Advertisement
E-Paper

আরজি কর বিতর্কের মাঝে নতুন ওসি পেল টালা থানা, অভিজিৎ গ্রেফতারের পর দায়িত্বে এলেন মলয় দত্ত

আরজি কর-কাণ্ডের পর থেকেই চর্চায় ছিল টালা থানার নাম। দেরিতে এফআইআর এবং তথ্যপ্রমাণ লোপাটের চেষ্টা-সহ একাধিক অভিযোগ উঠে এসেছে। সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন তৎকালীন ওসি। এই আবহেই নতুন দায়িত্বে এলেন মলয় দত্ত।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৮:০০
টালা থানা।

টালা থানা। —ফাইল চিত্র।

টালা থানার নতুন ওসি হিসাবে দায়িত্ব পেলেন মলয়কুমার দত্ত। তিনি শ্যামপুকুর থানার অ্যাডিশনাল ওসি হিসাবে কর্তব্যরত ছিলেন। তবে টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল অসুস্থ হওয়ার পর থেকে, টালা থানার অতিরিক্ত দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন তিনি। এ বার তাঁকে টালা থানার ওসি করা হল। বৃহস্পতিবার কলকাতা পুলিশের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এ কথা জানানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, ৯ অগস্ট আরজি করে মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের মামলার পর থেকেই চর্চায় ছিল টালা থানা। দেরিতে এফআইআর এবং তথ্যপ্রমাণ লোপাটের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে টালা থানার তৎকালীন ওসি অভিজিতের বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন অভিজিৎ। বর্তমানে তিনি রয়েছেন জেল হেফাজতে। গ্রেফতারির আগে থেকেই শারীরিক কিছু সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। তখন থেকেই টালা থানার অতিরিক্ত দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন শ্যামপুকুর থানার অ্যাডিশনাল ওসি।

আরজি করের নির্যাতিতার দেহ উদ্ধারের পর থেকে তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং অভিজিতের মধ্যে মোবাইলে সবচেয়ে বেশি কথাবার্তা হয়েছিল বলে দাবি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। বেশ কয়েকটি ‘সন্দেহজনক’ মোবাইল নম্বরেও তাঁরা বার বার ফোন করে কথা বলেছেন বলে দাবি করেছিল তদন্তকারী সংস্থার। বুধবারই শিয়ালদহ আদালতে অভিজিৎকে পেশ করেছিল সিবিআই। সেখানে আবারও টালা থানার ভূমিকা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আদালতে সিবিআই দাবি করেছে, টালা থানায় এই মামলা সংক্রান্ত কিছু ভুয়ো নথি বানিয়ে সেগুলি অদলবদল করা হয়েছিল। তদন্ত প্রক্রিয়ায় জিজ্ঞাসাবাদের সময় এই তথ্য তাঁদের হাতে উঠে এসেছে বলে আদালতে দাবি করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

পাশাপাশি টালা থানায় সেই সময় কী হয়েছিল, তা খতিয়ে দেখতে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ-সহ ডিভিআর এবং হার্ড ডিস্কও ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছে সিবিআই। আরজি কর নিয়ে এই বিতর্কের আবহেই বৃহস্পতিবার টালা থানার ওসি করা হল মলয়কে। প্রসঙ্গত, সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর নিয়ম অনুযায়ী টালা থানার প্রাক্তন ওসিকে সাসপেন্ড (নিলম্বিত) করেছিল রাজ্য প্রশাসন। নিয়ম অনুযায়ী, কোনও সরকারি কর্মী গ্রেফতার হয়ে ৪৮ ঘণ্টার বেশি তদন্তকারী সংস্থার হেফাজতে থাকলে, নিয়ম অনুযায়ী তাঁকে নিলম্বিত করতে হয়।

Kolkata Police Tala Police Station RG Kar Medical College and Hospital Incident
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy