Advertisement
০৪ মে ২০২৪
Corona Vaccine

Corona Vaccine: স্কুলে প্রতিষেধক দেওয়া শুরু ১২ থেকে ১৪ বছর বয়সিদের

উত্তর কলকাতার সরস্বতী বালিকা বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা গেল, ১২ থেকে ১৪ বছরের ছাত্রীরা লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে প্রতিষেধক নেওয়ার অপেক্ষায়।

প্রতিষেধক দেওয়া হচ্ছে এক পড়ুয়াকে। সোমবার, সরস্বতী বালিকা বিদ্যালয়ে। ছবি: সুমন বল্লভ

প্রতিষেধক দেওয়া হচ্ছে এক পড়ুয়াকে। সোমবার, সরস্বতী বালিকা বিদ্যালয়ে। ছবি: সুমন বল্লভ

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ মার্চ ২০২২ ০৬:৪২
Share: Save:

সিরিঞ্জ দেখেই ভয় পেয়ে কেউ কেউ শিক্ষক বা শিক্ষিকাকে জড়িয়ে ধরে কান্নাকাটি জুড়ে দিল। কেউ আবার ভয় না পেয়ে, নির্বিকার মুখে দিব্যি বাড়িয়ে দিল হাত।

সোমবার শহরের বিভিন্ন স্কুলে এ ভাবেই শুরু হল ১২ থেকে ১৪ বছর বয়সিদের করোনার প্রতিষেধক দেওয়ার কর্মসূচি। এক দিনে নয়, এই প্রতিষেধক দেওয়া হবে পর্যায়ক্রমে। স্কুলশিক্ষকেরা জানাচ্ছেন, মূলত ষষ্ঠ থেকে অষ্টম— এই তিন শ্রেণির পড়ুয়ারা এ দিন প্রতিষেধক নিয়েছে। প্রতিষেধকের প্রথম দিনে পড়ুয়াদের উপস্থিতির হারও ছিল ভালই।

এ দিন উত্তর কলকাতার সরস্বতী বালিকা বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা গেল, ১২ থেকে ১৪ বছরের ছাত্রীরা লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে প্রতিষেধক নেওয়ার অপেক্ষায়। বাইরে দাঁড়িয়ে তাদের অভিভাবকেরা। ওই স্কুলের এক শিক্ষিকা জানালেন, ছাত্রীদের মধ্যে কয়েক জন ভয় পেয়েছে ঠিকই, কিন্তু তাদের বুঝিয়ে বলা হয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে সকলকে নিয়ে সুস্থ থাকার জন্য এই প্রতিষেধক কতটা জরুরি। স্কুলের বাইরে দাঁড়ানো এক অভিভাবক বললেন, ‘‘শিক্ষিকারা যে ভাবে যত্ন সহকারে এবং ভরসা দিয়ে মেয়েদের প্রতিষেধক দেওয়ার ব্যবস্থা করলেন, তাতে আমরা খুব খুশি। প্রতিষেধক দেওয়ার সময়ে আমি পাশে না থাকা সত্ত্বেও মেয়ে একটুও ভয় পায়নি।’’

স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা জয়তী মজুমদার মিত্র বললেন, ‘‘২৫ এপ্রিল ফের দ্বিতীয় দফার প্রতিষেধক দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যারা বাকি আছে, তাদের ওই দিন আসতে বলা হয়েছে। এ দিন ১৩০ জনকে প্রতিষেধক দেওয়ার কথা ছিল। তাদের মধ্যে ১১৯ জন এসেছিল।’’

বেথুন কলেজিয়েট স্কুলে আবার দেখা গেল, সেখানে প্রতিষেধক নেওয়ার সময়ে পড়ুয়াদের পাশে অভিভাবকদেরও থাকার অনুমতি দিয়েছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। প্রধান শিক্ষিকা শাশ্বতী অধিকারী বললেন, ‘‘ওরা খুব কম বয়সি হলেও বেশির ভাগই ভয় পায়নি। আমাদের স্কুল ছাড়াও পাশের আরও দু’টি স্কুলের পড়ুয়ারা এখানে এসে প্রতিষেধক দিয়েছে। সব মিলিয়ে ২১৪ জনকে এ দিন প্রতিষেধক দেওয়া হয়েছে। আগামী দু’দিন এই কর্মসূচি চলবে।’’

সংস্কৃত কলেজিয়েট স্কুলের প্রধান শিক্ষক দেবব্রত মুখোপাধ্যায় জানালেন, তাঁদের স্কুলে ১১০ জনের মধ্যে ৭৮ জন এ দিন প্রতিষেধক নিয়েছে। প্রতিষেধক দেওয়ার কর্মসূচি চলবে আগামী ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত। দেবব্রতবাবু বলেন, “আমাদের স্কুল ছাড়াও আশপাশের কয়েকটি স্কুলের পড়ুয়াদের এখান থেকে প্রতিষেধক নেওয়ার কথা। ছোট ছোট ওই পড়ুয়াদের বেশির ভাগেরই নিজস্ব মোবাইল নেই। মা-বাবাদের ফোনই ভরসা। কিন্তু তাঁরা কাজে বেরিয়ে গেলে ফোন নিয়ে স্কুলে আসা তো সম্ভব নয়। অথচ, মোবাইল ছাড়া প্রতিষেধক নেওয়াও যাবে না। কারণ, ফোনেই প্রতিষেধকের রেজিস্ট্রেশনের সময়ে ওটিপি যায়।’’

প্রধান শিক্ষক জানান, যারা আসতে পারেনি, তাদের বলা হয়েছে, ২৪ এপ্রিলের মধ্যে কোনও এক দিন তারা যেন অভিভাবকদের মোবাইল নিয়ে স্কুলে এসে প্রতিষেধক নিয়ে যায়। প্রয়োজনে অভিভাবকেরাও সঙ্গে আসতে পারেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Corona Vaccine school student
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE