মাধ্যমিকে কম নম্বর পেয়ে ছোট বোনকে নিয়ে পালাল বাঁশদ্রোণীর নাবালিকা। শেষে কৃষ্ণনগর থেকে পাওয়া যায় তাদের। —প্রতীকী চিত্র।
মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল দেখতে স্কুটি নিয়ে সাইবার ক্যাফেতে গিয়েছিল ছাত্রী। সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিল ৬ বছরের বোনকে। কিন্তু সকাল গড়িয়ে দুপুর হলেও দুই মেয়ে ঘরে না ফেরায় চিন্তায় পড়ে যায় পরিবার। ঠিক সেই সময় ছাত্রীর বাবার ফোনে একটি মেসেজ ঢোকে। সেখানে লেখা ছোট মেয়েকে অপহরণ করা হয়েছে। মেয়েকে ফেরত পেতে হলে দিতে হবে এক কোটি টাকা। মেয়ের ফোন থেকে এমন মেসেজ পেয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হন ওই ব্যক্তি। শেষে নদিয়ার কৃষ্ণনগর থেকে পাওয়া গেল দুই নাবালিকাকে। শুক্রবার কলকাতার বাঁশদ্রোণীর ছাত্রীর এই কাণ্ডে তাজ্জব পুলিশও।
পুলিশ সূত্রে খবর, মাধ্যমিকে কম নম্বর পাওয়ায় ছোট বোনকে নিয়ে পালিয়ে যায় বাঁশদ্রোণীর ওই নাবালিকা। এর পর ছোট বোনকে অপহরণের নাটক ফাঁদে সে। বাবার ফোনে মেসেজ করে জানায় এক কোটি টাকা মুক্তিপণ দিতে হবে। তবেই ছাড়া হবে। অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামে কলকাতা পুলিশ। ওই ছাত্রীর মোবাইল ফোন ট্র্যাক করা শুরু হয়। ছাত্রীর স্কুটিটি পাওয়া যায় একটি মেট্রো স্টেশনের সামনে। খোঁজ নিয়ে পুলিশ জানতে পারে শিয়ালদহ থেকে ট্রেনে করে কৃষ্ণনগর গিয়েছে দু’টি মেয়ে। শেষে শুক্রবার বিকেল নাগাদ কৃষ্ণনগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালের সামনে থেকে দুই নাবালিকাকে উদ্ধার করে পুলিশ।
ছাত্রীর পরিবার সূত্রে খবর, পরীক্ষার পর বড় মুখ করে মেয়ে বাড়িতে বলেছিল অন্তত দুটো বিষয়ে লেটার নম্বর পাবে। মোটের উপর পরীক্ষা ভাল হয়েছে। কিন্তু ফল বেরোতে দেখা যায় ৩১ শতাংশ নম্বর পেয়েছে সে। তাই লজ্জা পেয়ে বোনকে নিয়ে পালিয়ে যায় সে। পরে অপহৃতা হওয়ার নাটক করে।
পুলিশ সূত্রে খবর, দু’জনকে উদ্দেশ্যহীন ভাবে ঘুরতে দেখে কৃষ্ণনগর পুলিশের সন্দেহ হয়। তারা কলকাতা পুলিশের পাঠানো ছবি দেখে দুই নাবালিকাকে শনাক্ত করে। তাদের নিয়ে যাওয়া হয় থানায়। পরে বাঁশদ্রোণী থানা থেকে পুলিশের একটি দল ছাত্রীর পরিবারের লোকেদের নিয়ে কৃষ্ণনগর যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy