E-Paper

ব্যাঙ্ককর্মীর ফ্ল্যাটের কুঠুরিতে আরও ১১ কোটির গয়না

তদন্তকারীদের দাবি, পার্ক স্ট্রিটের ওই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের লকার ইন-চার্জ মৌমিতা নিজের প্রভাব খাটিয়ে গ্রাহকের চাবি হাতিয়ে নিয়ে ডুপ্লিকেট চাবি বানিয়েছিলেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ জানুয়ারি ২০২৫ ০৬:০৯
প্রায় ১১ কোটি টাকার হিরের গয়না এবং ২৮ লক্ষ টাকার সোনার গয়না উদ্ধার হয়েছে বলে দাবি লালবাজারের।

প্রায় ১১ কোটি টাকার হিরের গয়না এবং ২৮ লক্ষ টাকার সোনার গয়না উদ্ধার হয়েছে বলে দাবি লালবাজারের। —প্রতীকী চিত্র।

ডুপ্লিকেট চাবি তৈরি করে একটি নয়, দু’টি লকার থেকে গয়না সরিয়ে ছিলেন ব্যাঙ্কের লকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মী মৌমিতা শী। মঙ্গলবার ওই মহিলাকে জেরা করে কসবার একটি ফ্ল্যাটের গোপন কুঠুরি থেকে প্রায় ১১ কোটি টাকার হিরের গয়না এবং ২৮ লক্ষ টাকার সোনার গয়না উদ্ধার হয়েছে বলে দাবি লালবাজারের। মিলেছে ১১টি সোনার বার ও ছ’টি স্বর্ণমুদ্রাও। যা স্কুলের ব্যাগে ভরে খাটের নীচের কুঠুরিতে রাখা ছিল।

এর আগে ওই মহিলা এবং তাঁর দাদাকে গ্রেফতার করে একটি এসইউভি গাড়ি-সহ সওয়া এক কোটি টাকার গয়না এবং টাকা উদ্ধার হয়েছিল। তদন্তকারীদের দাবি, পার্ক স্ট্রিটের ওই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের লকার ইন-চার্জ মৌমিতা নিজের প্রভাব খাটিয়ে গ্রাহকের চাবি হাতিয়ে নিয়ে ডুপ্লিকেট চাবি বানিয়েছিলেন।

গত বছর সেপ্টেম্বরের পর থেকে নিজের প্রভাব খাটিয়ে ওই দুই গ্রাহকের লকার থেকে প্রায় ১২ কোটি টাকার সোনা ও হিরের গয়না সরিয়েছিলেন অভিযুক্ত। এক তদন্তকারী জানান, ডিসেম্বরে টালিগঞ্জ ও পার্ক স্ট্রিটের বাসিন্দা, ব্যাঙ্কের ওই দুই গ্রাহকের তরফে লকার থেকে গয়না চুরির অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। তার তদন্তেই মৌমিতা এবং তাঁর দাদা মিঠুন শীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার জেরার মুখে ধৃতেরা জানান, তাঁদের কসবার বোসপুকুর রোডে একটি ফ্ল্যাট রয়েছে। সেখানে কেউ না থাকলেও ওই গয়না লুকিয়ে রাখা আছে। পরে সেখানে তল্লাশি চালিয়ে চুরি যাওয়া গয়না উদ্ধার করা হয়।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

police investigation Bank

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy