Advertisement
E-Paper

মোমিনপুর বাদ, জোকার নয়া রুট

সেনাবাহিনীর অনুমতি মিলবে না। এটা মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় এ বার মোমিনপুর স্টেশন বাদ রেখেই জোকা-বিবাদী বাগ প্রকল্প করতে চাইছে মেট্রো রেল ও পরিবহণ দফতর। এর ফলে প্রকল্প রূপায়ণে আর বাধা রইল না বলেই দাবি তাদের। এমনকী, ময়দান এলাকায় সুড়ঙ্গপথে মেট্রো নেওয়ার ক্ষেত্রে সেনার অনুমোদন মিলবে বলে আশাবাদী দু’পক্ষই।

অত্রি মিত্র

শেষ আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০১৫ ০২:১০

সেনাবাহিনীর অনুমতি মিলবে না। এটা মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় এ বার মোমিনপুর স্টেশন বাদ রেখেই জোকা-বিবাদী বাগ প্রকল্প করতে চাইছে মেট্রো রেল ও পরিবহণ দফতর। এর ফলে প্রকল্প রূপায়ণে আর বাধা রইল না বলেই দাবি তাদের। এমনকী, ময়দান এলাকায় সুড়ঙ্গপথে মেট্রো নেওয়ার ক্ষেত্রে সেনার অনুমোদন মিলবে বলে আশাবাদী দু’পক্ষই। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে খিদিরপুর থেকে সোজা পাতালে নেমে যাবে মেট্রো। উঠবে এসপ্ল্যানেডে। মাঝে পার্ক স্ট্রিট ছাড়া অন্য কোনও স্টেশন থাকবে না।

জোকা মেট্রো প্রকল্প বিবাদী বাগের বদলে এসপ্ল্যানেডে শেষ হওয়ার বিষয়টি চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। এক পরিবহণ কর্তার কথায়, ‘‘জোকা মেট্রোর ক্ষেত্রে আমরা খিদিরপুর থেকে মেট্রোকে মাটির নীচে নামিয়ে দিয়ে তুলব এসপ্ল্যানেডে। মাঝে শুধু পার্ক স্ট্রিট স্টেশন থাকবে। যদি এসপ্ল্যানেডের অনুমতি না-ও মেলে তা হলেও অসুবিধা হবে না। জোকা মেট্রো শেষ করে দেওয়া হবে পার্ক স্ট্রিটেই।’’

এসপ্ল্যানেডে জোকা মেট্রো ছাড়াও একসঙ্গে মিশছে বর্তমান মেট্রো রুট ও ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো। প্রাথমিক এই জট কাটার পাশাপাশি জোকা-বিবাদী বাগ প্রকল্পে আরও কয়েকটি জট ছিল। তার মধ্যে প্রধান ছিল বাঁকরাহাটের কাছে জমি অধিগ্রহণ সমস্যা। ২০১০ থেকে জোকা মেট্রোর ওই জমি অধিগ্রহণ নিয়ে টালবাহানা থাকায় কার্যত অচলাবস্থা দেখা দেয় প্রকল্পে। মেট্রোর কারশেড তৈরির জন্য ডায়মন্ডহারবার রোডের কাছে বাঁকরাহাট এলাকায় রসকুঞ্জ ও পার্শ্ববর্তী তিনটি মৌজার জমি অধিগ্রহণ করতে গেলে জমি দিতে আপত্তি করেন স্থানীয়েরা। কারশেড না হলে প্রকল্পের কাজও যে শেষ হবে না, তা বুঝে ঢিলেমি দিতে শুরু করেন মেট্রো কর্তৃপক্ষও।

সম্প্রতি মেট্রোর সঙ্গে রাজ্য সরকারের আলোচনার ভিত্তিতে ওই জমি-জট কাটার পথে। স্থানীয় বাসিন্দারা শেষ পর্যন্ত কাঠা-প্রতি ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকায় জমি ছেড়ে দিতে সম্মত হয়েছেন। এর মধ্যে মেট্রো দেবে ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা। বাকি প্রায় ১৫ কোটি টাকা দেবে রাজ্য সরকার।

এর পরেই জট তৈরি হয় মোমিনপুর স্টেশন তৈরি ও ময়দানের উপর দিয়ে মেট্রো রুট নিয়ে যাওয়া নিয়ে। নিরাপত্তার কারণে এই দুই ক্ষেত্রে অনুমতি দেওয়ার ব্যাপারে বেঁকে বসে সেনাবাহিনী। তবে অস্থায়ী কাঠামো তৈরি না করে সুড়ঙ্গপথে মেট্রো নিয়ে যাওয়ায় প্রাথমিক ভাবে আপত্তি নেই সেনার। মেট্রো সূত্রের খবর, এ ব্যাপারে ইতিমধ্যেই সম্মতি দিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। এর পরেই মোমিনপুর স্টেশন বাদ দিয়ে প্রকল্প রূপায়ণের ভাবনাচিন্তা শুরু হয়েছে।

মোমিনপুর স্টেশনের জট কেটে গেলে প্রকল্পে আর কোনও বড়সড় জট থাকবে না বলেই দাবি পরিবহণ দফতরের ওই কর্তার। তাঁর কথায়, ‘‘একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা-সহ কয়েকটি কারখানা এবং দোকানকে পুনর্বাসন দেওয়ার প্রশ্ন রয়েছে। পুনর্বাসনের জন্য জমি ইতিমধ্যেই চিহ্নিত হয়ে গিয়েছে।’’ খুব শীঘ্রই সেই কাজ শুরু হয়ে যাবে বলেই দাবি ওই কর্তার।

kolkata metro joka-bbd bag metro project
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy