Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

জল আসতে দেড় মাস, আশ্বাস মেয়রের

গরমের দাপটে এখন-তখন। জল দেড় মাসের পথ। স্বয়ং মেয়র কবুল করেছেন এ কথা। ভোটের আগেও জলের দাবিতে জেরবার হয়েছিলেন তিনি। প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন জল দেওয়ার। কিন্তু তিনি অর্থাৎ, ৯৫ ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর তপন দাশগুপ্ত এখনও সে প্রতিশ্রুতি পালন করতে পারেননি বলে অভিযোগ। আর তার জেরেই বুধবার তপনবাবুর ওয়ার্ড অফিস ঘিরে বিক্ষোভ দেখালেন শ’তিনেক বাসিন্দা। এ সঙ্কটের খবর পেয়ে মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের আশ্বাস, দেড় মাসের মধ্যেই গার্ডেনরিচে আরও ২০ কোটি গ্যালন জল উৎপাদন শুরু হবে।

বিক্ষোভকারীদের হাতে ঘেরাও তপন দাশগুপ্ত। বুধবার। —নিজস্ব চিত্র।

বিক্ষোভকারীদের হাতে ঘেরাও তপন দাশগুপ্ত। বুধবার। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৮ মে ২০১৫ ০০:০১
Share: Save:

গরমের দাপটে এখন-তখন। জল দেড় মাসের পথ। স্বয়ং মেয়র কবুল করেছেন এ কথা।

ভোটের আগেও জলের দাবিতে জেরবার হয়েছিলেন তিনি। প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন জল দেওয়ার। কিন্তু তিনি অর্থাৎ, ৯৫ ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর তপন দাশগুপ্ত এখনও সে প্রতিশ্রুতি পালন করতে পারেননি বলে অভিযোগ। আর তার জেরেই বুধবার তপনবাবুর ওয়ার্ড অফিস ঘিরে বিক্ষোভ দেখালেন শ’তিনেক বাসিন্দা। এ সঙ্কটের খবর পেয়ে মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের আশ্বাস, দেড় মাসের মধ্যেই গার্ডেনরিচে আরও ২০ কোটি গ্যালন জল উৎপাদন শুরু হবে। তাতে সমস্যা অনেকটা কমবে।

কলকাতা পুরসভার সবচেয়ে বড় এলাকা ১০ নম্বর বরো। ওয়ার্ড সংখ্যাও বেশি। তপনবাবু নিজেই আবার ওই বরোর বিদায়ী চেয়ারম্যান। নতুন বোর্ড কাজ শুরু করার আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছেন ফের চেয়ারম্যান হচ্ছেন তপনবাবুই। স্বভাবতই এলাকার মানুষের জলের সমস্যা মেটাতে না পেরে বিড়ম্বনায় পড়েছেন তিনি। অশ্বিনীনগর, আজাদগড়, বিক্রমগড়, নেতাজিনগর-সহ বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দাদের বিক্ষোভে কাউন্সিলর নিজে ঘেরাও থাকলেও এ দাবি নায্য বলেই মত তাঁর। অভিযোগ তুলেছেন, ‘‘এলাকায় বেআইনি ভাবে জল নেওয়ার প্রবণতা বাড়াতেই সমস্যা প্রকট হয়েছে।’’

এলাকার মানুষের জলের সমস্যার কথা জল সরবরাহ দফতরের এক পদস্থ কর্তাকে জানাতে গিয়ে এ দিন তাঁকে অপদস্থ হতে হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তপনবাবু। তাই ঘেরাও মুক্ত হয়েই সতীর্থ দুই কাউন্সিলর ৯৪ ওয়ার্ডের অর্পণা সেনগুপ্ত এবং ১০০ ওয়ার্ডের সুস্মিতা দামকে সঙ্গে নিয়ে তিনি যান পুরভবনে মেয়রের কাছে। মেয়র জল সরবরাহ দফতরের ডিজি বিভাস মাইতিকে ওই এলাকার পরিস্থিতির কথা জানান। মেয়র বলেন, ‘‘প্রচণ্ড গরমের জন্য জলের চাহিদা বেড়েছে। সেই সঙ্গে এলাকায় বহুতল বাড়ায় জলের জোগানে টান পড়ছে।’’

শোভনবাবুর বক্তব্য, বহুতলগুলি পুরসভার জলের লাইন থেকে পাম্পের সাহায্যে বেশি জল টেনে নিচ্ছে। পুর-প্রশাসন এ ব্যাপারে এলাকায় কড়া নজরদারি শুরু করছে। বেআইনি ভাবে জল টানার হদিস মিললেই সেই বহুতলে সরবরাহ বন্ধ করা হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE