বর্ষণসিক্ত মহানগর। বৃহস্পতিবার দেবাশিস রায়ের তোলা ছবি।
প্রস্তুত ছিল পুর-প্রশাসন। তবে পূর্বাভাস অনুযায়ী বৃহস্পতিবার শহরে ঝড়-বৃষ্টির তেমন প্রভাব পড়েনি। কিন্তু যে কোনও সময়েই তা আসতে পারে, আবহাওয়া দফতর থেকে তেমন ইঙ্গিত মেলায় এ দিনই জরুরি বৈঠক করেন পুর-কমিশনার খলিল আহমেদ। নবান্ন সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে পুর-প্রশাসনকে আগামী কয়েক দিন বৈঠক করতে বলা হয়েছে। ভিডিও কনফারেন্সে প্রতি বরোর এগ্জিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে কথা বলেছেন পুর-কমিশনার ও মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার।
বিকেলের পরে কালো মেঘে আকাশ ঢাকতেই বাড়ে তৎপরতা। ঝড়-বৃষ্টির চিন্তায় পাম্পিং স্টেশনগুলি সচল রাখার জন্য তৈরি হন ইঞ্জিনিয়ারেরা। বঙ্গোপসাগর থেকে ধেয়ে আসা ‘গোমান’-এর গতিপ্রকৃতি জানতে ত্রাণ দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেন পুর-অফিসারেরা। বিকেল চারটের পরে রিপোর্ট আসে, দুপুর দুটো থেকে চারটে পর্যন্ত বৃষ্টি তেমন হয়নি। তারই মধ্যে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয় জিঞ্জিরাবাজারে, ১৭ মিমি এবং উল্টোডাঙায় ১৪ মিমি।
দেবাশিসবাবু জানান, পরিস্থিতি সামলাতে ১০ হাজার প্যাকেট পানীয় জলের পাউচ মজুত আছে। ১২ নম্বর বরোর চেয়ারম্যান সুশান্ত ঘোষ জানান, বাইপাস সংলগ্ন ১০৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিকাশ গুহ কলোনিতে শিবির খোলা হয়েছে। সেখানে ৫০০-৬০০ মানুষের খাওয়ার ব্যবস্থা হয়েছে। পুরসভা থেকে শুকনো খাবারও দেওয়া হচ্ছে।
মেয়র পারিষদ (নিকাশি) তারক সিংহ জানান, এই নিম্নচাপের জেরে আজ, শুক্রবারও ভারী বৃষ্টি হতে পারে বলে আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে। তার প্রেক্ষিতে প্রতিটি বরোর কন্ট্রোল রুমকে সজাগ করা হয়েছে। তৈরি থাকছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy