Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

কলকাতার কড়চা: ফিরে এল হারানো পাখিরা

চিত্রকূট আর্ট গ্যালারি আহ্বান করে এনেছে এত পাখি? ৪৯টা পাখির ছবির প্রদর্শনী, ‘বার্ডস অব প্যারাডাইস বাই মাস্টার্স’। তার ২৪টাই এঁকেছেন কিনা অবনীন্দ্রনাথ!

শেষ আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০১৮ ০০:৩৭
Share: Save:

ফিরে এল হারানো পাখিরা

এত পাখির উত্তরাধিকারী নাকি আমরা! আমাদের ‘ভোরের দয়েল পাখি’, রাতের চোখ গেল আর নিঝুম দুপুরের স্যাকরা পাখির একটানা টোক-টোক-টোক-টোক আমাদের সামূহিক স্মৃতির অলিন্দে পাকাপাকি থেকে গিয়েছে সাহিত্যের কল্যাণে। নইলে আজকের নাগরিক কর্ণকুহর থেকে বিদ্যুৎরজ্জু বার করে নিলেও, মোবাইলের গলা টিপে ধরলেও, এই সব বিহঙ্গস্বর থেকে যেত অশ্রুত। গাছ নেই, পাখি নেই, সবুজ নেই, দারুণ দহনবেলা। আজ তাদের ঠাঁই কেবল ছাপা বইয়ের কালো হরফে, ধূসর স্মৃতির অলিন্দে! তাই তো চমক লাগে। চিত্রকূট আর্ট গ্যালারি আহ্বান করে এনেছে এত পাখি? ৪৯টা পাখির ছবির প্রদর্শনী, ‘বার্ডস অব প্যারাডাইস বাই মাস্টার্স’। তার ২৪টাই এঁকেছেন কিনা অবনীন্দ্রনাথ! আঁকবেন নাই বা কেন? তাঁর কানে ছোটবেলার শব্দ মানে আলসের কোণে বসা দুটো নীল পায়রার পড়া মুখস্থ করা, পাকপাখম…মেজদি…সেজদি… পাকপাখম…মেজদি…সেজদি…। বাবামশায় গুণেন্দ্রনাথের ছিল পাখির শখ। জোড়াসাঁকোয় এমনকী কোন্নগরের বাগানবাড়িতেও এনে রেখেছিলেন প্রচুর পাখি, চিনে মিস্ত্রি ডেকে তাদের বিশাল খাঁচা বানানো হয়েছিল। ‘‘…দুপুরে ওড়ে প্রজাপতি, ঝোপে ডাকে ঘুঘু, আর কাঠ-ঠোকরা থেকে থেকে। ময়ূর বেড়ায় পাখনা মেলিয়ে রাজহংস দেয় সাঁতার, ফোহারাতে জল ছোটে সকাল বিকেল। সারস ধরে নাচ বাদলার দিনে…’’। একবার এক ফিরিঙ্গি ছোকরা টুনিসাহেবের সঙ্গে ষড় করে খাঁচা খুলে সমস্ত ক্যানারি পাখি দিয়েছিলেন উড়িয়ে। এখানে তাঁর আঁকা একটা পটে দেখা গেল একটা ইউরোপিয়ান গোল্ডফিঞ্চ তার ডানার হলুদ আর মাথার লালের গর্ব ফলাও করছে দর্শকদের উদ্দেশে। আছেন রবীন্দ্রনাথ, গগনেন্দ্রনাথ (সঙ্গে তাঁর আঁকা একটি ছবি), নন্দলাল বসু, যামিনী রায়, গোপাল ঘোষ, রমেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, কালীকিংকর ঘোষদস্তিদার, জয়নুল আবেদিন ও গণেশ পাইন। গ্যালারির কর্ণধার প্রকাশ কেজরিওয়াল জানালেন, দিনে দিনে তাঁর সংগ্রহে এত পাখি জমেছে তা হঠাৎ খেয়াল হতেই এই প্রদর্শনীর আয়োজন। চলবে ৯ মে অবধি (৩-৮টা)।

চিড়িয়াখানা

‘‘বাবা ‘হুডানইট’ পদ্ধতি মাথায় রেখে ‘চিড়িয়াখানা’র চিত্রনাট্য লিখেছিলেন। ব্যোমকেশ-কাহিনির যে প্রধান গুণ সেই সামাজিক চিত্রটি চমৎকার ধরা পড়েছে স্ক্রিপ্টে।’’ বলছিলেন সন্দীপ রায়, চিড়িয়াখানা সম্পূর্ণ (পত্রভারতী) প্রসঙ্গে। শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপন্যাসটি ছাড়া থাকছে ফিল্মটির সত্যজিৎ-কৃত বিজ্ঞাপন, পোস্টার, বুকলেট, স্টিল, স্ক্রিবল, স্কেচ— সবই। ২০১৭-য় ছবিটির পঞ্চাশ পূর্তি উপলক্ষেই এই প্রকাশ, প্রকাশক ত্রিদিবকুমার চট্টোপাধ্যায়কে সন্দীপই বলেছিলেন, সাহিত্য ও সিনেমাকে এ ভাবে এক মলাটে নিয়ে আসতে, যাতে উপন্যাস থেকে সিনেমার চিত্রনাট্যে বিবর্তনের টেকনিকও বোঝা যায়। ২ মে সত্যজিতের ৯৮তম জন্মদিনে তাঁর বাসভবনে বইটির (সঙ্গে প্রচ্ছদ) আনুষ্ঠানিক প্রকাশ। সোমনাথ রায় সম্পাদিত ‘এখন সত্যজিৎ’ পত্রিকার আয়োজনে সত্যজিৎকে নিয়ে কুইজ ৫ মে নন্দনে বিকেল ৫টায়। লিলি চক্রবর্তী ও অলকানন্দা রায়কে সংবর্ধিত করা হবে, গৌতম ঘোষ বলবেন ‘অরণ্যের দিনরাত্রি’ নিয়ে। সৃষ্টি পরিষদ আয়োজিত ‘সত্যজিৎ রায়ের ছবি ও গানের জলসাঘরে’ অনুষ্ঠানে সত্যজিতের ছবির গানগুলি গাইবেন এ-প্রজন্মের শিল্পীরা। ১ মে উত্তম মঞ্চে সন্ধে ৬টায়, বিশেষ অতিথি মাধবী মুখোপাধ্যায়।

উনিশে এপ্রিল

উনিশে এপ্রিল অক্সফোর্ড বুক স্টোর সরগরম হয়ে উঠেছিল। এপিজে বাংলা সাহিত্য উৎসবের অঙ্গস্বরূপ আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু ছিলেন অকালপ্রয়াত চলচ্চিত্রকার ঋতুপর্ণ ঘোষ। চপল ভাদুড়ি জানালেন, ‘‘এবং ঋতুপর্ণ’ টক-শো করার কিছুদিন আগে প্রথম পরিচয়। পরে ‘আরেকটি প্রেমের গল্প’ ছবিতে ওঁকে আরও বেশি জানার সুযোগ হয়েছিল।’’ দেবজ্যোতি মিশ্রের কথায়, “উনিশে এপ্রিল’ ছবির সেটে কাছাকাছি, পরে ওঁর সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা। কোনও অভিনন্দনই যেন ওঁকে রেখাপাত করত না, শুধু বলতেন, এটা আমার করার ছিল তাই করেছি।’’ সঙ্গীতা দত্ত স্মিত কণ্ঠে বললেন, ‘‘প্রতিনিয়ত নতুন কিছু করার তাগিদ ওঁকে তাড়া করত। ঋতুপর্ণ ঘোষকে নিয়ে করা আমার ডকুমেন্টারি ‘সন্ধের পাখি’ (Bird of dusk) খুব শীঘ্রই লন্ডন ও নিউ ইয়র্কে প্রদর্শিত হবে।’’ অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় সাবলীল ছিলেন রেডিয়ো জকি রয়।

শৈল দেবী

মাত্র ২৬ বছরের জীবন, তার মধ্যে সঙ্গীতজীবন শুধু ৬ বছরের। শৈল দেবী (১৯১৮-৪৪) স্বামী শচীন্দ্রনারায়ণ দেবের সঙ্গে কলকাতায় আসেন সুরসাগর হিমাংশু দত্তের আহ্বানে। শুরুটা হিমাংশু দত্তের সুরে হলেও পরে রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, শচীনদেব বর্মন প্রমুখের গানও তিনি রেকর্ড করেন। যেমন শৈলেশ দত্তগুপ্তের সুরে ও প্রণব রায়ের কথায় ‘নীলসাগরের আর্সিতে মুখ দেখে চাঁদ’, কিংবা প্রমথেশ বড়ুয়ার ‘শাপমুক্তি’ ছবিতে অনুপম ভট্টাচার্যের সুরে ও অজয় ভট্টাচার্যের কথায় ‘একটি পয়সা দাও গো বাবু’র মতো বহু জনপ্রিয় গান তিনি গেয়েছেন। একশোরও বেশি রেকর্ড বেরিয়েছিল তাঁর, অধিকাংশই খুব জনপ্রিয় হয়। প্রথম গান শেখা মা শশীবালা দেবীর কাছে। কলকাতায় এসে ভীষ্মদেব চট্টোপাধ্যায়, কৃষ্ণচন্দ্র দে-র কাছেও পাঠ নেন। সম্প্রতি পেরেনিয়াল রেকর্ডস প্রকাশ করল ‘স্মরণীয় শৈল দেবী’ শীর্ষক অ্যালবাম।

সম্মান

নিজের রোজগারের অর্থে অভাবী ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার সামগ্রী সাধ্যমতো জোগান দেন। স্বপন অধিকারী, রিকশাচালক, বালুরঘাটের মানুষ, বয়স ৭৫। দু’বছর আগে অবধিও রিকশা চালিয়েছেন, ষাট বছরেরও বেশি তাঁর চালক-জীবন। নিজের অনটনগ্রস্ত পরিবারের অন্নসংস্থানের পরেও কখনও পিছপা হননি অসহায়-অসমর্থ ছাত্রছাত্রীর পাশে দাঁড়াতে। চার দশকেরও বেশি সময় ধরে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ৭০-৮০টি স্কুলের প্রায় পাঁচশো জন ছাত্রছাত্রী তাঁর পরিষেবায় উপকৃত। এই মানুষটিকেই তাঁর আজীবন সমাজহিতৈষণামূলক কর্মকাণ্ডের সুবাদে ‘স্বামী আত্মস্থানন্দ জন্মশতবর্ষ স্মারক-সম্মান’ দিচ্ছে সূত্রধর প্রকাশনা। আজ স্বামী আত্মস্থানন্দের জন্মশতবর্ষ উদ্‌যাপনের শুভ সূচনা, সেই উপলক্ষেই ১২ মে বিকেল ৫টায় রামকৃষ্ণ মিশন ইনস্টিটিউট অব কালচার, গোলপার্কের বিবেকানন্দ হলে সে সম্মান স্বপনবাবুর হাতে তুলে দেবেন স্বামী বিমলাত্মানন্দ। তিনি-সহ স্বামী বামনানন্দ, স্বামী দিব্যানন্দ, স্বামী বিশ্বময়ানন্দ, স্বামী শিবপ্রদানন্দের শ্রদ্ধাকথন স্বামী আত্মস্থানন্দকে ঘিরে। প্রাক-কথনে স্বামী সুপর্ণানন্দ। সঙ্গে রামকৃষ্ণ মিশনের উদ্ভব ও প্রসার বিষয়ে বহুবিধ গ্রন্থের প্রকাশ, বিশেষ ভাবে উল্লেখ্য: স্বামী আত্মস্থানন্দের রামকৃষ্ণ মিশন: স্বামীজীর দর্শনের পরিপূর্ণ রূপ-সহ আরও তিনটি গ্রন্থ।

প্রাক্তনীদের উদ্যোগ

বাগবাজার মাল্টিপারপাস গার্লস স্কুলের প্রাক্তনী সংগঠনের পাঁচ বছর পূর্ণ হবে এ বছর জুলাই মাসে। শুরুটা ছিল নিতান্তই স্কুলকেন্দ্রিক। ২০১৪ সালে যখন জানা গেল স্কুলের ছাত্রী প্রতিভাবান বাঁহাতি তিরন্দাজ ধনুকের অভাবে ঠিকমতো অনুশীলন করতে পারছে না, তখন সংগঠন তার পাশে দাঁড়ায়। অঙ্কিতা ভকত এখন ভারতীয় তিরন্দাজ দলের প্রথম সারিতে। ধীরে ধীরে যখন চোখে পড়ল সংগঠনেরই কেউ কেউ পাশে দাঁড়িয়েছেন অটিস্টিক শিশুদের অথবা সুন্দরবনের প্রত্যন্ত গ্রামের শিশুদের শিক্ষায় ব্রতী, তখন থেকেই চেষ্টা শুরু হল নানা ভাবে বাড়িয়ে দেওয়া হাতগুলো ধরতে। এই প্রয়াসে তারা পাশে পেয়েছে ‘গণকৃষ্টি’র মতো নাট্যদলকে। প্রাক্তনী সংগঠনের অর্থ সংগ্ৰহের প্রচেষ্টায় নিবেদন আন্তর্জাতিক নাট্য অলিম্পিয়াডে মনোনীত নাটক ‘তোমার আমি’। ৫ মে মোহিত মৈত্র মঞ্চে সন্ধে ৬টায়।

সাহিত্যিক-স্মরণ

গল্প লেখাই বেশি পছন্দ ছিল, তবু সাহিত্য-সংস্কৃতির নানা বিষয় নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় অসংখ্য নিবন্ধ লিখেছেন চার দশকেরও বেশি। সত্তর দশকে শিল্পীবন্ধু প্রণবেশ মাইতির প্রচ্ছদে প্রকাশ পায় সুব্রত নিয়োগীর প্রথম বই আজ বুধবার। তিন বছর একটি বাংলা দৈনিকের রবিবাসরীয়তে লিখছিলেন ‘খোলামকুচি’, আর একটি সাপ্তাহিকে দীর্ঘ কাল ধরে গ্রন্থ-আলোচনা। লিখেছেন ছোটদের উপন্যাসও। আনন্দমেলা-য় ‘বকখালিতে বিপদ’ ধারাবাহিকটি জনপ্রিয় হয়েছিল। লিখেছেন ভাই ও শিশুসাহিত্যিক দেবব্রত নিয়োগী সম্পাদিত ‘হৈ হৈ’ পত্রিকায়। পিতা নগেন নিয়োগীও ছিলেন ঔপন্যাসিক এবং স্বাধীনতা সংগ্রামী। জন্ম ঝরিয়ায়, ১৯৩৯। ছাত্রাবস্থায় সুকুমার সমাজপতির অধিনায়কত্বে গোলকিপিংও করেছেন। তাঁর সম্পাদনায় বেরোলো একালের বাংলা গল্প (এবং মুশায়েরা), ফেব্রুয়ারিতে ‘দেশ’-এ বেরোলো শেষ গল্পটি। বন্ধুবৎসল আড্ডাবাজ মানুষটি চলে গেলেন হঠাৎই। ৫ মে সন্ধে সাড়ে ৬টায় সংবর্ত সভাঘরে সুনীল জানার পৌরোহিত্যে তাঁকে নিয়ে স্মরণ অনুষ্ঠান, আয়োজনে কলকাতা কালচারাল সেন্টার।

প্রথম অ্যালবাম

তাঁর সঙ্গীত শিক্ষাজীবন প্রায় চল্লিশ বছরের। চার বছর বয়সে নাড়া বেঁধে শিক্ষার সূচনা পবিত্র দাশগুপ্তের কাছে। পরে তিনি সুকুমার দে-র কাছে উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত শিক্ষা করেন। এ ছাড়া আধুনিক ও নজরুলগীতি, গজল, ভজন ও রাগপ্রধানের নিরন্তর তালিম নিয়েছেন। বিশাল যৌথ পরিবারে বিবাহ হয়ে আসা এই শিল্পীর স্বামী, সদ্যপ্রয়াত সমীর বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গীত বিভাগের ডিন। কিন্তু অপর্ণা বন্দ্যোপাধ্যায় নিরন্তর সঙ্গীতচর্চাতেই ব্যাপৃত ছিলেন, প্রচারের আলো চাননি কখনও। বহু ছাত্রছাত্রীকে বিনা পারিশ্রমিকে নিজের আনন্দে গান শিখিয়েছেন। এরই মধ্যে শরীরে বাসা বেঁধেছে ক্যান্সার। মনের জোরে আর গানকে সম্বল করে সামলেছেন রোগযন্ত্রণা। এ বার দুই কন্যা ও ছাত্রছাত্রীদের অনুরোধে রেকর্ডিং রুমে ঢুকেছেন। তারই ফসল তাঁর প্রথম অ্যালবাম ‘প্রান্তিক’— দুটি খণ্ডে মোট ১৪টি গান। সাতটি বাংলা রাগপ্রধান ও নজরুলগীতি; আর সাতটি ভজন, ঠুম্‌রি ও গজল (হিন্দুস্থান রেকর্ডস)। সঙ্গীতায়োজনে অঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়। ১ মে বিকাল সাড়ে পাঁচটায় আইসিসিআরে এটি প্রকাশ করবেন গৌতম ঘোষ। অপর্ণা নিজে গাইবেন, আর গাইবেন বাংলাদেশের বিশিষ্ট শিল্পী ফেরদৌসী কাকলি ও সাইফুল ইসলাম খান শুভ।

শিল্পচর্চা

শিল্পক্ষেত্রের উল্লেখযোগ্য বিষয়গুলি নিয়ে কিছুকাল যাবৎ প্রকাশিত হচ্ছে আর্ট ইস্ট পত্রিকা। বিষয় বৈচিত্র, প্রকাশনা মানে ইতিমধ্যেই নজর কেড়েছে পত্রিকাটি। নেপথ্যে রয়েছে শিল্পী যোগেন চৌধুরীর যোগ্য নেতৃত্ব। এ বারের নির্বাচিত বিষয় ‘মিউজিয়াম’। বিশিষ্ট লেখকরা কলম ধরেছেন ভারত তথা বিশ্বের সংগ্রহশালা সংক্রান্ত নানা বিষয় নিয়ে। চমৎকার ছবিসমৃদ্ধ সংখ্যাটিতে রয়েছে স্মৃতিকথা এবং শিল্প সংবাদ। প্রধান সম্পাদক তাপস কোনার জানালেন, ‘‘পরিকল্পনা আছে ইংরেজির সঙ্গে একটি বাংলা পত্রিকা প্রকাশের, যাতে এই অঞ্চলের শিল্প-সংস্কৃতি সমৃদ্ধ হয়।’’

শিশু-সুরক্ষা

খবরের কাগজ খুললেই শিশু নিগ্রহের খবর। নজর এড়ায়নি প্রবাসী প্রযুক্তিবিদ জয়দীপ চক্রবর্তীর। জিপিএস প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে তিনি তৈরি করেছেন মাইক্রোচিপ নির্ভর একটি পরিচয়পত্র। যে কোনও অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটলে সঙ্গে সঙ্গেই চিপটি তা জানিয়ে দেবে অভিভাবককে এবং স্কুলে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে কাজ করে ‘হিপলা’, এ বার তারা এল শিশু নিরাপত্তায়। কলকাতার ছেলে জয়দীপ রাজারহাটে গড়ে তুলেছেন নিজস্ব দফতর। সম্প্রতি গ্র্যান্ড হোটেলে একটি অনুষ্ঠানে এই প্রযুক্তির প্রয়োগ করে দেখালেন তিনি।

ভাদ্রজা

মানভূমের ভাদু দেবী না মানবী? রাজবালা না নিম্নবর্গসূতা? তার আসল নাম ভদ্রাবতী না ভদ্রেশ্বরী? ভাদুর আখ্যানে কতটা মিথ আর কতটা মিথ্যে? কতটা সাময়িক আর কতটা শাশ্বত?— এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই স্পেক্টঅ্যাক্টর্স নাট্যগোষ্ঠীর নতুন প্রযোজনা ‘ভাদ্রজা’। জানালেন নাটককার ও নির্দেশক সুদীপ্ত চট্টোপাধ্যায়। তাঁদের এই নাটকটির ভিতর দিয়ে ‘চিরন্তনের মাত্রায়, সমকালের নিরিখে’ উল্লেখিত প্রশ্ন বা বিষয়গুলিকে পড়তে চেয়েছেন সুদীপ্ত, ‘‘ভাদুকে নিয়ে কাজ আগে যে হয়নি তা নয়, তবে আমাদের চেষ্টাটা একটু অন্য পথে... লোকনাট্যের আঙ্গিক থেকে বেরিয়ে, ভাদুর ইতিহাসের জটিলতাকে যথাসম্ভব খুলে ও তুলে ধরার প্রয়াসে। ভাদুগানের মর্মভেদ করতে গিয়ে ভাদুর প্রতিষ্ঠায় রাজবাড়ির রহস্যময় ভূমিকা সম্বন্ধে কিছু অনুমানও ভেসে ওঠে। অনেকগুলি কাহিনিস্রোত, ভিন্ন ভিন্ন সময়ের মাত্রা নিয়ে, এসে মিশেছে নাটকটিতে। খণ্ড খণ্ড এমন দৃশ্য জুড়ে-জুড়েই তৈরি হয়েছে ভাদ্রজা।’’ প্রথম অভিনয় ৩ মে জ্ঞান মঞ্চে সন্ধে সাড়ে ৬টায়। সুদীপ্ত বিশিষ্ট নাটককার হয়ে উঠেছেন অল্প বয়স থেকেই, এখন নির্দেশনার পাশাপাশি অভিনয়ও করেন। লালনকে নিয়ে ‘ম্যান অব দ্য হার্ট’ প্রযোজনাটিতে তাঁর অভিনয় স্মৃতিধার্য বাঙালির মনে। ফিল্মেও প্রধান ভূমিকায় অভিনয় করেছেন: বুদ্ধদেব দাশগুপ্তের ছবি ‘টোপ’। আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিসম্পন্ন, শিল্পতত্ত্বের গবেষক ও শিক্ষক এই মানুষটির নাটকে হাতেখড়ি অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায় ও রিচার্ড শেখনারের কাছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Kolkatar Korcha
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE