ভিড় উপচে পড়ছে মেট্রোয়। ফাইল চিত্র
কাল, রবিবার বর্ষবরণের রাতে পরিষেবার সময় ও ট্রেনের সংখ্যা আরও বাড়াতে চলেছে মেট্রো। সেই সঙ্গে রাজ্য পরিবহণ দফতর সূত্রের খবর, সে দিন সরকারি বাসও চলবে সারা রাত।
এর আগে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে মেট্রো জানিয়েছিল, ৩১ ডিসেম্বর রাতে ট্রেন চলবে ১২টা পর্যন্ত। শুধু তা-ই নয়, মাত্র দশটি করে অতিরিক্ত ট্রেন চালানোর কথা ঘোষণা করেছিলেন মেট্রোকর্তারা।
শুক্রবার মেট্রো সূত্রে জানানো হয়েছে, সেই সিদ্ধান্ত বদলে যাত্রীদের সুবিধার্থে বর্ষবরণের রাতে মেট্রো চলাচল করবে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত। আর রবিবার হওয়া সত্ত্বেও ওই দিন ৯০টি অতিরিক্ত ট্রেন চালানো হবে। অর্থাৎ, ৩১ ডিসেম্বর সারা দিন ২০০টি ট্রেন চালাবে মেট্রো।
মেট্রোর এই সিদ্ধান্তে যাত্রীরা খুশি। তবে তাঁদের একাংশের বক্তব্য, যে ভাবে দু’-এক বছর ধরে উৎসবের দিনগুলিতে ভিড় বাড়ছে, তাতে বড়দিনেও মেট্রোর বেশি ট্রেন চালানো উচিত ছিল।’’ তাঁদের বক্তব্য, ইদানীং মহালয়া থেকেই পুজোর ভিড় শুরু হয়ে যায়। কিন্তু তখন অফিস ছুটি থাকে না। যার ফলে ওই সময়ে নিত্যযাত্রীদের ভিড়ের সঙ্গে যুক্ত হয় দর্শনার্থীদের চাপ। দুইয়ে মিলে মেট্রোয় চিঁড়েচ্যাপ্টা হওয়ার জোগাড় হয়। এ বছরও সেটাই ঘটেছে। যাত্রীদের তাই দাবি, শুধু পুজোর চার দিন নয়, পুজোর আগেও ক’টা দিন মেট্রো একটু বেশি রাত পর্যন্ত চালানো হোক। তাতে সবাই একটু স্বচ্ছন্দে যাওয়া-আসা করতে পারবেন।
বড়দিনেও শহরতলি থেকে কলকাতায় লক্ষ লক্ষ মানুষ আসেন। পুলিশ সূত্রের খবর, এ বছর বড়দিনের আগের দিনই (রবিবার) এ শহরে যে পরিমাণ দর্শক সমাগম ঘটেছে, সেটাও পুলিশকে ভাবিয়ে তুলেছে। কিন্তু মেট্রো এই বিষয়টি ভাবতে চায়নি। ফলে তারা ট্রেনও বাড়ায়নি। উল্টে ছুটির দিনে কম ট্রেন চালানোয় নাভিশ্বাস উঠেছে যাত্রীদের। বেশি রাতে পার্ক স্ট্রিট স্টেশনে এক সময়ে এমন ভিড় হয় যে, এক দিকের গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়।
পুলিশের বক্তব্য, এর প্রধান কারণ ট্রেন না বাড়ানো। অনেক ক্ষণ পরপর ট্রেন না থাকায় প্ল্যাটফর্মে এমন ভিড় জমে যায় যে, গেট বন্ধ করে দিতে হয়।
যাত্রীদের একাংশ বলছেন, শীতের প্রতিদিনই ভিড় বাড়ে বলে রোজই বেশি রাত পর্যন্ত ট্রেন চালানো উচিত মেট্রোর। এতে মেট্রোর আর্থিক লাভও হবে। কারণ, মেট্রোই এখন এই শহরের একমাত্র ‘লাইফ লাইন’।
এ ছাড়া পরিবহণ দফতর সূত্রের খবর, কলকাতা ও হাওড়ার বিভিন্ন এলাকা থেকে রবিবার রাতভর বাস চলবে। সরকারি বাসের যে অ্যাপটি আছে (পথ দিশা), সেটিও সক্রিয় রাখতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি, পরিবহণ ভবন থেকে সারা রাত জিপিএস-এর মাধ্যমে নজরদারি চালানো হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy