রামলোচন ঠাকুর।
বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়ে গেলেন মৈথিলি ভাষার সাহিত্যিক রামলোচন ঠাকুর। রামলোচনবাবুর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত শুক্রবার সকাল সাড়ে ন’টা নাগাদ দমদমে নিজের বাড়ি থেকে বেরোন ওই সাহিত্যিক। তার পর থেকে তিনি আর বাড়ি ফেরেননি। দমদম থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়েছে। অ্যালঝাইমার্স রোগে ভুগছিলেন ৭২ বছরের রামলোচনবাবু।
তাঁর নাতি অলোক ঠাকুর জানান, তাঁদের বাড়ি দমদমের ৪ নম্বর ইটলগাছা রোডে। অলোক বলেন, ‘‘দাদুকে গত শুক্রবার সকাল সাড়ে ন’টা থেকে পাওয়া যাচ্ছে না। ওঁর অ্যালঝাইমার্স ছিল। তাই দাদু যাতে বাড়ির বাইরে না বেরোন, সে দিকে নজর রাখা হত। কিন্তু শুক্রবার কখন বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছেন বুঝতে পারিনি। টাকা-পয়সা, মোবাইল-সঙ্গে কিছুই নেই।’’
অলোক জানান, দমদম ইটলগাছা রোড সংলগ্ন এলাকায় সব জায়গায় খোঁজ করেছেন তাঁরা। এমনকি পাড়ায় পোস্টারও দেওয়া হয়েছে। দমদম থানায় নিখোঁজ ডায়েরিও করা হয়েছে।
মৈথিলি ভাষার জনপ্রিয় সাহিত্যিক রামলোচনবাবু কলকাতায় বসেই মৈথিলী ভাষায় লেখালেখি করতেন। তাঁর একাধিক কবিতার বই, প্রবন্ধের বই রয়েছে। মৈথিলি থেকে বাংলায় বই অনুবাদও করেছেন তিনি। মৈথিলি ভাষায় প্রকাশিত একটি পত্রিকায় সাংবাদিক হিসেবে যুক্ত ছিলেন রামলোচনবাবু। পেয়েছেন একাধিক পুরষ্কারও। নিখোঁজ সাহিত্যিকের পরিবার জানাচ্ছে, তিনি কলকাতার আয়কর ভবনে ইনস্পেক্টরের পদে কাজ করতেন। কাজ ও সাহিত্যচর্চা পাশাপাশি চলত। দমদমে তিনি স্ত্রী ও পরিবারের সঙ্গে থাকতেন।
রামলোচনবাবুর দু’বছর আগে অ্যালঝাইমার্স ধরা পড়ে বলেই তাঁর পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে। তাঁরা জানান, তার পর থেকেই রামলোচনবাবু অনেক কথাই মনে করতে পারতেন না। এমনকি তাঁর মাঝেমধ্যে কথা বলতেও অসুবিধা হত।
অলোক বলেন, ‘‘দাদুকে বাড়ি থেকে বেরোতে দিতাম না। আগেও দু’-এক বার বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তাঁকে ঘরে নিয়ে এসেছি।’’ দমদম থানার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, এলাকার হাসপাতাল, রেল স্টেশন সব জায়গায় রামলোচনবাবুর খোঁজ করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy