Advertisement
E-Paper

মাছ বাজারে খুনের ঘটনা পরিকল্পিত, বলছে পুলিশ

তদন্তকারীরা জানান, অভিযুক্তকে পুলিশি হেফাজতে নিয়েই ঘটনার পুনর্নির্মাণ করা হবে। তখন কিছু প্রশ্নের উত্তর মিলতে পারে বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা।

নিজস্ব সংবাদতদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ অক্টোবর ২০১৯ ০৩:১৯
হাওড়া আদালত চত্বরে অভিযুক্ত সুরেন্দ্র রাই। মঙ্গলবার। নিজস্ব চিত্র

হাওড়া আদালত চত্বরে অভিযুক্ত সুরেন্দ্র রাই। মঙ্গলবার। নিজস্ব চিত্র

কালীপুজোর রাতে পরিকল্পনা করে ডেকে এনে খুন করা হয়েছিল হাওড়ার মাছ বাজারের কর্মীকে। প্রাথমিক তদন্তের পরে এ ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ। ওই খুনের ঘটনায় আরও কয়েক জন জড়িত আছে বলেই প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ মনে করছে। তবে মঙ্গলবার পর্যন্ত এমন কোনও প্রমাণ পুলিশের হাতে আসেনি।

তদন্তকারীরা জানান, অভিযুক্তকে পুলিশি হেফাজতে নিয়েই ঘটনার পুনর্নির্মাণ করা হবে। তখন কিছু প্রশ্নের উত্তর মিলতে পারে বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা। পাওয়া যেতে পারে খুনের সময়ে ব্যবহৃত অস্ত্রটিও। এ দিন অভিযুক্ত সুরেন্দ্র রাইকে হাওড়া আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে ১২ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।

সোমবার বেলা ১২টা নাগাদ বঙ্কিম সেতুর লাগোয়া হাওড়ার মাছ বাজারের একটি দোকানে ফ্রিজের ভিতর থেকে ছোটন রাই নামে এক যুবকের দেহ উদ্ধার হয়। খুনের অভিযোগে পুলিশ সুরেন্দ্র রাই নামে ওই দোকানের এক কর্মীকে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক তদন্তের পরে জানা যায়, সুরেন্দ্র ও ছোটন সম্পর্কে কাকা-ভাইপো। তাঁরা বিহারের বাসিন্দা। জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক গোলমালের জেরেই ছোটন খুন হন বলে পুলিশের দাবি।

পুলিশ সূত্রে খবর, হাওড়া মাছ বাজারে সুনীল সিংহ নামে এক ব্যক্তির দোকানে সুরেন্দ্ররা কাজ করত। সেই দোকানে ছোটনের ভাইপো রাজেন্দ্র নামে এক যুবকও কাজ করত। তদন্তকারীদের ধারণা, রাজেন্দ্রও ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে। কারণ কালীপুজোর রাতে ওই যুবকও দোকানে ছিল। সে মাঝ রাতে হাওড়া স্টেশনে চলে যায়। তাই তাকেও সন্দেহের তালিকায় রাখা হয়েছে।

এ দিন ধৃত সুরেন্দ্রকে হাওড়া আদালতে তোলা হলে বিহারের গ্রাম থেকে ছোটনের পরিবারের লোকজন সেখানে এসে জড়ো হন। আদালত চত্বরে দাঁড়িয়ে ছোটনের এক কাকা হরবংশ রাই বলেন, ‘‘মাত্র এক সপ্তাহ আগেই ছোটনকে খুন করার হুমকি দেয় রাজেন্দ্র। এর পরে রবিবার রাতে ছোটনকে ভুলিয়ে মাছ বাজারের ডেকে নিয়ে গিয়ে খুন করা হয়।’’

ছোটনের পরিবারের লোকজন জানান, ছোটন হাওড়া স্টেশন চত্বরেই থাকতেন। তিনি সেখানে কুলির কাজ করতেন। রবিবার রাতে তাঁকে ডেকে নিয়ে গিয়ে খুন করা হয়। তাঁর মৃতদেহ ডিপ ফ্রিজে রেখে দেয় সুরেন্দ্র। সকাল থেকে বেলা প্রায় ১২টা পর্যন্ত সে ওই ফ্রিজের সামনে বসে অন্য দিনের মতো মাছ বিক্রিও করে। পরে কাজ শেষ হলে দোকানের মালিক তাকে বিক্রি না-হওয়া মাছ ফ্রিজে তুলে রাখতে বললে তখন গড়িমসি করে সুরেন্দ্র। শেষে মালিককে জানায় সে এক জনকে খুন করেছে। দেহটা ফ্রিজের মধ্যে রাখা আছে।

Fisherman Murder Kalipuja 2019
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy