ফাইল চিত্র।
স্বাস্থ্যের (ফিটনেস) শংসাপত্র ছাড়া পথে নামা বাস-মিনিবাসের বিরুদ্ধে ফের কড়া হচ্ছে পুলিশ। যাত্রী পরিবহণ করছে যে সব বাস এবংমিনিবাস, তাদের ফিটনেস শংসাপত্র রয়েছে কি না, তা ফের খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছে লালবাজার। শুক্রবার রাতে কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনারের (ট্র্যাফিক) তরফে পাঠানো সেই নির্দেশে প্রতিদিন বাসের বিরুদ্ধে এই অভিযান চালাতে বলা হয়েছে শহরের ট্র্যাফিকগার্ডগুলিকে। একই সঙ্গে ফিটনেস সার্টিফিকেট ছাড়া পথে নামা কত সংখ্যক বাসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হল, প্রতিদিন কয়েক দফায় সেই পরিসংখ্যানও ট্র্যাফিক কন্ট্রোল রুমকে জানাতে বলা হয়েছে।
লালবাজার সূত্রের খবর, শুক্রবারের ওই নির্দেশেফিটনেস শংসাপত্র ছাড়া পথে নামা বাসের বিরুদ্ধে আইন মেনে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। নয়া ট্র্যাফিক জরিমানা-বিধিতে ফিটনেস শংসাপত্র না থাকলে এককালীন ১০হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা করার কথা রয়েছে। ট্র্যাফিক পুলিশের এক কর্তা জানান, যাত্রী-বোঝাই বাসের ফিটনেস শংসাপত্র না থাকলে সেটিকে সাইটেশন করে ছেড়ে দেওয়া হবে। আবারকোনও নথি দেখাতে না পারলে সেই বাস বাজেয়াপ্ত করা যায় কি না, সেটাও দেখতে হবে।
গত ৩০ জানুয়ারি ধর্মতলার কাছে এস এন ব্যানার্জি রোডেএকটি বেপরোয়া গতির মিনিবাস উল্টে জখম হন কয়েক জন যাত্রী। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, হাওড়া আরটিও-র অধীন ওইবাসটির ফিটনেস শংসাপত্র ছিল না। তা সত্ত্বেও শহরের রাস্তায় যাত্রী পরিবহণ করছিল সেটি। এর পরেই যে সমস্ত বাস ফিটনেসশংসাপত্র ছাড়া চলাচল করছে, সেগুলি অবিলম্বে বাজেয়াপ্ত করার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেন পরিবহণমন্ত্রী। যার ফলে লালবাজারের নির্দেশ মেনে বাসের ফিটনেস শংসাপত্রদেখতে চেয়ে কড়াকড়ি শুরু করে ট্র্যাফিক পুলিশ। একাধিক বাসের বিরুদ্ধে সে সময়ে ব্যবস্থা গ্রহণকরা হয়।
অভিযোগ, সে সময়ে পুলিশি অভিযান শুরু হতেই রাস্তাথেকে উধাও হয়ে যায় প্রচুর বাস। একই সঙ্গে বাসমালিকদের সংগঠনের তরফে সেই অভিযান নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয় এবং সরকারি হস্তক্ষেপের দাবি জানানো হয়। অভিযোগ, এর পরেই আচমকা বাসের ফিটনেস শংসাপত্রখতিয়ে দেখার বিশেষ অভিযান বন্ধ হয়ে যায়।
পুলিশের একাংশের মতে, শহরের রাস্তায় একাধিক বাসফিটনেস শংসাপত্র ছাড়া চলছে। একই সঙ্গে ইএম বাইপাস দিয়েচলাচলকারী বিভিন্ন বেসরকারি বাসের রুট পারমিটও নেই। কিন্তু প্রভাবশালীদের যোগসাজশে সেগুলির বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয় না বলে অভিযোগ।
ট্র্যাফিক পুলিশের একাধিককর্তা জানিয়েছেন, শনিবার পথে সাধারণত বাসের সংখ্যা কম থাকে। তার মধ্যে মিছিল, মিটিংয়ে ব্যস্ত থাকায় সব ট্র্যাফিক গার্ডের কর্মীদের পক্ষে এ দিন থেকেই ওই তল্লাশিতে জোর দেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে সোমবার থেকেই ফের কড়াকড়ি শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেজানা গিয়েছে।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy