বান্ধবীকে বাড়িতে নামিয়ে ফেরার পথে রহস্যজনক ভাবে মৃত্যু হল এক তরুণের। তাঁর গাড়ির মধ্যে পাওয়া গিয়েছে ‘বুলেট হেড’। পরিবারের অভিযোগ, ওই তরুণকে খুন করা হয়েছে। পুলিশ খুনের অভিযোগ নিতে অস্বীকার করেছে। যদিও পুলিশের দাবি, দুর্ঘটনাতেই মৃত্যু হয়েছে দেবাঞ্জন দাস (২০) নামের ওই তরুণের। মৃত্যু রহস্যের সঙ্গে উঠে আসছে ত্রিকোণ প্রেমের প্রসঙ্গও।
ঘটনার সূত্রপাত ৭ অক্টোবর অর্থাৎ নবমীর গভীর রাতে। সল্টলেকের একটি নামী বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিজনেস ম্যানেজমেন্ট পড়ুয়া ছিল দেবাঞ্জন। দমদমের ৪ নম্বর রেল গেট এলাকায় তাঁর বাড়ি। বাবা অরুণ দাস পেশায় ব্যবসায়ী। পুলিশ জানিয়েছে, ওই দিন রাত পৌনে তিনটে নাগাদ দমদম এলাকার বঙ্কিম মোড়ে নিজের সেডান গাড়িতে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় দেবাঞ্জনকে। সেখান থেকে তাঁকে উদ্ধার করে পুলিশ। অরুণ জানিয়েছেন, পাড়ারই কয়েক জন যুবকের মাধ্যমে পুলিশ খবর পাঠায় বাড়িতে।
প্রাথমিক তদন্তের পর নিমতা থানার এএসআই গৌতম ঘোষ দাবি করেন, কোনও ভাবে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাশে একটি ল্যাম্প পোস্টে ধাক্কা মারে দেবাঞ্জনের গাড়ি। তার পর ফের পাশের একটি পাঁচিলে ধাক্কা মারে। আর তাতেই ফুসফুসে আঘাত পেয়ে মৃত্যু হয় ওই তরুণের। পুলিশের দাবি, দেবাঞ্জন সিট বেল্ট বেঁধে গাড়ি চালাচ্ছিলেন না। তাই গুরুতর আঘাত লাগে। যদিও পুলিশের এই দুর্ঘটনার তত্ত্ব মানতে রাজি নন দেবাঞ্জনের বাবা এবং তাঁদের প্রতিবেশীরা যাঁরা ওই রাতে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। অরুণ বুধবার বলেন, ‘‘যদি দুর্ঘটনায় মৃত্যু হবে, তা হলে গাড়ির মধ্যে সামনের সিটের পা রাখার অংশে বুলেট হেড পাওয়া যাবে কেন?” তিনি পুলিশের দেওয়া দুর্ঘটনার তত্ত্ব খারিজ করে দিয়ে বলেন, ‘‘গাড়ির বাঁ দিকে সামনের অংশ সামান্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ওইটুকু ধাক্কায় গাড়ির চালক মারা যেতে পারে না।”