এবং গিরিজাশংকর চক্রবর্তীর তত্ত্বাবধানে। ১৯৪৩ সাল থেকে সুবিনয় আকাশবাণীর নিয়মিত শিল্পী। তাঁর ‘রবীন্দ্রসংগীত সাধনা’ গ্রন্থখানি রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী, শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীদের কাছে আজও অনন্য। এ বার তাঁরই ৯৭তম জন্মদিন উপলক্ষে ৮ নভেম্বর, সন্ধে ৬টায় রামমোহন হলে সর্বভারতীয় সংগীত ও সংস্কৃতি পরিষদ এবং সৃষ্টি পরিষদ আয়োজন করেছে ‘সুবিনয় রায় স্মরণে ও বরণে’ শীর্ষক অনুষ্ঠান। স্মৃতিচারণে অনুপ মতিলাল ও কাজল সেনগুপ্ত। এ দিনই সন্ধে ৬টায় ত্রিগুণা সেন অডিটোরিয়ামে ‘এসেছে সকলে’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে শ্রুতি পরিষদ। একক সংগীত পরিবেশন করবেন শিল্পী-পুত্র সুরঞ্জন রায়।

স্মরণিক

প্রবাসী নাট্যদল ‘স্মরণিক’-এর নিজ উদ্যোগে নিজস্ব নাট্যোৎসব কলকাতায় এই প্রথম দেখা যাবে। বেঙ্গালুরুতে তৈরি হওয়া পাঁচ বছরের এই নাট্যদলটি ইতিমধ্যে চারটি সাড়াজাগানো প্রযোজনা করে ফেলেছে। ভারতের বিভিন্ন জায়গায় করেছে একাধিক নাট্যোৎসবও। এ বার তাদের পাঁচ বছর উপলক্ষে উত্তম মঞ্চে দু’দিনের (১১ ও ১২ নভেম্বর) এক উৎসবের আয়োজন করেছে। রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত, বিভাস চক্রবর্তী ও অরুণ মুখোপাধ্যায়কে সম্মাননা জ্ঞাপনের পর শুরু হবে নাট্যাভিনয়। সন্ধে সাড়ে ৬টায় দেখা যাবে মহেশ দত্তানির নাটক, মেঘনাদ ভট্টাচার্যের অনুবাদ ‘সদিচ্ছার রংবদল’। দ্বিতীয় দিন, দুপুর ৩টেয় সমারসেট মম-এর নাটক ও উৎপল ঝা-র রূপান্তরে ‘সীমন্তিনী’। এবং এই দিন সন্ধে সাড়ে ৬টায় রজত ঘোষের নাটক ‘নটী বিনোদিনী’। নির্দেশনায় সায়নদেব ভট্টাচার্য।

অন্য ভূমিকা

নারীশিক্ষায়, আর্তত্রাণে নিবেদিতার ভূমিকার কথা সুবিদিত। ভারতশিল্পে তাঁর আগ্রহের কথাও আলোচিত। কিন্তু ভারতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নয়নে তাঁর অবদানের কথা তত আলোচিত নয়। এ বার নিবেদিতার জন্মের সার্ধশতবর্ষ উপলক্ষে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনলজি, শিবপুর এই বিষয়েই একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে। অ্যাসিস্ট্যান্ট রেজিস্ট্রার বিভোর দাসের পরিকল্পনায় আয়োজিত এই প্রদর্শনীতে নানা তথ্য-নথির মাধ্যমে দেখানো হয়েছে, বিজ্ঞান গবেষণা প্রতিষ্ঠান গড়তে জামশেদজি টাটা-র পরিকল্পনা সফল করার জন্য নিবেদিতা কী ভাবে লড়াই করেছিলেন, জগদীশচন্দ্র বসুর সহকারী হিসাবে তাঁর কাজ, বসু বিজ্ঞান মন্দির গড়ে তোলার পিছনে নিবেদিতার ভূমিকা ইত্যাদি। প্রদর্শনী চলবে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত।

সজীব বাতাস

স্বদেশ, আত্ম-সংস্কৃতির ভাষা আবিষ্কারেই এখনও রত মার্তা মেজারোস। তাঁর দেশ হাঙ্গেরির সাধারণ নগণ্য ব্যক্তিমানুষের বেদনার কথাই বার বার বলে চলেছেন তিনি, ইতিহাসে ফিরে গিয়ে বলছেন জাতিগত অসহিষ্ণুতার কথাও। ‘‘মার্তা-র নতুন ছবি ‘অরোরা বোরিয়ালিস’ আছে এ বার (সঙ্গের স্থিরচিত্র), আর এই অসহিষ্ণুতার বিরুদ্ধ-বার্তাই উৎসবের মূল মন্ত্র। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মানুষের ভাষা-সংস্কৃতির সঙ্গে হাত মেলাতে পারবেন কলকাতাবাসী।’’ জানালেন যাদব মণ্ডল, কলকাতা চলচ্চিত্রোৎসবের অধিকর্তা। খেয়াল করিয়ে দিলেন এ-দেশের প্রত্যন্তভাষী ছবির বিভাগটির কথাও: ‘আনরেড ইন্ডিয়া: রেয়ার ল্যাঙ্গোয়েজ ইন্ডিয়ান ফিল্মস’। শতবর্ষের শ্রদ্ধার্ঘ্যে রবীন মজুমদার, চল্লিশের দশকেই যিনি বাঙালির প্রিয় রোম্যান্টিক নায়ক এবং গায়কও, তাঁর অভিনীত তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাহিনি অবলম্বনে দেবকী বসুর ছবি ‘কবি’ দেখানো হচ্ছে। আছে মরক্কো-র সাম্প্রতিক সিনেমা। টনি গ্যাটলিফ, নাওমি কাওয়াসে, তাভিয়ানি ব্রাদার্স, রুবেন ওস্তলুন্দ, আকি কাউরিসমাকি প্রমুখ দিকপাল পরিচালকদের নতুন সব ছবি। ১০-১৭ নভেম্বর এক ঝলক সজীব বাতাস এ শহরে।

প্রকৃতির সুর

‘এ যেন পাথরে লেখা কবিতা’— ওঁর কাজ দেখে মন্তব্য করেছিলেন যোগেন চৌধুরী। ভাস্কর গোপীনাথ রায়ের জন্ম ১৯৫৩-র ২৯ মে। কলকাতার সরকারি চারু ও কারুকলা মহাবিদ্যালয় থেকে তিনি মডেলিং এবং স্কাল্পচারে ডিপ্লোমা করেন ১৯৭৮-এ। ভারতীয় ভাস্কর্যের গভীরে নিহিত রয়েছে প্রকৃতির মূল সুরটি— এমনটাই মনে করতেন শিল্পী, মজেছিলেন প্রকৃতির নিজস্বতায়। ১৯৭৯ থেকে দেশবিদেশে ওঁর কাজ প্রদর্শিত হতে থাকে। দেশের বিভিন্ন সংগ্রহে রয়েছে ওঁর কাজ। ২০০০-২০১৩ পর্যন্ত তিনি নিজের কলেজেই অধ্যাপনা করেছেন। মৌসুমি ও শুভব্রত— শিল্পীর কন্যা এবং জামাতা দু’জনেই শিল্পক্ষেত্রে সুনাম কুড়িয়েছেন। বিভিন্ন মাধ্যমে কাজ করলেও পাথর ছিল প্রিয় মাধ্যম। দীর্ঘদিন ধরে যকৃতের অসুখে ভুগলেও মনের জোরে কাজ করে যাচ্ছিলেন। হঠাৎ করেই ২৭ অক্টোবর তিনি প্রয়াত হন। এ দিকে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী চিত্রকূট আর্ট গ্যালারিতে শিল্পীর পূর্বাপর ড্রয়িং, প্রিন্ট এবং ভাস্কর্য নিয়ে প্রদর্শনী মাদার নেচার শুরু হচ্ছে ৮ নভেম্বর ৬টায়। চলবে ১৪ পর্যন্ত, ৩-৮ টা। সঙ্গে তারই একটি।

বিশ্বকর্মা

বিশ্বকর্মা। হিন্দু বৌদ্ধ উভয় পৌরাণিক আখ্যানে, এ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে, এমনকী জাপান, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় তিনিই কারিগরি-প্রযুক্তি শিল্পের প্রতিষ্ঠাতা ও অধিষ্ঠাতা। নিছক দেবতা-র আইকন নন, আমাদের সংস্কৃতিতে অচ্ছেদ্য তিনি। বিভিন্ন সম্প্রদায়ের শিল্পী-কারিগরদের যৌথ চেতনা প্রতিভাত হয় বিশ্বকর্মা-র ভিতর দিয়ে, লিখেছেন আনন্দ কুমারস্বামী। আর মীরা মুখোপাধ্যায়ের রচনায় আছে, বহু অঞ্চলের মানুষজন লোকগাথা-আচার-অনুষ্ঠানের ভিতর দিয়ে নিজেদের ‘বিশ্বকর্মা সম্প্রদায়’ হিসেবে পরিচিত করেন। এ সব নিয়েই এ বারের ‘তরুণ মিত্র স্মারক বক্তৃতা’ দেবেন অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির নৃতত্ত্বের শিক্ষক কিরণ নারায়ণ এবং কেন জর্জ: ‘বিশ্বকর্মা অ্যাক্রস ইন্ডিয়া অ্যান্ড বিয়ন্ড: টুলস অ্যান্ড ওয়ার্ল্ড-মেকিং’। ১০ নভেম্বর বিকেল ৫টায় যদুনাথ ভবনে। আয়োজনে দুই প্রতিষ্ঠান— আমেরিকান ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ান স্টাডিজ ও সেন্টার ফর স্টাডিজ ইন সোশ্যাল সায়েন্সেস, কলকাতা।

বিশিষ্টাবিশিষ্ট

সমর সেন (১৯১৬-৮৭) জন্মশতবার্ষিকী আলোচনাচক্রের আয়োজন করেছে সাহিত্য অকাদেমি। আজ এবং আগামী কাল, দু’দিনের এই অনুষ্ঠানে বিভিন্ন অধিবেশনে থাকবেন অনেক বিশিষ্ট বিদ্বজ্জন। না, আয়োজকদের হিসেব মানলে হয়তো একটু ভুল হল। কারণ অকাদেমির মুদ্রিত অনুষ্ঠানসূচিতে ‘বিশিষ্ট’ বিশেষণটি প্রয়োগ করা হয়েছে কেবল উদ্বোধনী অধিবেশনের আমন্ত্রিত অতিথিদের ক্ষেত্রে। ‘বিদ্বজ্জন’ও তাঁদের, সবাই নন, একাংশ। আর, বাকি দিনগুলিতে যাঁরা বিভিন্ন বিষয়ে নিবন্ধ পাঠ করবেন, কথা বলবেন, সভা পরিচালনা করবেন, অনুষ্ঠানসূচিতে তাঁদের জন্য কোনও বিশেষণ নেই, কোনও পরিচিতি নেই, প্রত্যেকেরই নামমাত্র সার।

পরিচালক

বিশ বছর আগে তৈরি ‘ওয়েলকাম টু সারাজেভো’ তাঁকে পাকাপাকি ঠাঁই করে দিয়েছিল সারা দুনিয়ার দর্শকের কাছে, বসনিয়ার যুদ্ধ দুটো বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপকে ফের কী ভাবে বিপন্ন করে তুলছে তা উঠে এসেছিল ছবিটিতে। এর বছর কয়েক পর নতুন শতকে তাঁর ‘দ্য রোড টু গুয়ানতানামো’, তত দিনে ‘রোড মুভি’ বানানোয় বেশ যশ হয়েছে ব্রিটিশ ছবি-করিয়ে মাইকেল উইন্টারবটম-এর। দু’টি ছবিই দেখানো হচ্ছে আসন্ন কলকাতা চলচ্চিত্রোৎসবে, অতিথি হিসেবে তিনি উপস্থিতও থাকবেন। দেখানো হবে টমাস হার্ডি-র উপন্যাস ‘দ্য মেয়র অব ক্যাস্টারব্রিজ’ অবলম্বনে তাঁর ‘দ্য ক্লেম’। হালফিলের ‘অন দ্য রোড’-সহ আরও কয়েকটি ছবি। উৎসবের ফোকাস এ বার ইংল্যান্ডের ফিল্ম, তাতেই তাঁর এই রেট্রো-র আয়োজন। ৫৬ বছরের স্বাধীনচেতা উইন্টারবটম বরাবরই ইংল্যান্ডের চালু ঘরানার বাইরে, বলেছেনও ‘আই ডোন্ট থিংক দেয়ার ইজ এভার বিন আ গুড টাইম টু ওয়ার্ক ইন দ্য ব্রিটিশ ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি’। অক্সফোর্ডে ইংরেজি নিয়ে পড়াশোনার পর ব্রিস্টলে ফিল্মশিক্ষা, ছবি তৈরির হাতেখড়ি লিন্ডসে অ্যান্ডারসন-এর কাছে, যিনি ব্রিটিশ সিনেমায় ঝড় তুলেছিলেন ফ্যাশনদুরস্ত সিনেমার নিয়মকানুন ভেঙে। উত্তরসূরি উইন্টারবটমের লো-বাজেট ছবিতেও
তাই তেতো হিউমার, শ্লেষ, বে-আব্রু অভিজাততন্ত্র, রাজনীতি, প্রতিবাদ। জার্মান পরিচালক ফাসবিন্দার তাঁর আদর্শ। উৎসবের সেমিনারেও বলবেন, বিষয়: ‘আ নিউ স্প্রিং ইন ব্রিটিশ সিনেমা’।

Kolkatar Korcha
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy