এসএসকেএম হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের বিছানায় শুয়ে শূন্য চোখে কিছু একটা খুঁজছেন নাগেরবাজার বিস্ফোরণে আহত সীতা ঘোষ। বুধবার পর্যন্ত তিনি জানেন না, বিল্টু আর মা বলে বায়না জুড়বে না। কারণ, বিভাস ঘোষের (বিল্টু) মৃত্যুর কথা সীতাকে এখনও জানাতে পারেনি পরিবার।
বিভাসের কথা সীতা জানতে চাইলে প্রসঙ্গ বদলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করছে পরিবার। বিভাসের কাকা দীপেঞ্জয় ঘোষের বক্তব্য, ‘‘বিল্টুর কথা উঠলে প্রসঙ্গ বদলে দিচ্ছি। এই পরিস্থিতিতে কান্নাকাটি করলে আরও সমস্যা বাড়বে। তবে কাল তো বৌদি দেখেছে বিল্টু ছিটকে পড়েছিল। কিছু একটা আন্দাজ করছে।’’
ছেলে বিল্টুর মৃতদেহ নিয়ে সৎকারের জন্য দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলপির গ্রামের বাড়িতে গিয়েছেন জন্মেজয় ঘোষ। ফাঁকা বাড়িতে ফিরতে চাইছেন না তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তাঁর আর্জি-‘‘স্ত্রী কোনও দিন কাজ করতে পারবেন কি না জানি না। এই অবস্থায় দিদি যদি আমাদের সাহায্য করেন, তা হলে বেঁচে যাই।’’