—ফাইল চিত্র।
কয়েকটি মাছ সরোবরের পাড়ের কাছে এসে খাবি খাচ্ছে। কোথাও আবার জলাশয়ের বিভিন্ন জায়গায় মরা মাছ ভেসে উঠেছে। পূর্ব কলকাতার সুভাষ সরোবরের ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শনিবার ভোর থেকেই সেখানে উত্তেজনা ছড়ায়। মাছ মরে যাওয়ার খবর পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের
একাংশ সরোবরে ভিড় করেন। অভিযোগ, অনেকেই জলে নেমে মাছ তুলে নিয়ে গিয়েছেন। খবর পেয়ে সুভাষ সরোবরের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা কেএমডিএ-র তরফে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। আধিকারিকেরাও ঘটনাস্থলে আসেন। মৎস্য দফতরকেও বিষয়টি তদন্ত করে দেখার জন্য ইতিমধ্যেই আবেদন করেছেন কেএমডিএ কর্তৃপক্ষ।
তাঁরা জানান, প্রাথমিক ভাবে খবর পাওয়া গিয়েছে যে জলে অক্সিজেনের অভাবেই ওই ঘটনা ঘটেছে।
আপাতত মৎস্য দফতরের নির্দেশে জলে পাম্প ব্যবহার করে অক্সিজেন দেওয়া ছাড়াও হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড দেওয়া হচ্ছে।
জলে হঠাৎ করে অক্সিজেন কমল কেন?রাজ্য মৎস্যবিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক তথা মৎস্য বিশেষজ্ঞ গদাধর দাস বলেন, ‘‘তাপমাত্রার তারতম্যের কারণে জলেরও তাপ বাড়ে। ফলে, অক্সিজেন কমে যাওয়ায় মাছ মারা যায়। এই ঘটনা অস্বাভাবিক কিছু নয়।’’ তিনি জানান, অন্যান্য বিষয়গুলিও খতিয়ে দেখা হবে।
কেএমডিএ সূত্রের খবর, সুভাষ সরোবরের প্রায় ১২০ বিঘা জলাশয়ে মাছ ধরা হয়। মৎস্য দফতরের নির্দেশেই প্রায় গত চল্লিশ বছর আগে ‘ওয়েস্টবেঙ্গল অ্যাঙ্গলার্স অ্যাসোসিয়েশন’-কে মাছ ধরার জন্য লিজ দেওয়া হয়েছে। কেএমডিএ ছাড়াও সরোবরের জল ওই সংস্থার তরফেও পরীক্ষা করা হয়। সংস্থার কার্যনির্বাহী সদস্য সুব্রত সেন বলেন, ‘‘সরোবরের জলে কোনও দূষণ নেই। কারণ প্রতি মাসেই জলের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। দিন পনেরো আগেও জলের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিল।’’ তিনি জানান, এই সময়ে জলে মাঝে মাঝে অক্সিজেনের অভাব হয়। সিলভার কার্প জাতীয় ছোট মাছ, যেগুলি অক্সিজেনের জন্য পাড়ের দিকে এসেছিল সেগুলিকেই অনেকে ধরেছে। জলে দূষণ হলে রুই কাতলার মতো সব বড় মাছও মারা যেত। এর আগেও অনেক বার প্রাকৃতিক কারণে সুভাষ সরোবরে মাছ ভেসে উঠেছিল বলেও তিনি জানান।
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের YouTube Channel - এ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy