Advertisement
২৭ মার্চ ২০২৩

‘বাবার শরীরটা বড় গাছের মতো পড়ল’

আজ সকালে ভোলা আঙ্কল এসে ডাকায় চা খেতে খেতেই বাবা ঘর থেকে বেরিয়ে গেল। ওদের দেরি হচ্ছে দেখে আমিও ঘরের বাইরে বেরিয়ে দে‌খতে যাই।

শোক: কান্নায় ভেঙে পড়েছে এয়মাস ও তার মা সলমা বেগম। নিজস্ব চিত্র

শোক: কান্নায় ভেঙে পড়েছে এয়মাস ও তার মা সলমা বেগম। নিজস্ব চিত্র

এয়মাস রহমান (আতিকুলের ছেলে)
শেষ আপডেট: ১০ জানুয়ারি ২০১৮ ০১:৫০
Share: Save:

বাবাকে আমার চোখের সামনেই গুলি করে মারল ওই ভোলা আঙ্কল। আমি স্কুলের পোশাক পরে ফেলেছিলাম। পার্ক স্ট্রিটের একটা স্কুলে ক্লাস সিক্সে পড়ি। বাবাই রোজ মোটরবাইকে করে আমায় স্কুলে পৌঁছে দিয়ে আসে।

Advertisement

আজ সকালে ভোলা আঙ্কল এসে ডাকায় চা খেতে খেতেই বাবা ঘর থেকে বেরিয়ে গেল। ওদের দেরি হচ্ছে দেখে আমিও ঘরের বাইরে বেরিয়ে দে‌খতে যাই। দেখি ভোলা আঙ্কলের সঙ্গে বাবার কথা কাটাকাটি হচ্ছে। সেখানে আমার ছোট পিসিও (নুসরত বেগম) ছিল। বারবার দেখছিলাম ভোলা আঙ্কল রেগেমেগে বাবার দিকে তেড়ে আসছে। আরও অনেকে আশপাশে ছিলেন। তাঁরাও বোঝানোর চেষ্টা করছিলেন। ভোলা আঙ্কল হঠাৎ একটা পিস্তল বের করল। পিসি আঙ্কলের হাত ধরে কিছু বোঝানোর চেষ্টা করছিল। কিন্তু তারই মাঝে দেখলাম পিসির হাত এক ঝটকায় সরিয়ে দিয়ে ভোলা আঙ্কল বাবার বুক লক্ষ করে গুলি চালিয়ে দিল। বাবার শরীরটা একটা বড় গাছের মতো মাটিতে পড়ল।

আরও পড়ুন: সাতসকালে কলকাতার রাস্তায় গুলি করে খুন ব্যবসায়ীকে

বাবা আমাদের খুব ভালবাসত। পড়াশোনা না-করলে আমাকে আর দিদিকে বকত, চাইত আমরা ভাল রেজাল্ট করি, কিন্তু কখনও গলা উঁচিয়ে কিছু বলেনি। প্রোমোটারির কাজে ব্যস্ত থাকলেও বাড়িতে নিজের কাজ নিয়ে কিছু বলত না। আমার আর দিদির সব খুঁটিনাটি দিকেই বাবার খেয়াল ছিল।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE
Popup Close
Something isn't right! Please refresh.