Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪
Debanjan Deb

প্রতিবাদে ধুন্ধুমার, হবে আরও বিক্ষোভ

প্রতিষেধক-কাণ্ডে জড়িত সকলের গ্রেফতারির দাবিতে আজ, মঙ্গল ও কাল, বুধবার রাজ্যের সব থানায় বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে সিপিএম

যুযুধান: ভুয়ো প্রতিষেধক-কাণ্ডের প্রতিবাদে বিক্ষোভ বাম সংগঠনের। সোমবার, কলকাতা পুরসভার সামনে।

যুযুধান: ভুয়ো প্রতিষেধক-কাণ্ডের প্রতিবাদে বিক্ষোভ বাম সংগঠনের। সোমবার, কলকাতা পুরসভার সামনে। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ জুন ২০২১ ০৬:৩৫
Share: Save:

জাল প্রতিষেধক-কাণ্ডের প্রতিবাদে বাম ছাত্র ও যুবদের বিক্ষোভ ঘিরে ধুন্ধুমার বাধল কলকাতা পুর ভবন ও বিধাননগরে স্বাস্থ্যভবনের সামনে। দু’জায়গাতেই পুলিশ বিক্ষোভকারীদের উপরে লাঠি চালিয়েছে বলে বামেদের অভিযোগ। পুলিশের আচরণের প্রতিবাদে ও প্রতিষেধক-কাণ্ডে জড়িত সকলের গ্রেফতারির দাবিতে আজ, মঙ্গল ও কাল, বুধবার রাজ্যের সব থানায় বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে সিপিএমের ছাত্র, যুব, মহিলা ও শ্রমিক সংগঠন।

কলকাতা পুর ভবনের সামনে সোমবার বিক্ষোভ কর্মসূচি নিয়েছিল এসএফআই এবং ডিওয়াইএফআই। সিপিএম নেত্রী কনীনিকা বসুর অভিযোগ, ‘‘এত বড় ঘটনা পুরসভার যোগসাজশ ছাড়া হতে পারে না। আমাদের দাবিপত্র না নিয়ে পুলিশ দিয়ে আমাদের উপরে লাঠিচার্জ করা হয়েছে। ৪৩ জনকে গ্রেফতার করে লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয়।’’ রাতের দিকে তাঁরা জামিনে মুক্তি পান। স্বাস্থ্য ভবনের সামনেও বিক্ষোভ দেখায় বামেরা। হাজির ছিলেন অন্যান্য গণ-সংগঠনের নেতা-কর্মীরাও। পুলিশ তাঁদের সেখান থেকে সরাতে গেলে শুরু হয় বচসা, ধস্তাধস্তি। থানায় নিয়ে যাওয়া হয় ৬০ জনকে। প্রতিষেধক নিয়ে দুর্নীতির প্রতিবাদে বামেরা বিক্ষোভ দেখায় ব্যারাকপুরের মহকুমা শাসকের অফিসের সামনেও। প্রতীকী পথ অবরোধ হয় কিছু সময়ের জন্য।

কলকাতা পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিমের পাল্টা অভিযোগ, ‘‘দূরত্ব-বিধি বজায় না রেখে বিক্ষোভ দেখাতে এসে সাধারণ মানুষকে বিপদের দিকে ঠেলা হল!’’ বিরোধীরা অবশ্য প্রশাসনের ভূমিকার বিরুদ্ধেই সরব হয়েছে। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রের বক্তব্য, ‘‘জালিয়াতি রোধ ও প্রতারকদের শাস্তির ব্যবস্থা করার বদলে সরকার যে ভাবে মানুষের প্রতিবাদের কণ্ঠস্বরকে স্তব্ধ করার চেষ্টা করছে, তা চরম নিন্দনীয়। আগামী দু’দিন সব থানায় বিক্ষোভ কর্মসূচিতে শামিল হতে দলের কর্মী ও সমর্থকদের আবেদন জানানো হচ্ছে।’’ প্রতিবাদ করতে গেলেই পুলিশ যে ভূমিকা নিচ্ছে, তার তীব্র নিন্দা করে আইএসএফের চেয়ারম্যান নওসাদ সিদ্দিকী ও সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ মাইতিও এ দিন বিবৃতি দিয়ে প্রতিষেধক কেলেঙ্কারির বিচারবিভাগীয় তদন্ত দাবি করেছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus Vaccine Debanjan Deb
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE