Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
Mysterious Death

নেশামুক্তি কেন্দ্রে ব্যায়ামবীরের মৃত্যু-রহস্য কাটল না, এখন অপেক্ষা ভিসেরা রিপোর্টের 

পুলিশ জানায়, ফামিদার দাবি, বিদ্যানাথন স্টেরয়েডে আসক্ত হয়ে পড়েছিলেন। আসক্তি কাটাতে স্বামীকে ভর্তি করানোর জন্য ওই কেন্দ্রে কথা বলেন তিনি।

An image representing dead

বাঁশদ্রোণীর নেশামুক্তি কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এক ব্যক্তির মৃত্যু ঘিরে রহস্য কাটল না শুক্রবারেও। প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ মে ২০২৩ ০৭:২৯
Share: Save:

বাঁশদ্রোণীর নেশামুক্তি কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এক ব্যক্তির মৃত্যু ঘিরে রহস্য কাটল না শুক্রবারেও। পেশায় ব্যায়ামবীর ওই ব্যক্তি স্টেরয়েডে আসক্ত ছিলেন বলে পুলিশকে জানিয়েছে তাঁর পরিবার। তাঁর মৃত্যুর এক মাস পরে থানায় অভিযোগ দায়ের হওয়ায় নতুন করে ময়না তদন্তের রিপোর্টে চোখ পড়েছে পুলিশের। যদিও লালবাজার সূত্রের খবর, ময়না তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট এলেও ভিসেরা পরীক্ষার রিপোর্ট আসার অপেক্ষা করা হচ্ছে। সেটি এলে হয়তো মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

পুলিশ জানিয়েছে, গত ১১ এপ্রিল বাঁশদ্রোণী প্লেসের ‘বাঁশদ্রোণী ফ্রিডম অ্যান্ড ওয়েলফেয়ার সোসাইটি’ নামে একটি নেশামুক্তি কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয় বেনিয়াপুকুরের বাসিন্দা বিদ্যানাথন শঙ্কর অমরনাথ নামের ওই ব্যক্তিকে। তাঁর স্ত্রী ফামিদা খাতুন ওই ঘটনার প্রায় এক মাস পরে গত ১০ তারিখ বাঁশদ্রোণী থানায় গিয়ে সেই নেশামুক্তি কেন্দ্রের মালিক সন্দীপন বিশ্বাস-সহ চার জনের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

পুলিশ জানায়, তাদের কাছে ফামিদার দাবি, বিদ্যানাথন স্টেরয়েডে আসক্ত হয়ে পড়েছিলেন। আসক্তি কাটাতে স্বামীকে ভর্তি করানোর জন্য ওই কেন্দ্রে কথা বলেন তিনি। ফামিদার অভিযোগ, ১১ এপ্রিল বিদ্যানাথনকে বেনিয়াপুকুরের বাড়ি থেকে নিয়ে যাওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তাঁর কাছে নেশামুক্তি কেন্দ্র থেকে ফোন আসে। জানানো হয়, স্বামী গুরুতর অসুস্থ। এম আর বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে গেলে চিকিৎসকেরা জানিয়ে দেন, হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই বিদ্যানাথনের মৃত্যু হয়েছিল। ফামিদা পুলিশের কাছে দাবি করেছেন, তাঁর স্বামী এতটা অসুস্থ ছিলেন না যে, ওই ভাবে মৃত্যু হবে।

শুক্রবার ওই কেন্দ্রে গেলে মালিক সন্দীপন বিশ্বাস সঙ্গী মারফত মোবাইল ফোনে বলেন, ‘‘নিয়ে আসার সময়ে ভদ্রলোক হাত-পা ছুড়ছিলেন। বাঁশদ্রোণী পৌঁছতেই ঝিমিয়ে পড়েন। আমাদের সেন্টারের চিকিৎসক তাঁকে দেখেই দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন। এম আর বাঙুরে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন। কী করে এমনটা হল, সেটা আমাদের কাছেও রহস্য।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE