E-Paper

বার বার ফাটছে জলের পাইপ, স্থায়ী সমাধানের দাবি দক্ষিণ দমদমে

বাসিন্দাদের এই অভিযোগ মেনে নিয়ে কার্যত অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় ২২ নম্বর ওয়ার্ডের পুরপ্রতিনিধি অস্মি পোদ্দার।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০২৫ ০৮:৪৮
দক্ষিণ দমদম পুরসভা।

দক্ষিণ দমদম পুরসভা। Sourced by the ABP

দক্ষিণ দমদমের ছ’-সাতটি ওয়ার্ডে জল সরবরাহকারী পাইপলাইনে বার বার ছিদ্র দেখা যাচ্ছে। সেগুলি মেরামত করা হলেও ফের অবস্থা যে কে সে-ই হয়ে যাচ্ছে কিছু দিনের মধ্যে। নাগেরবাজার থেকে ছাতাকল অংশে দমদম রোডের ধারে জল সরবরাহের মূল পাইপের বর্তমানে এমনই অবস্থা। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বার বার ওই পাইপলাইন মেরামতির ফলে রাস্তা
খোঁড়াখুঁড়ি হয়ে ওই অবস্থায় পড়ে থাকছে, যা আবার দুর্ঘটনার আশঙ্কা বাড়াচ্ছে। এই সমস্যার স্থায়ী সমাধানের দাবি তুলছেন তাঁরা। আরও অভিযোগ, এ নিয়ে বার বার নালিশ জানানো হলেও পুরসভার তরফে তেমন কোনও তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না।

বাসিন্দাদের একাংশের কথায়, ‘‘এক-এক বার এক-এক জায়গায় ছিদ্র হচ্ছে এবং তা মেরামত করা হচ্ছে। তাতে আখেরে যেমন লাভ হচ্ছে না, তেমনই সরকারি অর্থের অপচয়ও ঘটছে। কোনও স্থায়ী পদক্ষেপ কেন করা হচ্ছে না? বার বার অভিযোগ জানিয়েও কোনও সুরাহা মিলছে না।’’

বাসিন্দাদের এই অভিযোগ মেনে নিয়ে কার্যত অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় ২২ নম্বর ওয়ার্ডের পুরপ্রতিনিধি অস্মি পোদ্দার। তিনি জানান, পুরসভাকে এ বিষয়ে জানানো হয়েছে। তবু সুরাহা মিলছে না। দ্রুত কাজ না হলে প্রয়োজনে মন্ত্রী, সাংসদের দ্বারস্থ হওয়ার চিন্তাভাবনাও করছেন তিনি। যদিও পুর কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, নাগেরবাজার থেকে দমদম স্টেশন পর্যন্ত দু’দিকের প্রায় ৬-৭টি ওয়ার্ডের জল বহু দিনের পুরনো ওই পাইপলাইনের মাধ্যমেই সরবরাহ করা হয়। তাই সেখানে ছিদ্র দেখা গেলে মেরামতির জন্য রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি করতেই হয়। সেই কাজ শেষ হয়ে গেলে তাপ্পিও দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু তাতে কোনও লাভ হচ্ছে না। তাই এ বিষয়ে খসড়া প্রস্তাব কেএমডিএ-র কাছে পাঠানো হয়েছে। দ্রুত সেই কাজ শুরু হবে।

সমস্যার কথা স্বীকার করে দক্ষিণ দমদম পুরসভার চেয়ারম্যান পারিষদ (জল) মৃন্ময় দাস জানান, জল সরবরাহের অন্যতম মূল ওই পাইপটি বহু দিনের পুরনো। তাই বার বার মেরামত করেও লাভ হচ্ছে না। পুরো পাইপটিই বদলানো হবে। তার জন্য কেএমডিএ-র কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। দ্রুত সেই কাজ করার চেষ্টা চলছে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

South Dumdum

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy