Advertisement
৩০ মার্চ ২০২৩
Coronavirus

করোনার জুজু দেখিয়ে মহিলার হার চুরি

বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা নাগাদ বিমানবন্দরের কাছে যশোর রোডে ওই ঘটনা ঘটে। পুলিশ অভিযুক্তদের খোঁজ শুরু করেছে।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ জুন ২০২০ ০২:৪২
Share: Save:

করোনার পরিস্থিতিতে অপরাধের ঘটনা যে বাড়বে তা অনেকেই মনে করেছিলেন। কলকাতায় ইতিমধ্যেই মাস্ক পরে ছিনতাইয়ের ঘটনা সামনে এসেছে। এ বার করোনাকে সামনে রেখে এক মহিলাকে বোকা বানিয়ে তাঁর গলার হার নিয়ে পালাল দুই দুষ্কৃতী। পুলিশ অভিযুক্তদের খোঁজ শুরু করেছে।

Advertisement

বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা নাগাদ বিমানবন্দরের কাছে যশোর রোডে ওই ঘটনা ঘটে। পুলিশ সূত্রের খবর, আড়াই নম্বর গেটের কাছ থেকে দুই মহিলা রিকশায় চেপে যশোর রোড ধরে যাচ্ছিলেন। আচমকা মোটরবাইকে চেপে দু`জন রিকশার সামনে চলে আসে। রিকশায় মিতা মজুমদার নামে এক মহিলা বসেছিলেন। তাঁর গলায় সোনার হার ছিল।

পুলিশ জানায়, এক যুবক মিতাদেবীর কাছে জানতে চায়, করোনার সময়ে ডাক্তারেরা গয়না পরতে বারণ করা সত্ত্বেও তিনি কেন সোনার গয়না পরে বাইরে বেরিয়েছেন। মহিলা ওই যুবককে জানান তিনি এমন কোনও নিষেধের কথা জানেন না। এর পরে ওই দুই যুবক মহিলাকে ব্যাগের ভিতর গয়না রেখে দিতে বলে চলে যায়। মহিলাও গয়না খুলে ব্যাগের ভিতরে রেখে দেন।

কিন্তু এর কিছু পরেই ফের ওই দুই যুবক হাজির হয়। তদন্তকারীরা জানান, রিকশা আটকে মহিলার পরিচিতি জানতে চায় ওই বাইকআরোহীরা। যুবকদের আচরণ দেখে তাদের পুলিশ বলে মনে হয়েছিল ওই মহিলার। তিনি যুবকদের জানান, গয়না ব্যাগের ভিতরে রেখেছেন। এর পরে এক ব্যক্তি জানান, ভয়ের কোনও কারণ নেই। শুধু কী কী গয়না রয়েছে, তা তাদের লিপিবদ্ধ করতে হবে। তাদের কথায় মহিলা কিছুটা হতভম্ব হয়ে যান।

Advertisement

এর পরে মহিলার ব্যাগ খুলে গয়না বার করে এক জন। তার সঙ্গী একটি কাগজে লিখতে থাকে। কিছু ক্ষণ পরে তারা ব্যাগ ফেরত দিয়ে চলে যায়। পরে ব্যাগ খুলে মহিলা দেখেন গয়না উধাও। মহিলা বিমানবন্দর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ যশোর রোডের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করার কাজ শুরু করেছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE
Popup Close
Something isn't right! Please refresh.