Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
Indian National Army

ডায়েরির পাতায় আগুনঝরা দিন

রেঙ্গুনে নেতাজিকে রসগোল্লা বানিয়ে খাইয়েছিলেন ডা. নন্দী। লিখছেন, ‘‘আমার রান্না করার হবি ছিল।

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ০৭:৪৫
Share: Save:

এর পর থেকে তাঁহাকে ‘নেতাজী’ বলিয়া সম্বোধন শুরু হইল।... প্রথম I.N.A. শুরু হওয়ায় আমাদের military-তে salutation নানা রকম ছিল। ‘জয়হিন্দ’ হবে সমস্ত I.N.A.-র salutation... এই এক কথায় সমস্ত Indian-দের এমনভাবে Unity ও brotherhood আনিয়া দিতে পেরেছিল, তা যে না চোখে দেখেছে, বিশ্বাস করতে পারবে না। হিন্দুদের নমস্কার, মুসলমানদের সেলাম আলেকুম, শিখদের সৎশ্রীয়াকাল সব ছেড়ে দিয়ে লোকে একমাত্র জয়হিন্দ বলতে গৌরব অনুভব করতে লাগলো।’— এ কেবল ইতিহাস নয়, এক প্রত্যক্ষদর্শীর যাপিত জীবনও। তিনি বিনয়কুমার নন্দী (১৯১৬-১৯৯৫) আইএনএ-র লেফটেন্যান্ট কর্নেল। হুগলির ভূমিপুত্র পড়েছিলেন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে, পরে সেনাবাহিনীতে ও তারও পরে আইএনএ-তে মেডিক্যাল অফিসার হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন, ছিলেন বর্মা ফ্রন্টেও। বিপ্লবী রাসবিহারী বসুর ভূমিকা, জার্মানি থেকে নেতাজির জাপানে আসা, প্রথমে জাপানি রেডিয়োতে ও পরে ক্যাম্পে সামনাসামনি তাঁর বক্তৃতা শোনার স্মৃতি— ভারতের স্বাধীনতার ইতিহাসের অমূল্য মণিকণা লিখে গিয়েছেন ডায়েরিতে। পুরনো ট্রাঙ্কে রাখা ছিল সেই ইতিহাস, ডা. নন্দীর মৃত্যুর পর খুঁজে পান তাঁর ভাগ্নে শেখর কুমার শেঠ। পুরনো ফাইলে মেলে ঐতিহাসিক নথি।

রেঙ্গুনে নেতাজিকে রসগোল্লা বানিয়ে খাইয়েছিলেন ডা. নন্দী। লিখছেন, ‘‘আমার রান্না করার হবি ছিল। প্রথম দিনে নেতাজীর বাড়িতে আমি রসগোল্লা তৈয়ারী করিতে গিয়াছিলাম ও নেতাজী রসগোল্লা খাইয়াছিলেন।” (ছবিতে ডান দিকে ডায়েরির সেই পৃষ্ঠা)। যুদ্ধে আহত সৈনিকদের দেখতে এসেছেন নেতাজি, তাঁকে দেখে এক বাঙালি হাবিলদারের হাউহাউ কান্না, ভারতকে স্বাধীন করতে সে কিছুই করতে পারল না। নেতাজি সান্ত্বনা দিয়ে উদ্বুদ্ধ করলেন তাঁকে। এমন কত ঘটনা ডায়েরিতে!

শেখরবাবুর উদ্যোগেই গত ২৩ জানুয়ারি নেতাজির ১২৫তম জন্মদিনে গ্রন্থাকারে বেরিয়েছে বিনয়কুমার নন্দীর ডায়েরি— INA সংগ্রামের স্মৃতিকথা (বিভা পাবলিকেশন) নামে। এক অকুতোভয় দেশনায়কের, তাঁকে ঘিরে মুক্তির স্বপ্নে প্রত্যক্ষ সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়া এক দল মানুষের বীরত্বগাথা লিখে গিয়েছেন এক বাঙালি ডাক্তার। এ বই ভারত-ইতিহাসের এক অগ্নিস্রাবী কালপর্বের আয়না যেমন, তেমনই এক বাঙালি তরুণ চিকিৎসকের উত্তরণ-যাত্রারও ছবি। আইএনএ যুদ্ধবন্দি হিসেবে ব্রিটিশ সরকারের কালো তালিকাভুক্ত ছিলেন বিনয়বাবু, বন্দিও ছিলেন লাল কেল্লায়। মুক্তির পর জীবন কেটেছে সুখচর পানিহাটিতে, প্রয়াত হন ১৯৯৫ সালে। আইএনএ প্রতিষ্ঠা, যুদ্ধের ভয়াবহতা, বিচারপর্বের বিশদ বিবরণে, নেতাজির অমূল্য স্মৃতিবর্ণনায় ভাস্বর এ বই বাঙালির অন্তরসম্পদ। বাঁ দিকের ছবিতে ১৯৪১ সালে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল সার্ভিস-এর সদস্য বিনয়কুমার নন্দী, লাল বৃত্তে চিহ্নিত।

ব্যায়ামবীর

দেহ নয়, দেহমন্দির। ব্যায়ামবীর রবীন চক্রবর্তীর (ছবিতে) জীবনে মূর্ত হয়ে উঠেছে তারই সাধনা। বিষ্ণুচরণ ঘোষ ও মনোতোষ রায়ের ছাত্র, ১৯৬৬ সালের ‘মিস্টার ইন্ডিয়া’ তিনি। ‘ভারতশ্রী’, ‘বঙ্গশ্রী’, ‘কলকাতাশ্রী’ তো বটেই, কলম্বোয় পেয়েছেন এশিয়াসেরা খেতাব, সিঙ্গাপুর থেকে ‘ইন্টারন্যাশনাল মাসলম্যান’ সম্মাননাও। তাইওয়ানে দেহসৌষ্ঠব প্রতিযোগিতায় এশীয় স্তরের বিচারকও হয়েছিলেন। বাগবাজারের রাজবল্লভপাড়ার রবীনবাবু ব্যায়ামের পাশে যোগের গুরুত্ব বুঝিয়েছিলেন কয়েক দশক আগে। যোগব্যায়ামকে জনপ্রিয় করে তুলতে চালু করেছিলেন অভিনব ‘ব্যায়াম নাটিকা’। যোগেই রোগমুক্তি, বলতেন। যুক্ত ছিলেন জাতীয় ও রাজ্য স্তরের বডিবিল্ডিং ফেডারেশনের সঙ্গে। ৮২ বছর বয়সে চলে গেলেন গত ২৯ জানুয়ারি।

প্রতিষ্ঠার ৯০

‘চল কোদাল চালাই, ভুলে মানের বালাই’ বা ‘ব্রতচারী হয়ে দেখ, জীবনের কী মজা ভাই’ ইত্যাদিকে নিছক গান হিসেবে দেখলে বাংলার ব্রতচারী আন্দোলনের দার্শনিক সত্যকে অস্বীকার করা হবে। প্রতিষ্ঠাতা গুরুসদয় দত্তের (১৮৮২-১৯৪১) (ছবিতে) লক্ষ্য ছিল মানুষের সার্বিক বিকাশ। লোকসংস্কৃতির রক্ষণে উৎসর্গ করেছিলেন জীবন। ঠাকুরপুকুর-জোকা অঞ্চলে ‘ব্রতচারী গ্রাম’ প্রতিষ্ঠা, পরে সেখানে ‘গুরুসদয় সংগ্রহশালা’ বাংলার শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলির অন্যতম হয়ে ওঠে। ব্রতচারীর চর্চা খোলা আকাশের নীচে, বহুকে নিয়ে ‘শক্ত দেহ, মুক্ত উদার মনে’, ‘আনন্দতে বাঁচব’ ভাবনায়। ১৯৩২-এর ৭ ফেব্রুয়ারি ‘বাংলার ব্রতচারী সমিতি’র প্রতিষ্ঠা, নব্বই বছরের সূচনায় গতকাল অশোকনগরে ব্রতচারী সঙ্ঘের আয়োজনে হল উদ্‌যাপন শিবির, পরিচালনায় দেবেশ চক্রবর্তী।

অভিযাত্রা

২ ফেব্রুয়ারি জন্মদিন ছিল ‘ইন্ডিয়ান মিউজ়িয়াম’-এর। ১৮১৪ সালের এই দিনে পথ চলা শুরু, দু’শো বছরেরও বেশি অভিযাত্রায় বহু সম্মানপালক তার মুকুটে। মিউজ়িয়ামের প্রথম সাম্মানিক কিউরেটর নাথানিয়েল ওয়ালিচ-এর স্মরণে প্রতি বছর হয় তাঁর নামাঙ্কিত স্মারক বক্তৃতা, ২০৭তম প্রতিষ্ঠা দিবসে এ বছর সেখানেই বললেন ভারতীয় সংগ্রহালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টির উপসভাপতি, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য অধ্যাপক স্মৃতিকুমার সরকার। ব্যক্তি মালিকানার ‘ক্যাবিনেট কিউরিয়ো’ দিয়ে শুরু হয়নি ইন্ডিয়ান মিউজ়িয়াম, ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কর্তাদের ভারতীয় সংস্কৃতিকে বোঝার ও স্বদেশে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে তা বোঝানোর ব্যবহারিক প্রয়াসেই প্রোথিত তার শেকড়। ঔপনিবেশিক শাসন ঘুরে তার আজকের ‘হয়ে ওঠা’র খতিয়ান উঠে এল ব্রিটিশ মিউজ়িয়াম, লুভর থেকে শুরু করে টোকিয়ো, জাকার্তা, হ্যানয় মিউজ়িয়ামের তুলনামূলক আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে।

পঞ্চপ্রয়াস

‘প্লাস্টিক নয় পাট, কাগজ নয় কাপড়’। নতুন বছরে উত্তরপাড়ার ‘জীবনস্মৃতি ডিজিটাল আর্কাইভ’ ও ‘হিন্দমোটর ফোকাস’-এর উদ্যোগ কাপড়ের থলে ‘বিশ্ববন্ধু’, তারই স্লোগান। পরিবেশবান্ধব প্রয়াসের শুরু কবি শঙ্খ ঘোষের হাতে। ৫ ফেব্রুয়ারি তাঁর জন্মদিনে প্রকাশিত হল ক্যালেন্ডার, তার ছবিটি ১৯২৬ সালে ‘ম্যাকমিলান এন্ড কোং’-এর ‘টেগোর ক্যালেন্ডার’-এর প্রতিলিপি। ৬ ফেব্রুয়ারি ঋত্বিক ঘটকের প্রয়াণদিনে বেরোল দু’টি ক্যালেন্ডার— একটিতে হিরণ মিত্রের আঁকা ঋত্বিক-প্রতিকৃতি, অন্যটিতে ঋত্বিকের একটি দুষ্প্রাপ্য আলোকচিত্র— প্রকাশ করলেন সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়। গতকাল বিশিষ্ট চিত্রগ্রাহক সৌমেন্দু রায়ের জন্মদিনে, তাঁরই হাতে প্রকাশিত হল আর একটি ক্যালেন্ডার, তার ছবিতে নৃপেন গঙ্গোপাধ্যায়ের মৃণাল সেন তথ্যচিত্রে সৌমেন্দুবাবু। সত্যজিৎ-জন্মশতবর্ষে সন্দীপ রায় প্রকাশ করবেন আরও একটি ক্যালেন্ডার। সার্বিক ভাবনা ও রূপায়ণে অরিন্দম সাহা সরদার।

চারণ

শান্তিনিকেতনের আশ্রমিক পরিবেশে সুকুমার কলাকৃতি আজও লালিত যত্নে। এই শান্তিনিকেতনকেই চেনাচ্ছেন সঙ্গীতশিল্পী লোপামুদ্রা মিত্র। তৈরি করেছেন ‘চারণ ফাউন্ডেশন’, তারই উদ্যোগে গত ৫-৭ ফেব্রুয়ারি শান্তিনিকেতনে হয়ে গেল আলপনা, সাঁওতালি নাচ, বাউল গান, ঘাসের গয়না তৈরির কর্মশালা। আশ্রমশিক্ষায় আলপনার প্রচলন করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ; নন্দলাল বসুর শিক্ষাদর্শের অনুসরণে কিরণমালা দেবী, সুকুমারী দেবী, যমুনা দেবী, ননীগোপাল ঘোষ প্রমুখের হাত ধরে প্রবাহিত সেই ধারাই বহন করছেন কলাভবনের শিক্ষক সুধীরঞ্জন মুখোপাধ্যায়। গত ৬ ফেব্রুয়ারি শান্তিনিকেতন দুর্গাবাড়িতে তিনি শোনালেন আলপনার নন্দনকথা, শেখালেন তার কৃৎকৌশলও।

স্পর্শযাপন

‘সংযোগের অভিপ্রায়ে তৈরি করে তোলা আমাদের সমস্ত ভাষারই মধ্যে আমরা... ছড়িয়ে রাখতে চাই নীরবতার পরিসর,’ বলেছিলেন শঙ্খ ঘোষ (অন্ধের স্পর্শের মতো/ প্রণবেশ সেন স্মারক বক্তৃতা)। একই সংযোগসূত্রের কথা বলেছিলেন বিনোদবিহারী মুখোপাধ্যায়ও, ছাত্র সত্যজিৎ রায়কে: ‘যে জিনিসটা স্পর্শ করছি সেটা ছাড়া আর কোন কিছুরই অস্তিত্ব থাকে না। তোমরা চেয়ার দেখলেই বুঝতে পারছো সেটা আছে, আমি চেয়ারে বসলে পরে তবে বুঝেছি সেটা আছে... ’ স্পর্শগুণের মাহাত্ম্যই স্মরণীয় করে রেখেছে বিনোদবিহারী মুখোপাধ্যায়কে (১৯০৪-১৯৮০)। শান্তিদেব ঘোষের বাবা কালীমোহন ঘোষের প্রেরণায় শান্তিনিকেতনে আসা। তত দিনে তাঁর স্থায়ী ক্ষীণদৃষ্টির ব্যাপারে নিশ্চিত ডাক্তার। রবীন্দ্রনাথের নির্দেশে নন্দলাল বসুর কাছে শুরু শিল্পপাঠ, ১৯২৫-এ কলাভবনের শিক্ষক। তাঁর বহু ছাত্র ভারতশিল্পকে সমৃদ্ধ করেছেন— কে জি সুব্রহ্মণ্যম, রীতেন মজুমদার, সত্যজিৎ রায়, দিনকর কৌশিক। পরবর্তী কালে দিনকর কৌশিকের চেষ্টাতেই বিনোদবিহারী (বাঁ দিকের ছবিতে তাঁরা দু’জন) অধ্যাপক পদে উন্নীত হন। মুসৌরিতে থাকাকালীন বেশ কিছু ব্লক ডিজ়াইন, ছোট ছোট মূর্তি করেছিলেন (ডান দিকের ছবিতে কুকুরের মূর্তিটি এই সময়েরই সৃষ্টি)। ১৯৫৮-তে ফের কলাভবনে। তত দিনে দৃষ্টিশক্তি প্রায় লুপ্ত। শুরু হল স্পর্শযাপন, নরম মোমের তালে বিশ্বপ্রকৃতির প্রতিবিম্ব গঠন। কাগজ, ক্যানভাস, মাটি, মোম, সেরামিক টালি— সবই হয়ে ওঠে তাঁর রূপভাষা প্রকাশের মাধ্যম। গতকাল ছিল ‘মাস্টারমশাই’-এর জন্মদিন।

শিল্পের সুর

মরুর সুর, নদীর গান। শীতের কলকাতায় হাত ধরাধরি করে তা-ই শোনাবে রাজস্থান ও বাংলা, মোহর কুঞ্জে। ‘বাংলানাটক ডট কম’ সংস্থার উদ্যোগে ১২-১৪ ফেব্রুয়ারি ‘ফোক সফর’, বাংলার হস্তশিল্প ও লোকসঙ্গীতের সগর্ব উদ্‌যাপন। থাকছেন বাউল-ফকিরি-কাওয়ালি-ভাটিয়ালি-ভাওয়াইয়া-ঝুমুর শিল্পীরা, দেখা যাবে ছৌ, রায়বেঁশে, নাটুয়া, পুতুল নাচ। রোজ হস্তশিল্প মেলা, বাউল আখড়া, সন্ধে ছ’টা থেকে কনসার্ট। জোধপুরের চোপাসানি গ্রামের কালবেলিয়া নাচের গুরু কালুনাথ কালবেলিয়ার দল, গাজি খানের নেতৃত্বে রাজস্থানি লোকশিল্পীদের দল ‘দিওয়ানা’ থাকছে মরুর সুরে কলকাতা মাতাতে। শোনা যাবে বাড়মের মরুভূমির বার্নোয়া জাগির গ্রামের সুরশিল্পী সর্দার খান লাঙ্গা, বুন্দু খান লাঙ্গার দলের গানও।\

ঋতছন্দ

অধ্যাত্মপুরুষ সৌমেন্দ্রনাথ ব্রহ্মচারীর প্রেরণা ও আদর্শে গঠিত এস এন বি ফাউন্ডেশনের অধীনে, শিক্ষা, সঙ্গীত, শিল্প, দর্শন চর্চায় সতত প্রয়াসী কলকাতার সংস্থা ‘ঋতছন্দ’। কোভিডকালেও নিয়মিত আন্তর্জালিক অনুষ্ঠান করেছেন সদস্যরা, ১৪ ফেব্রুয়ারি রবিবার প্রতিষ্ঠা দিবসে তাঁদের আয়োজন শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের অনুষ্ঠান ‘ঋতছন্দ উৎসব’। অনুষ্ঠান আইসিসিআর-এর সহযোগিতায় তাদেরই প্রেক্ষাগৃহে, সন্ধে ৫.৪৫ থেকে। সূচনায় অলকানন্দা রায়, থাকবে কণ্ঠসঙ্গীত, রুদ্রবীণা, তবলা, পাখোয়াজ পরিবেশনা; ভরতনাট্যম-ওড়িশি-কত্থক-কথাকলি-মণিপুরি নাচের সমাহারে নৃত্যানুষ্ঠান ‘পঞ্চবর্ণ’।

শতবর্ষ পরে

১৯২১ সালের ৩০ জানুয়ারি স্বামী বিবেকানন্দের জন্মতিথি অনুষ্ঠানে বেলুড় মঠে এসেছিলেন মহাত্মা গাঁধী। স্বামীজির লেখা পড়ে তাঁর ভারতপ্রেম উদ্বোধিত হওয়ার কথা বলেছিলেন তিনি, উপস্থিত যুবাদের বলেছিলেন বিবেকানন্দের আদর্শে কাজ করার কথা। মহাত্মা গাঁধীর জন্মের সার্ধশতবর্ষ উদ্‌যাপন উপলক্ষে একশো বছর পরে সেই দিনটিতেই বই প্রকাশ করল বেলুড় রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যামন্দিরের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ। ৩০ জানুয়ারি এক আন্তর্জালিক অনুষ্ঠানে রিভিজ়িটিং গাঁধী ইন আওয়ার টাইমস (সম্পাদনা: সন্দীপন সেন ও ইন্দ্রাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়) প্রকাশ করলেন রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-চ্যান্সেলর স্বামী আত্মপ্রিয়ানন্দ। মিশন পরিচালিত কোনও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গাঁধী বিষয়ক পূর্ণাঙ্গ প্রকাশনা সম্ভবত এই প্রথম, মত কর্তৃপক্ষের। দ্বিতীয় পর্বে ছিল আলোচনাসভা, বললেন অধ্যাপক তপন কুমার চট্টোপাধ্যায়, আব্দুস সামাদ গায়েন ও মীরাতুন নাহার।

আনন্দ-মেলা

আশ্চর্য উল্কা, অসুখলতার ফুল, ছিন্নমস্তার অভিশাপ, মূর্খ বড়ো, সামাজিক নয়, দুই নারী হাতে তরবারি না কি মেটিয়াবুরুজের নবাব? বইমেলা পিছিয়েছে বটে, কিন্তু ২৩ জানুয়ারি থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারি চলছে অনলাইন বইমেলা, আনন্দ পাবলিশার্সের ওয়েবসাইটে (আনন্দপাব ডট ইন)। টিনটিন-অ্যাসটেরিক্সের কমিকসের পাশে বাংলার বরেণ্য লেখকদের বই, হরেক ই-বুক; ‘আনন্দ পেপারব্যাক কালেকশন’ মিলছে ছাড়ে। পাঠকদের জন্য কুইজ়, মাঝসপ্তাহে ও সপ্তাহান্তে দেখা হচ্ছে শহরের প্রিয় সাহিত্যিক-আবৃত্তিকার-গায়কদের সঙ্গে। ২০২১-এই ক্যাপ্টেন হ্যাডকের সঙ্গে আমাদের সাক্ষাতের আশি পূর্তি, মুলাঁসা প্রকাশনীর সঙ্গে একত্রে টিনটিনের বাংলা ই-বই আনছে আনন্দ, অনলাইন বইমেলা চলাকালীনই ওয়েবসাইটে তার প্রকাশ হওয়ার কথা।

ফেরা

ইশকুল, ইশকুল! সেই ঢংঢং ঘণ্টা, চেনা গুঞ্জন, খুনসুটি... অনেক কিছুই যদিও অন্য রকম। মাস্ক পরে কি হাহাহিহি তেমন জমবে? টিফিন ভাগ করে খাওয়া বারণ, এ কী অন্যায়! ছোটরা অভিমানে গাল ফোলাচ্ছে, শুধু নয় থেকে বারো ক্লাসেরই পড়াশোনা আছে বুঝি! ও দিকে খুশির বাদ্যি, স্কুলে সরস্বতী পুজো হবে বলেছে। অনেকে সপ্রশ্ন: হোক রোববার, ১৪ ফেব্রুয়ারি কি স্কুল খোলা? ক্লাস হবে?

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Netaji Subhas Chandra Bose Indian National Army
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE