Advertisement
E-Paper

সাংসদের স্বাক্ষর জাল করে ধৃত

পুলিশ জানিয়েছে, চিরকুটটি দেখে সন্দেহ হয় থানার আধিকারিকদের। তাঁরা যোগাযোগ করেন এলাকার বিধায়কের সঙ্গে। বিধায়কের মাধ্যমে আধিকারিকেরা জানতে পারেন সাংসদ ও রকম কোনও চিরকুট দেননি।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২০ মার্চ ২০১৮ ০১:৩৬
—প্রতীকী চিত্র।

—প্রতীকী চিত্র।

ব্যস্ত থানায় কাজকর্ম সারছেন পুলিশ আধিকারিকেরা। হঠাৎ হইচই। পারিবারিক বিবাদে নানা অভিযোগ নিয়ে থানায় এসেছেন বেশ কয়েক জন। গোলমালের ফাঁকেই এক জন একটি চিরকুট তুলে দিলেন অফিসারদের কাছে। শাসক দলের এক প্রভাবশালী সাংসদের স্বাক্ষর-সহ সেই চিরকুটে রয়েছে এক পক্ষকে সুবিধে পাইয়ে দেওয়ার অনুরোধ।

পুলিশ জানিয়েছে, চিরকুটটি দেখে সন্দেহ হয় থানার আধিকারিকদের। তাঁরা যোগাযোগ করেন এলাকার বিধায়কের সঙ্গে। বিধায়কের মাধ্যমে আধিকারিকেরা জানতে পারেন সাংসদ ও রকম কোনও চিরকুট দেননি। এর পরেই ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে সাংসদের স্বাক্ষর জাল করা এবং ভুয়ো সরকারি সিলমোহর ব্যবহারের অভিযোগ দায়ের করেন বিধায়ক।

পুলিশ জানায়, শনিবার এমনই ঘটেছে নাদিয়াল থানা এলাকায়। তদন্তকারীরা অবশ্য রবিবার ওই অভিযোগ দায়েরের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছেন। ধৃতের নাম মহম্মদ আয়াজ খান। বাড়ি বিহারে হলে গত কয়েক বছর ধরে সে থাকত মেটিয়াবুরুজের আক্রা রোডে। তার কাছ থেকে ওই সাংসদের নাম লেখা চিরকুট এবং প্রচুর ভুয়ো নথি উদ্ধার মিলেছে। পুলিশের দাবি, আয়াজ এলাকার ছেলে-মেয়েদের নামী স্কুলে ভর্তি করিয়ে দেওয়া, বয়স্কদের আর্থিক সংস্থান করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিত বিভিন্ন নেতা-মন্ত্রীর নাম করে। তার জন্য সরকারি সিলমোহর এবং পুলিশের বিভিন্ন উচ্চপদস্থ কর্তার নামে নথি ব্যবহার করত সে।

পুলিশ সূত্রের খবর, শনিবার নাদিয়াল থানা এলাকার কাঁঠারবেড়িয়াতে বাড়ির একাংশ তৈরি করা নিয়ে পারিবারিক বিরোধ বাধে। বচসা পৌঁছয় হাতাহাতিতে। দু’পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে থানায় যায়। অভিযোগ, এক অভিযোগকারী মহিলা থানার অফিসারদের একটি চিরকুট দেন। যা ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদ সদস্য অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের স্বাক্ষর করা অনুরোধ। ওই চিরকুটে অভিযোগকারীকে ওই মামলায় সুযোগ পাইয়ে দিতে অনুরোধ করা হয়েছিল। লালবাজারের এক কর্তা জানান, থানার ওসি-র চিরকুট দেখে সন্দেহ হয়। তিনি যোগাযোগ করেন মেটিয়াবুরুজের বিধায়ক আব্দুল খালেক মোল্লার সঙ্গে। এ দিন বিধায়ক বলেন, ‘‘ঘটনাটি শুনে আমারও সন্দেহ হয়। কারণ সাংসদ ওই রকম কোনও চিরকুট বা চিঠি দেন না। আমার কাছে থাকা সাংসদের স্বাক্ষর মিলিয়ে দেখার পরে নিশ্চিত হই স্বাক্ষরটি ভুয়ো। তবুও আমি সাংসদের পিএ-র সঙ্গে যোগাযোগ করি। তিনি আমায় পুলিশে অভিযোগ করতে বলেন।’’

arrest signature forging forgery
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy