দিন সতেরো আগে বাগড়ি মার্কেটের অগ্নিকাণ্ডের পরেই আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। ওষুধের জোগানে টান পড়ার কথা জানিয়েছিল বেশ কয়েকটি হাসপাতাল। কেননা বাগড়ি মার্কেট ওষুধ সরবরাহেরও অন্যতম বড় বাজার। বুধবার কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অগ্নিকাণ্ডে ওষুধের সমস্যা আরও বাড়ল বলেই আশঙ্কা স্বাস্থ্য দফতরের।
এ দিন সকালে আগুন লাগে মেডিক্যাল কলেজের ফার্মাসি বিভাগে আগুন লাগে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় সাত কোটি টাকার ওষুধ মজুত ছিল। অগ্নিকাণ্ডের জেরে প্রায় ৯০ শতাংশ ওষুধ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। যার আনুমানিক বাজারি মূল্য পাঁচ কোটি টাকা। ক্যানসার, থ্যালাসেমিয়া, নাক-কান-গলা, মেডিসিন, চর্মরোগ ছাড়াও বিভিন্ন রোগের জীবনদায়ী দামি ওষুধ ওই বিভাগে রাখা হয়। তুলো, গজ, অক্সিজেন সিলিন্ডার-সহ চিকিৎসার প্রয়োজনীয় সরঞ্জামও সংরক্ষিত থাকে সেখানে। ফার্মাসি বিভাগে হাসপাতালের সব বিভাগের প্রায় এক মাসের ওষুধ সংগ্রহ করা থাকে।
১৫ সেপ্টেম্বর শেষ রাতে বাগড়ি মার্কেটে আগুন লাগে। নষ্ট হয়ে যায় কয়েক কোটি টাকার ওষুধ। রাজ্যের ডিরেক্টরেট অব ড্রাগ কন্ট্রোল বাগড়ি মার্কেটের যাবতীয় ওষুধ ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এর জেরে শিশুদের টিকা-ওষুধের সমস্যা দেখা দেয়। কলকাতার অধিকাংশ হাসপাতালে তিন ও ছ’মাসের শিশুর ডিপথেরিয়া, পোলিয়ো, হেমোফিলিয়াস ইনফ্লুয়েঞ্জার টিকা যেত বাগড়ি থেকে। হাসপাতালের অগ্নিকাণ্ডে সেই সঙ্কট ঘোরালো হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।