সাজ: এই জলাশয় ও পার্কের উদ্বোধন হল শুক্রবার। ছবি: শশাঙ্ক মণ্ডল
ছিল শুকনো ডোবা। হয়ে গেল সুসজ্জিত পুকুর। পাশে সেজে উঠল অবহেলায় থাকা একটি শিশু উদ্যানও। কলকাতা পুরসভার ১০ নম্বর বরোর অধীন ৯৪ নম্বর ওয়ার্ডের প্রিন্স গোলাম মহম্মদ শাহ রোডের উপরে নতুন ভাবে সেজে ওঠা সেই পার্ক ও জলাশয়টির শুক্রবার সন্ধ্যায় উদ্বোধন করলেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। পার্কটি নৃত্যশিল্পী গোবিন্দন কুট্টির স্মৃতিতে তাঁর নামে উৎসর্গ করা হল।
এই পর্যন্ত ঠিক ছিল। কিন্তু গোল বাঁধল. সেই কাজ কে করেছে তা জানতে গিয়েই। খবর নিতে গিয়ে পরতে পরতে উঠে এল রাজ্য সরকার ও কলকাতা পুরসভার মধ্যে সমন্বয়ের অভাবের দৈন্য ছবি। দশ নম্বর বরোর চেয়ারম্যান তপন দাশগুপ্ত বলেন, “কাজটি করেছে পুরসভার উদ্যান এবং পিএমইউ দফতর| একই কথা জানান পুরসভার উদ্যান দফতরের এক আধিকারিক। কিন্তু পুরসভার পিএমইউ দফতর থেকে জানানো হয়, তারা এমন কোনও কাজই করেনি।
তবে কাজ করেছে কে?
ফের যোগাযোগ করা হয় দশ নম্বর বরোর এক আধিকারিকের সঙ্গে। তিনি জানান, কেএমডিএ কাজ করেছে। কিন্তু কেএমডিএ-র এক আধিকারিক ইঞ্জিনিয়ার জানান, তাঁরাও এমন কোনও পার্ক বা জলাশয় পুনরুদ্ধারের কাজ করেননি, যেটির আজ উদ্বোধন হওয়ার কথা।
অবশেষে জট কাটল মন্ত্রীর দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করে। প্রায় বুজে যাওয়া ডোবাটি সংস্কার করে নতুন করে সাজিয়ে তোলার মূল কাজটি করেছে জল সম্পদ উন্নয়ন দফতর। খরচ হয়েছে প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা। এ ছাড়াও পুকুরকে ঘিরে থাকা শিশু উদ্যানটি নতুন করে সাজানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল কলকাতা পুরসভার উদ্যান দফতরকে। ঘাস লাগিয়ে, নতুন গাছ বসিয়ে ও ছোটদের জন্য নতুন খেলনা বসাতে উদ্যান দফতর খরচ করেছে চার লক্ষ টাকা। এ ছাড়াও রয়েছে মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের বিধায়ক তহবিলের টাকা।
দফতর সূত্রে খবর, বহু পুরনো ডোবা এটি। এলাকার আবর্জনা ফেলে ঠাকুর বিসর্জন দিয়ে প্রায় বুজে গিয়েছিল। চারদিকে আগাছায় ঘেরা ছিল। সেখানেই শাল বল্লা বসিয়ে নতুন করে মাটি খুঁড়ে পুকুরটিকে পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। চার দিকে হাঁটার জন্য পাথওয়ে করা হয়েছে। এলইডি আলোয় সাজিয়ে তোলা হয়েছে পার্ক। গ্রিল দিয়ে ফেন্সিংও করা হয়েছে।
তবু প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে কেন এত সমন্বয়ের অভাব?
নিরুত্তর পুরসভা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy