—প্রতীকী ছবি
বাড়ির অমতে দিন দশেক আগে বিয়ে করেছিলেন যুবক। স্ত্রীকে নিয়ে থাকছিলেন শ্বশুরবাড়ির পাশে ভাড়াবাড়িতে। বিয়ের কয়েক দিন গড়াতে না গড়াতেই শুরু হয় দাম্পত্য-কলহ। যার জেরে যুবককে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল মেয়ের বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। বুধবার সকালে কলকাতার ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু হয় মনিরুল ইসলাম (৩৫) নামে ভাঙড়ের কাশীপুর থানার গুচড়িয়ার বাসিন্দা ওই যুবকের।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, মনিরুলের শ্বশুরবাড়ি কলকাতার লেদার কমপ্লেক্স থানা এলাকার হাতিশালার উত্তরপাড়ায়। সেখানকার বাসিন্দা আবু জব্বার মোল্লার মেয়েকে বিয়ে করেন পেশায় বস্ত্র ব্যবসায়ী মনিরুল। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, বাড়ির অমতে বিয়ে করায় মানসিক ভাবে কিছুটা ভেঙে পড়েছিলেন মনিরুল। সোমবার এ নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। অভিযোগ, সে কথা জানতে পেরে শ্বশুরবাড়ির লোকজন মনিরুলের উপরে চড়াও হন। হাত-পা বেঁধে মনিরুলের গালে বিষ ঢেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। টাকা, সোনার চেন কেড়ে নেওয়া হয়।
মনিরুল অচৈতন্য হয়ে পড়েন। তাঁকে হাতিশালা সিক্স লেনের কাছে ফেলে রেখে চলে যায় হামলাকারীরা। পরে স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে জিরানগাছা ব্লক হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে পাঠানো হয় ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। বুধবার সকালে সেখানেই মারা যান ওই যুবক। পরিবারের লোকজন কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মনিরুলের ভাই ইজারুল ইসলাম বলেন, ‘‘আমার দাদা বাড়ির কাউকে না জানিয়ে বিয়ে করেন। ওঁর টাকা-পয়সা হাতিয়ে নিতে শ্বশুরবাড়ির লোকজন জোর জবরদস্তি করছিল। প্রতিবাদ করায় দাদাকে পিটিয়ে খুন করেছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy