Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪
Mysterious death

ময়দানে উদ্ধার এক ব্যক্তির দেহ, হাতে রয়েছে কামড়ের দাগ, মৃত্যু ঘিরে রহস্য

বুধবার রাত পর্যন্ত ব্যক্তির নাম-পরিচয়ও জানা যায়নি। একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে দেহটি ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। সেই রিপোর্ট আসার পরেই বিষয়টি স্পষ্ট হবে বলে তাদের ধারণা।

A Photograph representing a dead body

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ময়দান চত্বর থেকে এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ মার্চ ২০২৩ ০৬:০৭
Share: Save:

নাক-মুখ দিয়ে গ্যাঁজলা বেরোচ্ছে। ডান হাতের তালুতে কোনও প্রাণীর কামড়ের দাগ। পাশেই একটি লাল রঙের থলিতে দু’টি জলের বোতল। কিছুটা দূরেই পড়ে রয়েছে একটি প্লাস্টিকের প্যাকেট। তাতে সাদা ট্যাবলেটের পাতা!

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এমনই অবস্থায় ময়দান চত্বর থেকে এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাঁর বয়স আনুমানিক ৫০ বছর। দ্রুত এসএসকেএম হাসপাতালে পাঠানো হলে চিকিৎসকেরা জানিয়ে দেন, বহু ক্ষণ আগেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর। তবে, কী ভাবে মৃত্যু হয়েছে, তা জানা যায়নি। বুধবার রাত পর্যন্ত ওই ব্যক্তির নাম-পরিচয়ও জানা যায়নি। একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে দেহটি ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। সেই রিপোর্ট আসার পরেই বিষয়টি স্পষ্ট হবে বলে তাদের ধারণা।

পুলিশ সূত্রের খবর, ওই ব্যক্তি পড়ে ছিলেন ব্রিগেড প্যারেড ময়দানের পূর্ব দিকে, ইলিয়ট পার্কের দেওয়ালের পাশে। ওই জায়গায় অনেকেই নেশা করতে আসেন বলে দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ। মাঝে মাঝে পুলিশ সেখানে হানা দিয়ে নেশাগ্রস্তদের গ্রেফতারও করে। কিন্তু পরিস্থিতি বদলায় না। এলাকাটি ময়দান থানার অন্তর্গত। পুলিশকর্তাদের অনুমান, ওই ব্যক্তিও নেশা করতেই সেখানে গিয়েছিলেন। পড়ে থাকা ট্যাবলেট এবং জলের বোতল দেখেই এমনটা অনুমান করা হচ্ছে। তদন্তকারীরা মনে করছেন, নেশা করার পরে সম্ভবত ওই ব্যক্তি ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। আরও তখনই কোনও প্রাণী তাঁর হাতে কামড়ে দেয়। ওই কামড়ের দাগ সাপেরও হতে পারে বলে পুলিশকর্মীদের অনুমান।

প্রসঙ্গত, হেস্টিংস থানা ভেঙে ২০১৩ সালে ময়দান থানা তৈরি হওয়ার পরেও ওই এলাকায় অপরাধের সংখ্যা বিশেষ কমেনি। সূর্যাস্তের পরে যে হেতু ময়দানের কয়েকটি ক্লাব ছাড়া আর কোথাও তেমন আলো থাকে না, তাই ওই এলাকায় সহজেই অপরাধ সংঘটিত করে প্রমাণ লোপাট করে ফেলা যায়। সেই কারণে পুলিশের তরফে আগেই প্রায় আড়াই বর্গকিলোমিটার ওই এলাকা তিনটি জ়োনে ভাগ করা হয়েছিল। ব্রিগেড প্যারেড ময়দান ও ফোর্ট উইলিয়াম রয়েছে ‘এ’ জ়োনে। ডাফরিন রোড, প্রেস ক্লাব, সিটিজেন্স পার্ক নিয়ে গড়া হয়েছে ‘বি’ জ়োন। আর গঙ্গাসাগর এবং মোহনবাগান মাঠ ও বাবুঘাটের মতো এলাকা রয়েছে জ়োন ‘সি’-তে। প্রতিটি জ়োনে থানার বিশেষ দলের দু’জন করে কনস্টেবল মোটরবাইক নিয়ে নির্দিষ্ট এলাকায় টহল দেন। বিকেল ৫টা থেকে পরদিন সকাল ৬টা পর্যন্ত চলে পাহারা। টহলদার দলের কাজে যাতে কোনও ধরনের শিথিলতা না আসে, তার জন্য এই ১৩ ঘণ্টা সময়কে দু’ভাগে ভাগ করা হয়। প্রতি ভাগে পৃথক পুলিশকর্মীরা ডিউটিতে থাকেন। তার পরেও এই ধরনের দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Mysterious death bite police investigation
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE