কালীপুজোয় বাজি পোড়ানো নিয়ে মামলা চলছে কলকাতা হাইকোর্টে। তার মধ্যেই শহরে শব্দবাজির প্রবেশ ঠেকাতে তৎপর হল লালবাজার।
পুলিশ সূত্রের খবর, শহরে শব্দবাজির প্রবেশ ঠেকাতে ১৫টি জায়গায় সোমবার থেকে পুলিশ পিকেট চালু করা হয়েছে। ওই পিকেট থাকবে উৎসবের মরসুমের শেষ পর্যন্ত। দুই শিফটে পুলিশকর্মীরা ওই পিকেটে থেকে ডিউটি করবেন। প্রতি পিকেটে এক জন অফিসারের নেতৃত্বে তিন জন করে পুলিশকর্মী থাকবেন। অন্য দিকে, নজরদারি চালানোর জন্য শহরের ২৮টি জায়গায় তৈরি করা হয়েছে নাকা পয়েন্ট। সেখানেও চার জন করে পুলিশকর্মী থাকবেন।
প্রতি বছরই দক্ষিণ ২৪ পরগনার চম্পাহাটি, নুঙ্গির মতো বাজি প্রস্তুতকারী জায়গা থেকে প্রচুর শব্দবাজি ঢোকে শহরে। তার পরে সেগুলি গোপনে কালীপুজোর আগে বিক্রি হয়। এ ছাড়া, ব্যক্তিগত ভাবে অনেকেই লুকিয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে নিষিদ্ধ বাজি কিনে আনেন। গত বছর করোনার মধ্যেও শব্দবাজি বিক্রি ও ব্যবহার হয়েছিল। এ বার যাতে তা না হয়, তার জন্য গোড়া থেকেই সতর্ক হয়েছে পুলিশ।
কলকাতা পুলিশের এক কর্তা জানান, শহরে ঢোকার যে সব পথ রয়েছে, সেখানেই পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে। সন্দেহজনক কিছু মনে হলেই ওই দল তল্লাশি চালাবে। তাদের নজরদারি এড়িয়ে গেলেও যাতে নিষিদ্ধ বাজি আটকানো যায়, তার জন্য শহরের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় চলবে নাকা তল্লাশি। গত সপ্তাহেই স্ট্র্যান্ড রোড থেকে প্রায় ৬০০ কেজি নিষিদ্ধ বাজি আটক করেছিল পুলিশ।
পুলিশ সূত্রের খবর, শব্দবাজি ঠেকাতে প্রথম থেকেই পার্শ্ববর্তী দুই জেলার পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে লালবাজার। তবে বাজি তৈরি ঠেকানো না গেলে ব্যবহার কতটা আটকানো যাবে, তা নিয়ে সংশয়ে পুলিশের একাংশই। তাঁদের মতে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন জায়গায় বাজি তৈরি করা প্রায় কুটির শিল্পের মতো। সেখানে পুজোর অনেক আগে থেকেই বাজি তৈরি করা হয়। শহরের ব্যবসায়ীদের একাংশ অতি গোপনে আগে থেকেই তা মজুত করে রাখেন পরে বিক্রির জন্য।
লালবাজার জানিয়েছে, গোপনে কেউ নিষিদ্ধ বাজি বিক্রি করতে যাতে না পারেন, তার জন্য বাগড়ি মার্কেট, চাঁদনি মার্কেট, বড়বাজারে পৃথক পুলিশি ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর সঙ্গেই ডিভিশনাল ডিসিদের বিশেষ দল বাজি বিক্রির উপরে নজরদারি চালাবে শহর জুড়ে। পাশাপাশি, প্রয়োজন পড়লে পুলিশ পিকেটের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হবে বলে লালবাজার জানিয়েছে।