Advertisement
E-Paper

কুরিয়ার পেতে গিয়ে ২৫ হাজার টাকার প্রতারণা 

প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পারে ভবানীপুর থানার দ্বারস্থ হয়েছেন ওই কর্তা। অভিযোগের ভিত্তিতে গত শনিবার মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। 

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ অক্টোবর ২০১৯ ০১:২৩
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

এটিএম ও ডেবিট কার্ডের কুরিয়ার পেতে অনলাইনে ১০ টাকা জমা দিতে হবে বলে জানানো হয়েছিল। অথচ তা দেওয়ার পরেই জানা গেল, সেই অ্যাকাউন্ট থেকে সঙ্গেসঙ্গেই তুলে নেওয়া হয়েছে ২৫ হাজার টাকা।

পুলিশ জানিয়েছে, একটি বহুজাতিক কুরিয়ার সংস্থার মাধ্যমে ব্যাঙ্কের এটিএম এবং ডেবিট কার্ড পৌঁছনোর কথা ছিল এক কর্পোরেট সংস্থার কর্তার কাছে। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তা না পৌঁছনোয় তিনি ইন্টারনেট ঘেঁটে ওই কুরিয়ার সংস্থার গ্রাহক পরিষেবা নম্বর খুঁজে পান। ওই কর্তার অভিযোগ, ওই নম্বরে ফোন করলে তাঁকে বলা হয়, মোবাইল ওয়ালেটের মাধ্যমে একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্টে ১০ টাকা জমা দিতে। কিন্তু ওই ব্যাঙ্কে তাঁর কোনও অ্যাকাউন্ট ছিল না। তাই বন্ধুর অ্যাকাউন্ট থেকে ওই টাকা জাম করেন ওই কর্তা। কিছু ক্ষণ পরেই জানতে পারেন, বন্ধুর সেই অ্যাকাউন্ট থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে ২৫ হাজার টাকা। প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পারে ভবানীপুর থানার দ্বারস্থ হয়েছেন ওই কর্তা। অভিযোগের ভিত্তিতে গত শনিবার মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানিয়েছে, প্রথমে ওই ২৫ হাজার টাকা সরিয়ে নেওয়া হয় ঝাড়খণ্ডের জামতাড়ার একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে। তার পরে ওই মোবাইল ওয়ালেট সংস্থার মাধ্যমে সেই অ্যাকাউন্ট থেকেও ওই টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। তদন্তকারীরা ওই ব্যাঙ্কের সঙ্গে যোগাযোগ করে ওই অ্যাকাউন্টের মালিকের খোঁজ শুরু করেছে। তবে এক তদন্তকারীর দাবি, প্রতারণার জন্য জামতাড়া গ্যাং বিখ্যাত।

পুলিশ সূত্রের খবর, গত শুক্রবারই ভবানীপুর থানা এলাকায় অভিযোগকারীর অফিসে এটিএম এবং ডেবিট কার্ডের পার্সেল এসে পৌঁছনোর কথা ছিল। কিন্তু তা না আসায় কুরিয়র সংস্থার গ্রাহক পরিষেবা নম্বরে ফোন করেন ওই কর্পোরেট সংস্থার কর্তা। নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্টে ১০ টাকা জমা করতে বলা হয়। তার আগেই অবশ্য অভিযোগকারীর অ্যাকাউন্টের বিস্তারিত তথ্য জেনে নেন গ্রাহক পরিষেবার আড়ালে থাকা প্রতারক।

এর পরে বন্ধুর অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা জমা দেওয়ার কিছু পরেই জানতে পারেন, সেখান থেকে টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে।

পুলিশ সূত্রের খবর, তদন্তে নেমে প্রতারকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট এবং ফোন নম্বর-সহ বিস্তারিত তথ্য ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকারের নয়া প্রকল্প ‘সাইবার সেফ’-এ পাঠানো হয়েছে। ওই তথ্য ‘সাইবার সেফ’-এর কেন্দ্রীয় সার্ভারে দেওয়া মাত্র ওই নম্বরের সঙ্গে যুক্ত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বা অনলাইন ওয়ালেট বন্ধ হয়ে গিয়েছে। গ্রাহকদের ফোন করে তথ্য হাতিয়ে নিয়ে প্রতারণার হাত থেকে বাঁচাতেই সম্প্রতি শুরু হয়েছে এই ‘সাইবার সেফ’, যাতে যুক্ত রয়েছে সব রাজ্যগুলির পুলিশ, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা, সরকারি ও বেসরকারি ব্যাঙ্ক এবং মোবাইল ওয়ালেট সংস্থাগুলি। তবে এখনও পর্যন্ত টাকা ফেরত পাওয়া যায়নি। অভিযোগকারীকে যত দ্রুত সম্ভব টাকা ফেরত পাইয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন এক তদন্তকারী।

Courier Scam Fraud Wallet
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy