আবার মেট্রোর সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টার ঘটনা ঘটল। মঙ্গলবার সকালে দমদম স্টেশনে ঘটনাটি ঘটে। তার ফলেই ব্লু লাইনের (শহিদ ক্ষুদিরাম-দক্ষিণেশ্বর) পরিষেবা সাময়িক থমকে যায়। প্রায় ঘণ্টাখানেক পর পুরোপথে পরিষেবা স্বাভাবিক হয়। এই নিয়ে ছ’দিনে তিনটি আত্মহত্যার চেষ্টার ঘটনা ঘটল।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ দমদম স্টেশনে এক যাত্রী মেট্রোর সামনে ঝাঁপ দেন। শহিদ ক্ষুদিরামের দিকে অর্থাৎ ডাউন লাইনে ঘটনা ঘটলেও দুই লাইনের পরিষেবা সাময়িক বন্ধ রাখতে হয়। দমদম স্টেশনে দুর্ঘটনার জন্য ভাঙাপথে মেট্রো চলাচল করে। গিরিশ পার্ক থেকে দক্ষিণেশ্বর পর্যন্ত আপ এবং ডাউন— দুই লাইনেই পরিষেবা বন্ধ ছিল। সাড়ে ১২টা ২০ মিনিট নাগাদ আবার পুরোপথে পরিষেবা চালু হয়।
মেট্রো কর্তৃপক্ষ প্রতিটি স্টেশনে ঘোষণা করে দুর্ঘটনার কথা জানান। একই সঙ্গে পরিষেবা ব্যাহত হওয়ার ঘোষণাও করা হয়। ব্যস্ত সময়ে পরিষেবা ব্যাহত হওয়ায় ভোগান্তির শিকার হন যাত্রীরা। অনেকেই মাঝপথে ট্রেন থেকে নেমে যেতে হয়। সড়কপথে বা অন্য কোনও উপায়ে গন্তব্যে পৌঁছোতে হয় তাঁদের।
আরও পড়ুন:
গত ২০ নভেম্বর নেতাজি স্টেশনে চলন্ত ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টার একটি ঘটনা ঘটে। সেই কারণে প্রায় ঘণ্টাখানেক দক্ষিণেশ্বর থেকে ময়দান পর্যন্ত ভাঙাপথে মেট্রো চালানো হয়। দু’দিন যেতে না যেতেই ২২ নভেম্বর মহাত্মা গান্ধী রোড স্টেশনে মেট্রোর সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন এক যাত্রী। তার জেরে পরিষেবা ব্যাহত হয় ব্যস্ত সময়ে। তিন দিন পর আবার একই ঘটনা ঘটল। কেন বার বার এই লাইনেই আত্মহত্যার চেষ্টার মতো ঘটনা ঘটছে, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এই প্রবণতা ঠেকাতে একাধিক পদক্ষেপ করেছেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ। কালীঘাট স্টেশনে প্ল্যাটফর্মের প্রান্তে গার্ডরেল পর্যন্ত বসানো হয়েছে। কিন্তু এ সবে বিশেষ লাভ হয়নি।