E-Paper

মেট্রোয় বিজ্ঞাপনী শব্দে ব্যাঘাত চালকদের মনঃসংযোগে

উত্তর-দক্ষিণ মেট্রোর আদলে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোতেও আয় বাড়াতে বেশ কিছু দিন ধরে বিজ্ঞাপন বাজানো শুরু হয়েছে। একাধিক রেকে তার শব্দের তীব্রতা ৬০ থেকে ৬৫ ডেসিবেলের বেশি হওয়ার অভিযোগ শোনা গিয়েছে মেট্রো চালকদের একাংশের মুখেই।

ফিরোজ ইসলাম 

শেষ আপডেট: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৪:৩৫
An image of Metro

— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

বিজ্ঞাপনে মুখ ঢেকে যাওয়ার আক্ষেপ শোনা গিয়েছিল শঙ্খ ঘোষের কবিতায়। মেট্রোর কামরাতেও বিজ্ঞাপনী ঝঙ্কার যাত্রীদের পীড়া দিলেও তা সরাসরি চালকদের কাজকে ব্যাহত করছে, এমনটা শোনা যায়নি। তবে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোয় সার্বিক ব্যবস্থাপনা খতিয়ে দেখতে এসে সেই কথাই তুলে ধরেছেন দেশের মেট্রো রেলের চিফ সেফটি কমিশনার জনককুমার গর্গ। যাত্রীদের কামরায় যে অডিয়ো (শ্রাব্য) বিজ্ঞাপন চলে, সেই বার্তাই চালকের কেবিনে শোনা যাওয়ার ফলে মনঃসংযোগে ব্যাঘাত ঘটার আশঙ্কার কথা শোনা গিয়েছে তাঁর মুখে। যাত্রীদের স্বার্থে সুষ্ঠু এবং নিরাপদ মেট্রো পরিষেবা নিশ্চিত করতে ৫০টিরও বেশি ক্ষেত্রে ছোট-বড় নানা ত্রুটি সংশোধনের কথা বলেছেন তিনি। যার মধ্যে ‘শ্রাব্য বিজ্ঞাপনের ব্যাঘাত’-এর বিষয়টিও রয়েছে।

উত্তর-দক্ষিণ মেট্রোর আদলে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোতেও আয় বাড়াতে বেশ কিছু দিন ধরে বিজ্ঞাপন বাজানো শুরু হয়েছে। একাধিক রেকে তার শব্দের তীব্রতা ৬০ থেকে ৬৫ ডেসিবেলের বেশি হওয়ার অভিযোগ শোনা গিয়েছে মেট্রো চালকদের একাংশের মুখেই। শুরুর দিকে বিষয়টি সহনমাত্রার বাইরে যাওয়ার ফলে বিভিন্ন সময়ে কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে যোগাযোগ করার ক্ষেত্রে অসুবিধা ছাড়াও মনঃসংযোগে ব্যাঘাত ঘটত। পরে তা তুলনামূলক ভাবে সহনমাত্রায় নামিয়ে আনা হয়। তবে, এর পরেও বহু রেকে শব্দের তীব্রতার তারতম্য রয়েছে বলে অভিযোগ। ওই পর্যবেক্ষণকে গুরুত্ব দিয়ে চালকের কামরায় শব্দের তীব্রতা কমানো হবে বলে সূত্রের খবর। শুক্রবারের মধ্যেই কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, তার বিবরণ কমিশনারকে জানানোর কথা মেট্রো কর্তৃপক্ষের।

যদিও যাত্রীরা কী ভাবে কিছুটা স্বস্তি পাবেন, তার কোনও দিশা মেলেনি কর্তাদের কাছ থেকে। বহু মেট্রোর কামরায় বিজ্ঞাপনের জিঙ্গলের ওঠাপড়ার কারণে যাত্রীদের সফর প্রায়ই বেদনাদায়ক হয়ে ওঠে বলে অভিযোগ। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই জিঙ্গল যতটা জোরে শোনা যায়, ততটা স্পষ্ট ভাবে মেট্রোর দরকারি ঘোষণা শোনা যায় না বলেও অভিযোগ। স্টেশনেও তীব্র শব্দে টিভি চলার জেরে ঘোষণা শুনতে বেগ পেতে হয়। বছরখানেক আগে গীতাঞ্জলি মেট্রো স্টেশনে টিভির তীব্র শব্দ নিয়ে অভিযোগ জমা পড়েছিল। মেট্রোর কর্তারা অবশ্য অভিযোগ এলে ব্যবস্থা নেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন।

ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর সুড়ঙ্গে নীল এলইডি আলো এবং রুপোলি মাছ নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে বলে খবর। তবে পরিদর্শন চলাকালীন আলোর মাছ দেখা যায়নি। ওই সব আলোর কেব্‌ল সব ক্ষেত্রে আগুন এবং তাপরোধী নয় বলেও শঙ্কা প্রকাশ করেছেন চিফ কমিশনার। যেখানে আগুনরোধী কেব্‌ল নেই, সেখানে তা বদলানোর নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। নীল আলোয় সুড়ঙ্গ দেখতে অসুবিধা হচ্ছে কি না, সেই খোঁজ করেছেন। সাময়িক ভাবে ওই আলো বন্ধ রাখা হয়েছে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Kolkata metro services Advertisements Kolkata Metro

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy