নামিয়ে আনা হচ্ছে ওই যুবককে।
ব্যস্ত অফিস টাইমে চোখ কপালে উঠল সবার! শুক্রবার সকাল তখন ১০টা। চূড়ান্ত ব্যস্ত হাওড়া ব্রিজ। চলন্ত বাস-মিনিবাস থেকে অনেকে তখন কপালে হাত ছুঁইয়ে গঙ্গাপ্রণাম করছেন, অনেকে বাসের গেটের দিকে ধীর পায়ে এগোচ্ছেন। সে সময়েই হইচই! ব্যাপারটা কী? দেখা গেল, বাড়ির বৈঠকখানায় হাঁটাহাঁটি করার ঢঙে খাস হাওড়া ব্রিজের মাথায় লোহার বিমের উপর পায়চারি করছে এক যুবক!
হুলুস্থূল কাণ্ড! রবীন্দ্র সেতুর উপরে কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশকর্মীদের মাথায় হাত। কখন যে ওই যুবক হাওড়া ব্রিজের ৩৬ ও ৩৭ নম্বর পিলারের মাঝ বরাবর উপরে উঠে পড়েছিল তা কেউ জানে না। নীচ থেকে হাত নাড়া, বাবা-বাছা করেও কোনও লাভ হল না। খবর গেল উত্তর বন্দর থানায়। বার্তা গেল দমকলে। বার্তা গেল বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কাছেও। ঘটনাস্থলে পৌঁছল দমকলের তিনটি ইঞ্জিন ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীও। থমকে গেল যানবাহন। বাড়তে লাগল ভিড়। সকাল সকাল মুফতে পাওয়া মজা লুটতে চায় অনেকেই! অনেকে আবার উদগ্রীব, আশঙ্কিতও। নিরাপদে এই যুবককে নীচে নামিয়ে আনা যাবে তো? ইতিমধ্যে ঘিরে ফেলা হয় ব্রিজের একটা অংশ। অনেক কসরতের পর দমকল ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর চেষ্টায় বেলা ১২টা নাগাদ দড়ি বেঁধে ঝুলিয়ে ব্রিজের উপর থেকে নামিয়ে আনা হল ওই যুবককে।
পুলিশ সূত্রে খবর, বছর ত্রিশের এই যুবক মানসিক ভারসাম্যহীন। যুবকটির পরিচয় এ দিন দুপুর পর্যন্ত জানা যায়নি। তবে যুবকের দাবি, সে ত্রিপুরার বাসিন্দা। যদিও এ সম্পর্কে পুলিশ এখনও নিশ্চিত হতে পারছে না। আপাতত ওই যুবককে উদ্ধার করে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই ঘটনার জেরে নেতাজি সুভাষ রোড ও স্ট্র্যান্ড রোডে ব্যাপক যানজট হয়।
আরও পড়ুন: বাবাকে বিষ খাইয়ে খুন করলেন মেয়ে! প্রেমিক-সহ অভিযুক্ত মা-ও
তবে প্রচুর কসরতের পর তাকে সেতুর উপর থেকে নিরাপদে নামাতে পারায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন পুলিশ ও দমকল কর্তারা। ঘটনাস্থলে থাকা এক বাসযাত্রীর সরস মন্তব্য: ‘‘নীচে এত লোক দেখে ভাগ্যিস ও গোঁসা করে গঙ্গায় ঝাঁপ দেয়নি!’’
—নিজস্ব চিত্র।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy