কলকাতা পুলিশের ভ্রাম্যমাণ রান্নাঘরের সামনে লাইন ব্রিগেডে আসা জনতার। রবিবার, ময়দানে। —নিজস্ব চিত্র।
ব্রিগেডের মঞ্চে তখন সবে মাত্র পৌঁছেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তখনই পুরুলিয়ার বান্দোয়ান থেকে আসা কয়েক জন তৃণমূল কর্মী-সমর্থক চায়ের খোঁজ শুরু করলেন।
বললেন, ‘‘দাদার কথা শুনতে হবে। তার আগে একটু ভাল চা খেয়ে নিই।’’ কিন্তু ময়দানের ত্রিসীমানায় চায়ের দোকান কোথায়? খাঁ-খাঁ রোদে মাঠ পেরিয়ে বড় রাস্তায় যাওয়াও কষ্টের। এমন ভাবনাচিন্তার মধ্যেই ওই দলের এক জন ময়দানের এক দিকে হাত তুলে দেখালেন, দাঁড়িয়ে থাকা গাড়ি থেকে মিলছে চা-বিস্কুট।
সামনে যেতেই দেখা গেল, গাড়িতে ‘মোবাইল কিচেন’ লেখা থাকার পাশাপাশি বড় করে রয়েছে কলকাতা পুলিশের লোগো! তা হলে কী শুধুমাত্র কলকাতা পুলিশের কর্মীদের জলযোগের জন্য ওই ব্যবস্থা? যদিও আরও সামনে যেতেই ভুল ভাঙল জটলায় থাকা সমর্থকদের। দেখা গেল, নির্দিষ্ট দাম দিলে চা, বিস্কুট, কেক, লাড্ডু, জলের বোতল মিলছে ওই গাড়ি থেকেই। ভিতরে কাজ করছেন দুই যুবক। তাঁরাই জানালেন, সকালে রুটি আর তরকারিরও আয়োজন ছিল। গাড়ির ভিতরেই রয়েছে রান্নার ব্যবস্থা। বড় কেটলি শেষ হতেই তড়িঘড়ি চুল্লিতে বড় পাত্র বসিয়ে চা তৈরি শুরু করলেন এক যুবক।
এটা কি কলকাতার রাস্তায় থাকে? প্রশ্ন শুনেই ওই কর্মী বললেন, ‘‘না, না। আলিপুর বডিগার্ড
লাইন্সে, লালবাজারে আমরা ক্যান্টিন চালাই।’’ কিন্তু ব্রিগেডে হঠাৎ করে কলকাতা পুলিশ চা, জলখাবার বিক্রি করছে কেন? গাড়িতে থাকা কর্মীরা জানালেন, সম্প্রতি কেন্দ্রের বঞ্চনার বিরুদ্ধে ধর্নায় বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেও ওই গাড়ি ছিল। এর পরে আবার এ দিন ব্রিগেডে এসেছে। এক কর্মীর কথায়, ‘‘উপর থেকে নির্দেশ এলে তবেই রাস্তায় বেরোই।’’
এ দিন ভোর থেকেই ব্রিগেডের পূর্ব দিকে দাঁড়িয়ে ছিল কলকাতা পুলিশের ওই মোবাইল কিচেন ভ্যান। ১০ টাকা দিয়ে এক কাপ চা নিয়ে, তাতে চুমুক দিয়ে এক প্রৌঢ় বললেন, ‘‘পুলিশেরও চা-খাবারের দোকান! এটা বেশ লাগল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy