E-Paper

গর্তে ভরা দমদম রোড সংস্কারে এত ঢিলেমি কেন, প্রশ্ন ক্ষুব্ধ বাসিন্দাদের

স্থানীয়েরা জানাচ্ছেন, দমদম রোডে গাড়ি এবং মানুষের প্রবল চাপ। অভিযোগ, দীর্ঘ দিন ধরে রাস্তার একাধিক জায়গায় ছোট-বড় গর্ত হয়ে বিপজ্জনক অবস্থা তৈরি হয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ জুলাই ২০২৫ ০৯:০২
খন্দময়: দমদম রোডের বেহাল অবস্থা।

খন্দময়: দমদম রোডের বেহাল অবস্থা। ছবি: স্নেহাশিস ভট্টাচার্য।

ফোয়ারার মতো জল বেরোচ্ছে রাস্তার মাঝখান থেকে। আচমকা সেই দৃশ্য দেখে হকচকিয়ে গিয়েছিলেন পথচারীরা। কেউ কেউ মোবাইলে সেই দৃশ্যের ভিডিয়ো করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। অভিযোগ, এটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা হলেও দক্ষিণ দমদম পুর এলাকার অন্তর্গত দমদম রোডের অবস্থা এমনই। বিশেষত, নাগেরবাজার মোড় থেকে দমদম স্টেশন পর্যন্ত অংশের অবস্থা ভয়াবহ বলেই দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের।

স্থানীয়েরা জানাচ্ছেন, দমদম রোডে গাড়ি এবং মানুষের প্রবল চাপ। অভিযোগ, দীর্ঘ দিন ধরে রাস্তার একাধিক জায়গায় ছোট-বড় গর্ত হয়ে বিপজ্জনক অবস্থা তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি, মাঝেমধ্যেই ওই রাস্তার একাধিক জায়গায় জলের পাইপলাইনে ছিদ্র হয়ে জল উপচে রাস্তা ভেসে যাচ্ছে। পুরসভার তরফে দ্রুত মেরামত করা হলেও স্থায়ী সমাধান হচ্ছে না। এক বাসিন্দা অশেষ বসু বলেন, ‘‘নাগেরবাজার থেকে দমদম স্টেশন পর্যন্ত এই রাস্তার উপরে অসংখ্য মানুষ নির্ভরশীল। এই রাস্তা ঘিরে রেখে দীর্ঘমেয়াদি ভিত্তিতে সারানো প্রয়োজন।’’

আরও অভিযোগ, একই বেহাল অবস্থা ফুটপাতেরও। কোথাও ফুটপাত ভেঙেচুরে গিয়েছে, কোথাও তার অস্তিত্ব কার্যত নেই। ফলে, যাতায়াতের জন্য রাস্তাই সম্বল। এর উপরে রয়েছে দখলদারির সমস্যা। অভিযোগ, কোথাও রাস্তায় পড়ে থাকে নির্মাণ সামগ্রী, কোথাও দোকান বসে রাস্তা দখল করে। কখনও রাস্তার নীচে জল সরবরাহের পাইপলাইনে ছিদ্র হলে তা মেরামত করতে রাস্তা খুঁড়তে হয়। বাসিন্দাদের একাংশের তাই প্রশ্ন, মাত্র কয়েক কিলোমিটার রাস্তার সংস্কারে এই দীর্ঘসূত্রতা কেন?

দক্ষিণ দমদম পুরসভার এক চেয়ারম্যান পারিষদ পার্থ বর্মা জানান, দমদম রোডের দেখাশোনার দায়িত্বে রয়েছে পূর্ত দফতর। রাস্তার বেহাল দশা নিয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। ইতিমধ্যে ওই রাস্তাতেই নতুন করে সেতু তৈরি হয়েছে। রাস্তার মেরামতি নিয়ে নির্দিষ্ট পরিকল্পনা রয়েছে। পর্যায়ক্রমে সেই কাজ হবে।

আর এক চেয়ারম্যান পারিষদ মৃন্ময় দাস জানান, জলের পাইপলাইনে মেরামতির কাজ চলছে। সেই কাজ হলে রাস্তা সংস্কারের কাজ করবে পূর্ত দফতর। পুজোর আগে তা শেষ করার চেষ্টা চলছে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Road Saftey Dum Dum

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy