প্রাথমিকে পড়াতে হলে সবাইকে টেট পাশ করতেই হবে— সুপ্রিম কোর্টের এই রায় প্রত্যাহারেরদাবিতে রাজ্য সরকারকে অবিলম্বে রিভিউ পিটিশন দাখিল করতে হবে। বুধবার এই দাবিতে সল্টলেক ও ধর্মতলায় মিছিল করলেন শিক্ষকেরা। তাঁদের আশঙ্কা, সর্বোচ্চ আদালতের এই রায়ের ফলে কয়েক হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। তাই শিক্ষা দফতরকে দ্রুত রিভিউ পিটিশন দাখিল করতে হবে।
এ দিন দুপুরে ‘মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতি’র পক্ষ থেকে শিক্ষাসচিব বিনোদকুমারকে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। সল্টলেকের করুণাময়ী থেকে মিছিল করে বিকাশ ভবন পর্যন্ত যান ওই সংগঠনের সদস্যেরা। তাঁদেরই এক জন অনিমেষ হালদার বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের টেটবাধ্যতামূলক করার রায়ের বিরুদ্ধে অবিলম্বে রাজ্য সরকারকে রিভিউ পিটিশন দাখিল করতে হবে। সেই সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে মান্যতা দিয়ে রোপা ২০০৯-এর বকেয়া ডিএ প্রদান, পার্শ্ব শিক্ষকদের ন্যূনতম মাসিক বেতন ৪০ হাজার টাকা করা-সহ আরও বেশ কিছু দাবি আমাদের স্মারকলিপিতে ছিল।’’
এ দিন সুপ্রিম কোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে মিছিল করে ‘উস্তি ইউনাইটেড টিচার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন’-ও। সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক ভাস্কর ঘোষ বলেন, ‘‘রাজ্য সরকারের কাছে আমাদের আবেদন, দ্রুত রিভিউ পিটিশন দাখিল করতে হবে। কেন্দ্রের কাছে আবেদন, রিভিউ পিটিশনে কাজ না হলে আইন পরিবর্তন করতে হবে। আমরা রাজ্যপালকেও স্মারকলিপি দিয়েছি।’’
‘বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতি’র অভিযোগ, টেট নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারযথাযথ ভূমিকা পালন করছে না। সমিতির এক নেতার মতে, ‘‘শুধু আমাদের রাজ্যে নয়, দেশ জুড়ে সমস্ত রাজ্যে প্রাথমিক শিক্ষকদের চাকরি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। তা সত্ত্বেও কেন্দ্রের নীরবতা আমাদের বিস্মিত করছে। ওড়িশা ও ত্রিপুরারবিজেপি সরকার ইতিমধ্যেই শিক্ষকদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে শুরু করেছে।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)