বিশ্ববিদ্যালয়ে কোথায় বাতানুকূল যন্ত্র চলছে না, কোন কোন ঘরে তা চলা প্রয়োজন, বিদ্যুতের চাহিদাই বা কত বেড়েছে— এই সব কিছুই বিশেষ কমিটিকে খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দিলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
শিক্ষক ও পড়ুয়াদের বক্তব্য, ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দিকের ভবনে এসি থাকলেও সেগুলি কাজ করে না। অন্য দিকে, শাসকদলের কর্মচারী সংগঠনের দফতরে দু’টি এসি বসানো নিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। শিক্ষকদের একাংশের বক্তব্য, এসি যাতে ঠিক মতো চলে সে বিষয়ে পদক্ষেপ করতে বার বার কর্তৃপক্ষকে বললেও লাভ হয় না। এমনকি, এসি-র জন্য প্রয়োজনীয় বৈদ্যুতিক লোড দেওয়ার ব্যবস্থাও হয় না। অথচ, তৃণমূলের কর্মী সংগঠন ‘শিক্ষাবন্ধু সমিতি’র অফিসে দু’টি এসি বসেছে। তা কাজও করছে।
প্রশ্ন উঠেছে, কেন ল্যাবরেটরি, ক্লাসরুম এবং অন্য জায়গায় এসি কাজ করছে না? তৃণমূলের কর্মী সংগঠনের নেতা বিনয় সিংহের দাবি, তাঁরা নিজেদের টাকায় দু’টি এসি কিনেছেন। প্রয়োজনীয় অনুমতি নিয়েই তা চালানোর ব্যবস্থা হয়েছে। কিন্তু কে এই যন্ত্র দু’টি প্রতিস্থাপন এবং চালানোর অনুমতি দিলেন, তা নিয়েও রহস্য। শিক্ষক মহলের একাংশের অভিযোগ, কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়েই এসি দু’টি চালানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সহ-উপাচার্য চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বিষয়টি দেখতে নির্দেশ দিয়েছেন ক্যাম্পাসে বিদ্যুৎ সরবরাহ বিষয়ক বিশেষজ্ঞ কমিটিকে। তিনি বলেন, ‘‘বিদ্যুতের চাহিদা বেড়েই চলেছে। কারণ, আগের পরিকাঠামোর সঙ্গে স্মার্ট ক্লাস, ল্যাবরেটরি বাড়ছে। কিন্তু বিদ্যুতের জোগানের বিষয়টি আপডেট করা হয়নি। কোথায় এসি প্রয়োজন এবং তার জন্য বিদ্যুতের কতটা চাহিদা, সে সবই এই কমিটি খতিয়ে দেখবে।’’