রাজ্য সরকার জমি দখলমুক্ত করতে না পারায় নোয়াপাড়া থেকে বারাসত পর্যন্ত মেট্রো সম্প্রসারণে দেরি হচ্ছে বলে সোমবার অভিযোগ করলেন রেলমন্ত্রী পীযূষ গয়াল। এ দিন মেট্রোকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পরে রেলমন্ত্রী বলেন, “নোয়াপাড়া-বারাসত প্রকল্পে নিউ ব্যারাকপুর থেকে বারাসতের মধ্যে প্রস্তাবিত মেট্রোপথে দু’হাজার দখলদার রয়েছেন। ৮৬টি বাড়ি রয়েছে। ২৩ হাজার বর্গমিটার জমি রাজ্য সরকারের অধিগ্রহণ করে দেওয়ার কথা। তাদের সাহায্য ছাড়া ওই সমস্যা মেটানো সম্ভব নয়।”
রেলমন্ত্রী আরও জানান, এ নিয়ে রেল বোর্ডের চেয়ারম্যান অশ্বিনী লোহানি রাজ্যের মুখ্যসচিব মলয় দে’র সঙ্গে ফোনে কথাও বলেছেন। সমস্যা মেটাতে রাজ্যের সঙ্গে মেট্রো আধিকারিকদের নিয়মিত সমন্বয় রাখার কথা বলেন তিনি। এ দিন মেট্রোকর্তাদের তিনি মুখ্যসচিবকে ফের চিঠি লিখতে বলেন।
মেট্রো সূত্রের খবর, নোয়াপাড়া থেকে দমদম ক্যান্টনমেন্ট, বিমানবন্দর, বিরাটি, নিউ ব্যারাকপুর হয়ে বারাসত পর্যন্ত ১৮.৫ কিলোমিটার মেট্রোপথের নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০১১ সালে। কিন্তু জমি-সমস্যার জন্য কাজ সে ভাবে এগোয়নি। নোয়াপাড়া থেকে বিমানবন্দর পৌঁছে একটি বেসরকারি সংস্থার জমির উপর দিয়ে যাওয়ার কথা মেট্রোর। ওই সংস্থার জমি অধিগ্রহণের বিষয়টি আইনি জটিলতায় ঝুলে রয়েছে।
রাজ্যের তৎপরতায় যশোর রোডের একাংশ দখলমুক্ত করার কাজ শুরু হলেও পুরো মেট্রোপথ তৈরির জমি এখনও মেলেনি। নিউ ব্যারাকপুর সংলগ্ন বিস্তীর্ণ এলাকায় জমি অধিগ্রহণের কাজ এখনও বাকি। ক্ষতিপূরণ নিয়ে দখলদারদের সঙ্গে আলোচনা চললেও এখনও সমাধানসূত্রে পৌঁছনো যায়নি। রাজ্যের পরিবহণকর্তাদের দাবি, জমির সমস্যা মেটানোর যথাসাধ্য চেষ্টা চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy