ফের রঙিন হবে এই বাঘা যতীন উড়ালপুল। নিজস্ব চিত্র
সেতুর ‘স্বাস্থ্য-পরীক্ষা’ পরে হবে। আগে হোক রং। আপাতত সে ভাবেই কাজ করছে রাজ্য প্রশাসন। সেই মতো বাঘা যতীন উড়ালপুল রং করার দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে।
প্রশাসন সূত্রের খবর, সম্প্রতি বাঘা যতীন উড়ালপুল রং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (কেএমডিএ)। এ জন্য সাড়ে ১৩ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, মাঝেরহাট সেতু ভাঙার পরপর অর্থাৎ প্রায় মাস তিনেক আগে বাঘা যতীন উড়ালপুল পরিদর্শনে গিয়েছিলেন পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। পরিদর্শনে গিয়ে সেতুর স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন তিনি। তার পরেই কেএমডিএ কর্তৃপক্ষ ওই সেতুর স্বাস্থ্য-পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেন। সে জন্য বিশেষজ্ঞ সংস্থা নিয়োগের সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে।
কিন্তু তার আগেই ওই সেতু রং করার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। কারণ, নতুন বছরে বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের আগে শহরের সব সেতু এবং উড়ালপুলকে রং করে ঝাঁ চকচকে করে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। প্রতিবারই অবশ্য নিয়ম করে সে কাজ হয়। চলতি বছরে মাঝেরহাট সেতুর বিপত্তি ও তার পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহে কিছুটা হলেও সেই পরিস্থিতির পরিবর্তন হওয়ার কথা। কারণ, শহরের আর কোন কোন সেতু ও উড়ালপুল ‘বিপজ্জনক’ অবস্থায় রয়েছে, তা সমীক্ষা করে দেখারও সিদ্ধান্ত নেওয়া
হয়েছে। বিশেষজ্ঞ সংস্থা উড়ালপুল ও সেতুর স্বাস্থ্য-পরীক্ষা সংক্রান্ত যে রিপোর্ট দেবে, সেই অনুযায়ী মেরামতির কাজ শুরু হবে। প্রশাসন সূত্রের খবর, সে কাজ শুরু
হতে এখনও কিছুটা দেরি আছে। প্রশাসনের এক পদস্থ কর্তার কথায়, ‘‘উড়ালপুল এবং সেতুর হেলথ-স্টাডির জন্য বিশেষজ্ঞ সংস্থাকে নিয়োগ করা হবে। সেই নিয়োগের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে দরপত্র আহ্বানের প্রক্রিয়া চলছে। তার আগে সেতুতে রং করা হবে। কারণ, রং করাটা সেতু ও উড়ালপুলের ক্ষেত্রে বাহ্যিক বিষয়। কিন্তু হেলথ-স্টাডি সময়সাপেক্ষ।’’
প্রসঙ্গত, বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের কারণে প্রতি বছরই ভিন্ রাজ্য এবং বিদেশ থেকে অতিথিরা শহরে আসেন। সেই সময়ে শহরকে বাহ্যিক দিক থেকে সাজিয়ে তোলার কাজটা প্রতি বছরই হয়। এ বারও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না।
প্রশাসন সূত্রের খবর, সে কারণেই বাঘা যতীন উড়ালপুল, বিজন সেতু, ঢাকুরিয়া ব্রিজ, কামালগাজি উড়ালপুল, জীবনানন্দ সেতু, উল্টোডাঙা উড়ালপুল-সহ শহরের ১৮টি সেতু ও উড়ালপুলের ‘ক্র্যাশ বেরিয়ার’, দেওয়াল, রেলিংয়ে রং
করা হবে। এ কাজে প্রায় কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রের খবর। প্রশাসনের এক কর্তার কথায়, ‘‘এটা রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্ত। সরকার যেটা মনে করছে, সেটাই করা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy