কথা না শোনায় নিজের গাড়ির চালককে মারধর করেছিলেন মেট্রো রেলের অফিসার। এমনই অভিযোগ ঘিরে মঙ্গলবার তুলকালাম কাণ্ড হল মেট্রো রেল ভবনে। উত্তেজিত অন্য গাড়ির চালকেরা জোটবদ্ধ ভাবে মেট্রো ভবনের দরজা আটকে বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত বিক্ষোভ দেখান। আটকে পড়েন অন্য অফিসারেরাও। এর জেরে বেশিরভাগ কর্তার গাড়ি মেট্রো ভবন থেকে বেরোতে পারেনি। অভিযোগ দায়ের করা হয় শেক্সপিয়র সরণি থানায়। মেট্রোকর্তারা অবশ্য এই ঘটনা নিয়ে মুখ খুলতে চাননি। তবে এই ঘটনায় মেট্রো চলাচলে বিঘ্ন ঘটেনি। বেশি রাতে বিক্ষোভ ওঠে।
মেট্রোর সব অফিসারকেই রেল থেকে আলাদা আলাদা গাড়ি দেওয়া হয়। তার জন্য থাকেন নির্দিষ্ট চালকও। এ দিন ওই গাড়ির চালকেরাই বিকেল থেকে মেট্রো রেল ভবনে বিক্ষোভ দেখান। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত কর্তার নাম সুরজিৎ দাস। তিনি কলকাতা মেট্রোর ‘চিফ অপারেশন্স ম্যানেজার’। মূলত তিনি ট্রেন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করেন। অভিযোগ, এ দিন বিকেল ৪টে নাগাদ তিনি তাঁর গাড়ি করে আসার সময়ে মহম্মদ সেলিম নামে ওই চালককে মারধর করেন। এর পরেই সেলিম মেট্রো রেল ভবনে এসে বিষয়টি জানান অন্য চালকদের।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই কর্তার আচার-আচরণ অফিসের পরিবেশের পরিপন্থী বলে চালকদের অভিযোগ। রেল সূত্রে খবর, সুরজিৎবাবু আগে যে সব জায়গায় ছিলেন, সেখানেও তাঁর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠেছিল। অভিযোগ দায়ের হয়েছিল মানবাধিকার কমিশনেও। তা সত্ত্বেও তাঁর বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রেলকর্তাদের একাংশ। চালকদের আরও অভিযোগ, মাস ছ’য়েক আগে তাঁর এক গাড়ির চালকের গলায় সিটবেল্ট চেপে তাঁকে হেনস্থা করেছিলেন সুরজিৎবাবু। ওই ঘটনা মেট্রোর জেনারেল ম্যানেজার পর্যন্ত গড়িয়েছিল।
পুলিশের কাছে কী অভিযোগ জানিয়েছেন নিগৃহীত চালক? তদন্তকারীরা জানান, এ দিন সুরজিৎবাবুর বাড়িতে দেরি করে এসেছিলেন ওই চালক। গাড়িতে ওঠার পরেও তাঁর মর্জিমতো সেলিম কথা না শোনায় সুরজিৎবাবু তাঁকে গাড়িতেই হেনস্থা ও মারধর করেন। এমনকী, তাঁকে পরে ‘দেখে নেওয়ারও’ হুমকি দেন। অফিসে পৌঁছে চালক বিষয়টি অন্যদের জানান।
পুলিশ জানিয়েছে, নিগৃহীত চালকের অভিযোগের ভিত্তিতে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা করা হয়েছে। তদন্তের ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy