Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

চলন্ত মেট্রোর দরজা খোলা, ভরসা প্রহরীরা

মেরামতির এমন হাল যে, দরজা সারানোর পরেও নিশ্চিত হতে পারেননি ইঞ্জিনিয়ারেরা। তাই মাঝপথে দরজায় আরপিএফ দাঁড় করিয়ে বাকি রাস্তাটুকু কোনও মতে পার করানো হল বাতানুকূল একটি মেট্রো। বৃহস্পতিবার সকালের ঘটনা।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৩ এপ্রিল ২০১৫ ০০:২৭
Share: Save:

মেরামতির এমন হাল যে, দরজা সারানোর পরেও নিশ্চিত হতে পারেননি ইঞ্জিনিয়ারেরা। তাই মাঝপথে দরজায় আরপিএফ দাঁড় করিয়ে বাকি রাস্তাটুকু কোনও মতে পার করানো হল বাতানুকূল একটি মেট্রো। বৃহস্পতিবার সকালের ঘটনা।

কবি সুভাষ থেকে ছাড়ার পর থেকেই রেকটিতে একটি দরজায় গোলমাল হচ্ছিল। ঠিক করে বন্ধ হচ্ছিল না। চালক বারবার দরজা খুলে আবার বন্ধ করার চেষ্টা করছিলেন। তারপরে ট্রেনটি যতীনদাশ পার্ক স্টেশনে পৌঁছনোর পরে আর দরজা কিছুতেই বন্ধ করতে পারছিলেন না চালক। এরপরেই কন্ট্রোলে খবর দেন তিনি। খবর পেয়ে মেট্রোর ইঞ্জিনিয়ারেরা এসে মেরামতির শুরু করেন। কিন্তু ১০ মিনিট চেষ্টা করেও খারাপ হওয়া দরজাটি সম্পূর্ণ ভাবে বন্ধ করতে পারেননি। অনেকক্ষণ ট্রেনের মধ্যে আটকে থেকে যাত্রীরাও ক্রমশ উত্তেজিত হয়ে পড়েন। এরপরেই তড়িঘড়ি মেট্রো কতৃপক্ষ দু’জন আরপিএফ ডেকে ওই খারাপ দরজার সামনে দাঁড় করিয়ে ট্রেনটিকে আবার ছাড়ার ব্যবস্থা করেন।

এর আগে দরজা খোলা অবস্থায় মেট্রো দৌড়লেও বড় জোড় একটি স্টেশন পর্যন্ত গিয়েছে। কিন্তু প্রায় খোলা দরজার সামনে আরপিএফ দাঁড় করিয়ে টানা কখনও মেট্রো চলেনি। কিন্তু কী এমন কাণ্ড হল যে দরজা সারানোর পরেও আরপিএফ দাঁড় করাতে হল! ওই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে মেট্রোর অন্দরে।

সম্প্রতি জেনারেল ম্যানেজারের (জিএম) ইন্সপেকশন কারটিও (বিশেষ রেক) ফিরে যাওয়ার সময় মাঝ পথে আটকে গিয়ে ট্রেন চলাচলে বিপত্তি বাধিয়ে ছিল। ঘটনার দিন ওই ট্রেনটিতে জিএম না থাকলেও ইঞ্জিনিয়ারদের গোটা দলটিই হাজির ছিলেন। উচ্চ পদস্থ কর্তারাও ওই দিন ট্রেনটিকে ঠিকমত সারাতে পারেননি। দু’দুবার দুটি স্টেশনে খারাপ হয়ে গিয়েছিল রেকটি। মেট্রো কর্তাদের একাংশের বক্তব্য, উচ্চ পদস্থ কর্তারাই যদি রেক সারতে না পারেন তবে অধঃস্তন কর্মীরা কী করে সারাই করবেন ? আসলে বাতানুকূল কামরার ওই নতুন প্রযুক্তি তাঁরা এখনও ভাল করে রপ্ত করতে পারেনি। তাতে যা ঘটার তাই ঘটচ্ছে। মেট্রোর আপাদমস্তক খোল নলচে না বদলানো না হলে কোনও পরিবর্তন হওয়ার সম্ভবনাও দেখছেন না তাঁরা।

রেলের কোনও কোনও কর্তা বলছেন মেট্রোকে আলাদা করে জোন ঘোষণা করাটাই কাল হয়েছে। পরিকাঠামো এবং প্রশাসন ঠিক করে আগে ভাগে রেলের বোর্ডের ওই নির্দেশ দিয়ে দেওয়ায় পরিষেবার কপাল পুড়েছে। তাঁদের বক্তব্য, রেল বোর্ড যখন পূর্ণ সময়ের একজন জেনারেল ম্যানেজার নিয়োগ করতে পারছে না, তখন একটি ডিভিশনের মত অন্তত একটি ডিআরএম-এর পদ তৈরি করে অবিলম্বে এক জন অফিসারকে এখানে পাঠাক। যাঁর হাতে পূর্ণ ক্ষমতা থাকবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE